তারকাদের ছেলে মেয়েরা কি পড়াশোনা করে না? কেন করে না? তাঁরা সব বিদেশে পড়তে যায়। কীরকম পড়াশোনা তাঁরা করে সে আমি জানি না। কারণ ফিরে এসেই তাঁরা নাচতে নাচতে সিনেমায় অভিনয় করতে চলে যায়। তখন বলে না “আমার তো ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল আমি অভিনয় করব।” তাহলে বাপু সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে যাওয়া কেন বাপু? দু নৌকায় পা দিয়ে কি আর চলা যায়? এই যেমন অনন্যা পাণ্ডে (Ananya Panday)। ‘স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার ২’ এর প্রকৃত অর্থে স্টুডেন্ট হওয়া নিয়ে চলছে জোর বাক বিতণ্ডা। অনন্যা (Ananya Panday) কোনও এক সাক্ষাৎকারে দাবী করেছিলেন যে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার (university) একটি নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে (university) জার্নালিজম নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভাল কথা। তাহলে সুযোগ পেয়েও তিনি যাননি কেন? যাননি কারণ তিনি তখন তাঁর অভিনয় কেরিয়ারে মনোনিবেশ করছিলেন। এদ্দিন পর্যন্ত অবশ্য এসব কথা কেউ জানতে পারিনি।
তবে হঠাৎ করে ‘কেউ একজন’ দাবী করেছেন যে এসব কথা একদম মিথ্যে। এই ‘কেউ একজন’ যিনি ইন্সটাগ্রামে ”অ্যানিপি” বলে আছেন তিনিই এই দাবী করেছেন। এখন প্রশ্ন হল যে তিনি এই কথা জানতে পারলেন কী করে? না, অনন্যা যে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সেটা সাক্ষাৎকার থেকে জানা যেতেই পারে। কিন্তু বাকিটা? এই “অ্যানিপি” এও বলেছেন যে তিনি অনন্যাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন কারণ তিনি অনন্যার সঙ্গে স্কুলে পড়তেন। তিনি জানেন যে অনন্যা খুব সাধারণ ছাত্রী ছিলেন। এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের এলেমে সুযোগ পাওয়ার মেয়ে সে নয়! আর এতেই বেজায় চটেছেন পাণ্ডে দিদি।
তিনি রাগের চোটে (অবশ্য মনের জ্বালা চেপে রেখে হাসিমুখে) এক গাদা ছবি পোস্ট করেছেন ইন্সটাগ্রামে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের… থুড়ি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পড়তে যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র টেবিলে ছড়ানো এবং সেখানে অনন্যার নাম লেখা আছে। এর সঙ্গে মস্ত একটা পোস্ট দিয়েছেন তিনি। আর এও বলেছেন যে যাঁদের সঙ্গে তিনি স্কুলে পড়েছেন তাঁরা এমন হতেই পারে না। বন্ধুরা কি নামহীন হয়? আর সে যদি বন্ধুই হবে সামনে এসে এই কথা বলছে না কেন? এইভাবে কোনও মহিলাকে হেনস্থা করা ঠিক নয়! আমন্ত্রণপত্রে বাবার নাম অন্য দেখেও অনেকে ভুরু তুলেছেন। অনন্যা জানিয়েছেন তাঁর বাবার আসল নাম যা সেই নামেই চিঠি এসেছে। চাঙ্কি ডাকনাম তাই সে নামে তো আর…
তবে অনন্যাকে সত্যিকারের সহকর্মীর মতো পরামর্শ দিয়েছেন অর্জুন কপূর। তিনি বলেছেন, “যা হয়েছে সেই সত্যিটা তুমি আর তোমার পরিবার জানলেই তো হল। যারা ঘৃণা ছড়ায় তাঁরা সেটা করেই যাবে। তাই জীবনে এগিয়ে যাও এসব না ভেবে!”
অনন্যা বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই? ট্রোলের জবাব ট্রোল নয়। বরং সেটা এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমতীর লক্ষণ। অর্জুন না বলে যেটা বলতে চেয়েছেন সেটা হল এই গুচ্ছখানেক কাগজ নিয়ে এই ছবিটা না দিলেও চলত!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA