করোনা (corona) আতঙ্কে দিন কাটছে সকলের। চলছে লকডাউন। মনখারাপ বাড়ছে। বাড়ছে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাও। কিন্তু এর মধ্যেই অনেকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ভাল থাকার পাসওয়ার্ড।
করোনার আতঙ্কে কাছে যাওয়া বারণ। কিন্তু প্রেমে পড়া তো বারণ নয়। তাই ছেলেটি ঠিক করে এই সময়টা প্রেম করে কাটিয়ে দেবে। পাশের বাড়ির যে মেয়েটিকে তার পছন্দ, অথচ এতদিন বলা হয়নি, ঠিক করে এখনই তাকে বলে দেবে। কিন্তু কীভাবে?
নিজে রান্না করে মেয়েটিকে পাঠাবে ঠিক করে ছেলেটি। সঙ্গে চিঠি। আর এই গোটা প্ল্যানটা শেয়ার করে বন্ধুর সঙ্গে। বন্ধুর হাত দিয়েই চিঠি পৌঁছয় পাশের বাড়িতে। সে চিঠির উত্তরও আসে। কিন্তু যিনি পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে উদ্দেশ্য করে নয়। বরং যিনি হাতে করে রান্না পৌঁছে দিয়েছিলেন, তিনি মেয়েটির চিঠি পান। তাও ভার্চুয়ালি। মেসেঞ্জারে। হ্যাঁ, সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনটেন করেই। অর্থাৎ প্রেমটা হয় ঠিকই। অন্তত ইঙ্গিত তেমনই। কিন্তু পাত্র বদলে যায়।
ভাবছেন তো, এই ঘটনা সত্যি নাকি? না। রিয়েল নয়। রিল লাইফে আপনার কথা ভেবেই এই আয়োজন হয়েছে। অর্থাৎ তৈরি হয়েছে শর্ট ফিল্ম ‘প্রেমে লকডাউন’ (preme lockdown)। টিভিওয়ালা মিডিয়ার প্রযোজনায় দেবারতি গুপ্তর পরিচালনায় তৈরি হয়েছে এই শর্ট ফিল্ম। অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুভব কাঞ্জিলাল অভিনয় করেছেন। সম্পাদনা করেছেন শুভ ভট্টাচার্য। মিউজিকের দায়িত্ব সামলেছেন অম্লান। পুরো ছবিটা তৈরি হয়েছে সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রেখেই। প্রত্যেকে নিজের বাড়িতে শুট করেছেন। ছবি তৈরির বাকি কাজও কলাকুশলীরা করেছেন বাড়িতে থেকেই।
আসলে এ এক এমন পরিস্থিতি যা আগে কখনও দেখিনি আমরা। জীবনের প্রায়োরিটিগুলো বদলে গিয়েছে সকলের। খাবার, ওষুধের চিন্তা এখন মুখ্য। তার সঙ্গী অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আর্থিক দুশ্চিন্তা। এর মধ্যে বিনোদনের কথা আলাদা করে ভাবছেন না সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাড়িতে থেকেই দর্শকের জন্য ছোট ছবি তৈরির প্রয়াস নিয়েছেন টলি পাড়ার অনেক শিল্পী। এর আগে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়ের প্রোডাকশন হাউজ উইনডোজের তরফে বেশ কিছু ছোট ছবি তৈরি হয়েছে। অপরাজিতা আঢ্য, মানালি মনীষা দে, বিশ্বনাথ বসুর মতো অভিনেতারা পারফর্ম করেছেন। অপরাজিতা নিজের ভাবনায় তৈরি করেছেন ছোট ছবি। ঠিক তেমন ভাবেই এগিয়ে এলেন দেবারতি।
এই আতঙ্কের পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন মন খারাপ হচ্ছে সকলের, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সকলের, তেমনই কাছের মানুষরা যেন হয়ে উঠছেন আরও কাছের। হয়তো বদলে যাচ্ছে প্রেমের ভাষাও। ‘প্রেমে লকডাউন’ তারই উদাহরণ হয়ে থাকল হয়তো। পাশের বাড়ির চেনা মেয়েটাকে যদি এখনও নিজের ভালবাসার কথা বলতে না পারেন, এবার বলে ফেলুন। তবে বন্ধুকে মাঝখানে রাখবেন কিনা, তা অবশ্য আপনার ডিসিশন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA