অভাবের সংসার। ছোট থেকেই ছেলেটা তাই দেখেই অভ্যস্ত। পুজোর সময় একটাই জামা হত। সেটাই ধুয়ে নিয়ে আবার পরের দিন পরা। এটাই রুটিন ছিল। সেই আকালেও মা (mother) ছিলেন পাশে। অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। আর বাবা? “বাবা আছেন, আমাদের সঙ্গেই থাকেন। মা চান বলে। কিন্তু আমার লাইফে বাবার কোনও কন্ট্রিবিউশন নেই। আমি বাবাকে কখনও কাজ করতে দেখিনি”, স্পষ্ট করে একথা বলতে পারেন তিনি। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন। অনেক ঝড়ঝাপ্টা পেরিয়ে এসেও লড়াই করতে পারেন। তিনি অর্থাৎ সায়ক (Sayak) চক্রবর্তী। টেলিভিশনের (tv) চেনা মুখ।
জুনিয়র আর্টিস্ট, থুড়ি এক্সট্রা হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সে সময় মা না খেয়ে খাবার বাঁচিয়ে রাখতেন তাঁর জন্য। যাতে পরের দিন ওই খাবার খেয়ে শুটিংয়ে যেতে পারেন। আর আজ একসঙ্গে তিনটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সায়ক। ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’, ‘মঙ্গলচণ্ডী’ এবং ‘কনে বউ’। কিনতে পেরেছেন নিজের ফ্ল্যাট। “আমাদের এত বছর নিজেদের কোনও বাড়ি ছিল না। যে কোনও দিন বাড়ি ছাড়তে হতে পারে, এই পরিস্থিতিও কাটিয়েছি। মা এত স্ট্রাগল করেছে, এই ফ্ল্যাটটা মাকে কিনে দিতে পেরে সত্যিই খুব খুশি আমি। এটা কেরিয়ার আমাকে গিফট করেছে” আনন্দের মধ্যেও দুঃখ ঝরে পড়ল তাঁর গলা।
স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার প্রথম ব্রেক দিয়েছিলেন। ধারাবাহিকের নাম ছিল, ‘বয়েই গেল’। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪টি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তার মধ্যে ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’-এ শ্রীকৃষ্ণ, ‘আমি সিরাজের বেগম’-এ আসরফির চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসা পেয়েছিলেন। কিন্তু দেবতার চরিত্রে বেশি দেখা যায় তাঁকে। অন্য অফার কি আসে না? হেসে সায়কের জবাব, “এই ধরনের কাজ বেশি এসেছে। সকলে বলে আমাকে ভাল মানাবে। আর আমার নিজেরও ঠাকুরের চরিত্র করতে ভাল লাগে। ঠাকুরের ভক্তও আমি। তাছাড়া একদম নেগেটিভ চরিত্রও ভাল লাগে আমার।” একইসঙ্গে দু’রকমের চরিত্রই পছন্দ, তা সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু সায়ক ব্যতিক্রমী। আসলে কেরিয়ারের শুরুর দিকে এত বেশি করে ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এখন অন্য দিকগুলোতে নিজেকে এক্সপ্লোর করতে চান বলে জানালেন। নেগেটিভ চরিত্রের বিভিন্ন রকমের শেড তাঁকে আকর্ষণ করে। আর লুকটাও অন্যরকম হয় বলে আলাদা আকর্ষণ রয়েছে অভিনেতার।
কেরিয়ারে ভাল মুহূর্ত যেমন এসেছে, মন খারাপও কম নেই। “বউ কথা কও সিরিয়ালে একটা সিন ছিল আমি গ্লাস নিয়ে যাব, আমাকে পরে যেতে হবে। তখন আমি নতুন। কিছুই জানি না। ওই সিনটা করতে পারছিলাম না। তখন ওখানে এক পরিচালক মা তুলে গালাগালি দিয়েছিলেন। আর মা আমার কাছে শেষ কথা। সেদিন ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে সবার চোখের আড়ালে কেঁদেছিলাম। আর আজ ওখানেই রাসমণির শুটিং হয়। তবে ওই ঘটনাটা ঘটেছিল বলে আমার জেদ চেপে গিয়েছিল। ফলে ভালই হয়েছে আমার” শেয়ার করলেন সায়ক। প্রতিদিনই নিজেকে অভিনয়ের মঞ্চে আরও কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে বধ্যপরিকর তিনি।
এখন সায়কের ২৫। আরও বছর দুয়েক এই ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চান। তারপর নিজেকে গ্রুম করে লিড চরিত্রে অভিনয়ের চেষ্টা করবেন। তবে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যেতে নারাজ অভিনেতা। আফটার অল অনেক কষ্টের পর এবার ভাল থাকার সময়, মাকে ভাল রাখার সময় সায়কের।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA