সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ (Dwitiyo Purush) মুক্তি পেল। ছবি মুক্তির আগেই নজর কেড়েছিল অনির্বাণ (Anirban) ভট্টাচার্য অভিনীত ‘খোকা’ চরিত্রটি। একই সঙ্গে অনির্বাণ ওয়েব সিরিজে ব্যোমকেশ। দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় ‘ড্রাকুলা স্যার’-এর শুটিংও করছেন তিনি। হাত ভর্তি কাজ নিয়ে আড্ডা দিলেন অভিনেতা।
‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর মতো এতটা লুক চেঞ্জ আগে সম্ভবত হয়নি?
না। ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর এতটা লুক চেঞ্জ আগে হয়নি। চুল কেটে ফেলতে হয়েছিল। আমার মোটা ভুরু। সেটাও সরু করে দিতে হয়েছিল অনেকটাই। ফলে বাহ্যিক পরিবর্তন অনেকটাই হয়েছিল।
তাহলে সে সময় তো অন্য শুটিং সম্ভব হয়নি?
‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এ ‘খোকা’র লুকে অনির্বাণ।
এমনিতেই আমি এক সময়ে একটাই ছবি বা একটাই ওয়েবে কাজ করি। তবে ওই লুক চেঞ্জটার সময় একটা অঙ্ক করতে হয়েছিল। আগের কাজ কতদিন পর্যন্ত রয়েছে, পরের কাজ কবে শুরু হবে, সেটা দেখে নিতে হয়েছিল।
এই ছবিটা কি আউট অ্যান্ড আউট থ্রিলার?
না, এই ছবিটা সব কিছু। সম্পর্কের গল্প, একটা ডিপার্টমেন্টের ফেলিওর, থ্রিলার। অনেকগুলো পরত রয়েছে। যিনি যেভাবে দেখবেন…।
এই ছবিটা ‘২২শে শ্রাবণ’-এর সিকোয়েল। আগের ছবিটাতে আপনি ছিলেন না। তাছাড়া সিকোয়েলের একটা আলাদা প্রেশার থাকে, নাকি?
সিকোয়েলের আলাদা প্রেশার থাকে ঠিকই। গোড়াতে একেবারেই সেটা মনে হয়নি, তা নয়। তবে আমি দেখেছি, সে সব ভাবলে আসলে কাজ খারাপ হয়ে যায়। আর শুটিং শুরু হয়ে গেলে সে সব মনেও হয় না। তখন সিন থাকে, পরিচালক থাকেন। ওসব আর ভাবার সময়ও থাকে না। আর আগের ছবিতে আমি ছিলাম না। এখানে রয়েছি। আমার চরিত্রটা তো ফ্রেশ। ফলে এ সব ভাবতে গেলে আমার ফ্রেশনেসটা নষ্ট হয়ে যেত।
নিজের আগের কাজকে ছাপিয়ে যাওয়ারও প্রেশার থাকে। সেটা কীভাবে সামলান?
অনির্বাণ যখন অনস্ক্রিনের ‘ব্যোমকেশ’।
আজ বলে নয়, ছোট থেকেই আমার এই চেষ্টাটা থাকে। নিজের আগের কাজের থেকে আরও ভাল করতে সব সময়ই চাই। কিন্তু সেটা তো সবটা আমার হাতে থাকে না। আমি তো চরিত্র লিখি না, বা পরিচালনা করি না। পরিচালকরা স্ক্রিপ্ট করেন, আমাকে যে চরিত্রের জন্য ভাবেন, সেটার উপরও কাজটা অনেকটাই নির্ভর করে। তবে চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একই রকম যাতে না হয়ে যায়, সেটা মাথায় রাখি।
যে কোনও চরিত্রের জন্যই আপনার আলাদা প্রস্তুতি থাকেই। এই চরিত্রের ক্ষেত্রে কীভাবে তৈরি হয়েছিলেন?
আমি তো অভিনেতা। ফলে অভিনয় নিয়ে চর্চা বা ভাবনা আমার সর্বক্ষণ চলতে থাকে। এমন নয় যে কোনও একটা ছবি এল, তখন অভিনয় নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। ভাবনাটা চলতেই থাকে। সেটাই তো প্রস্তুতি। যে কোনও চরিত্র করতেই প্রচুর পরিশ্রম হয় আমার। শরীর, মনের প্রচুর খাটনি। এটাই তো অভিনেতার সম্পদ। আর তো কিছু নেই। নিজের ওপর প্রায় টর্চার বলতে পারেন। তাতে আনন্দও যেমন রয়েছে, দুঃখ, ডিপ্রেশনও থাকে।
ডিপ্রেশন কীরকম?
ধরুন, ব্যোমকেশের সিজন ফাইভ যেটা করলাম, সেই চরিত্রেরই ডিপ্রেশন রয়েছে। এবার অভিনেতা হিসেবে আমার যদি সেটা না থাকে, তাহলে কাজটা ভাল হবে না।
দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় ‘ড্রাকুলা স্যার’-এ কাজ করছেন আপনি। কিছুদিন শুটিং তো হয়ে গিয়েছে?
‘ড্রাকুলা স্যার’-এর দৃশ্যে অনির্বাণ।
হ্যাঁ। ‘ড্রাকুলা স্যার’ আমার জীবনের অন্যতম স্পেশ্যাল কাজ। একেবারেই আলাদা রকমের কনটেন্ট। আমার স্ক্রিপ্ট আত্মস্থ করতেও সময় লেগেছিল। দেবালয়ের সঙ্গে অরগ্যানিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং দরকার ছিল। শুটিং এখনও শেষ হয়নি, দেখা যাক। এই ছবিটার জন্যও অসম্ভব পরিশ্রম করছি আমি। আমি জানি না, ছবিটা দর্শকের কতটা ভাল লাগবে, কিন্তু আমার অত্যন্ত প্রিয় কাজ। যে চরিত্রে হয়তো অত পরিশ্রম করতে হয়নি, সেটা দর্শক মনে রেখে দেবেন। এটা নয়। হতেই পারে। আসলে অভিনেতা আর দর্শকের টিউনিং তো এক নাও হতে পারে।
‘ধনঞ্জয়’-এর পর মিমির সঙ্গে ফের কাজ করছেন। এই কয়েক বছরে মিমির জীবন অনেকটা পাল্টেছে। রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছেন। সেটে কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ল?
না। মিমির কোনও পরিবর্তন নেই। ‘ধনঞ্জয়’-এ ওর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলাম কয়েক সেকেন্ডের জন্য। যেহেতু আমার আর ওর টাইম ফ্রেমটা আলাদা ছিল। এখানেও আলাদা। কিন্তু ওই ছবিটার থেকে কিছু বেশি সময়ের জন্য আমরা একসঙ্গে রয়েছি এখানে।
পরিচালনার কথা ভাবছেন?
থিয়েটার পরিচালনা করি। খুব রেগুলার নয়। তবে করি। সেই কাজটা আরও বাড়াতে চাই। তবে সিনেমা পরিচালনার কথা এখনই কিছু ভাবিনি।
কোনও একজন অভিনেতার কথা বলতে পারেন, যাঁর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে গিয়ে চাপে পড়েছিলেন?
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। খুব শক্তিশালী অভিনত্রী। মেথড, ইনস্টিঙ্কট সবই অসাধারণ। ফলে ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ করার সময় বেশ সতর্ক থাকতে হত।
এসভিএফ-এর সঙ্গে পর পর কাজ করছেন। প্রায় সব রকমের ছবিতেই আপনার কথা ভাবা হচ্ছে। টলিউডে এটা অনেকের কাছেই হয়তো ঈর্ষার। আপনি কীভাবে দেখেন বিষয়টা?
‘ড্রাকুলা স্যার’-এর দৃশ্যে মিমি এবং অনির্বাণ।
দেখুন, আমার কেরিয়ারে যে অন্যরকমের কাজ, মানুষ দেখছেন, পছন্দ করছেন সবটাই এই হাউজ থেকে। আমি শুরুও করেছিলাম এখান থেকেই। তারপর ওঁরা চুক্তি করতে বলেন। সেটা করার পর গত দু’বছরে তো আমাকে যে সব চরিত্র অফার করেছেন, যে সব পরিচালকের সঙ্গে কাজের সুযোগ দিয়েছেন, অভিনেতা হিসেবে সেটাতে আমি খুশি। এটা আর কীভাবে ব্যখ্যা করা যায়, আমি জানি না।
এই জায়গাটা তৈরি করার পিছনে কী ইকোয়েশন?
কাজ, শুধুমাত্র কাজ, ভাল কাজ।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA