বিশ্বকাপ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে ভারতের বিদায় নিয়ে অনেক ক্রীড়াপ্রেমীই মুষড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সবার অলক্ষে এবং অজান্তে ভারতের ক্রীড়াজগতে ঘটে গেছে এক নিঃশব্দ বিপ্লব। একের পর এক আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক মিট এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতীয় অ্যাথলিটরা সোনা জিতে ভারতের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন। আর মহিলা অ্যাথলিটরা তো যাকে বলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন! বিভিন্ন ইউরোপিয়ান মিটে পরের পর পাঁচখানা সোনা জিতে রীতিমতো নজির সৃষ্টি করেছেন হিমা দাস। সোনা জিতে নিন্দুকের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন আর এক দৌড়বীর দ্যুতি চাঁদও। কিছুদিন আগেই রাশিয়াতে ভারোত্তোলনে সোনা পেয়েছেন মহারাষ্ট্রের ভাবনা তোকেকর। এমনকী, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত খুদে অরণ্যতেশ গঙ্গোপাধ্যায়ও টেবিল টেনিসে গোল্ড মেডেল পেয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ক্রীড়াবিদরা বলছেন ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে এটি একটি অতি গৌরবময় অধ্যায়। দিল্লির জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপেও জয়জয়কার হল ভারতের। ভারতীয় খেলোয়াড়রা একের পর এক ছিনিয়ে নিলেন সোনার মেডেল। গর্বিত হওয়ার পালা বাংলা ও বাঙালিরও। এই প্রতিযোগিতায় মেয়েদের টেবিল টেনিস সিঙ্গলসে প্রথম সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন ঐহিকা মুখোপাধ্যায় (Ayhika Mukhopadhyay) ।
বাংলার কাছে বিশেষ করে এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। কারণ কমনওয়েলথ (commonwealth) টেবিল টেনিস (table tennis) চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রথম সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন নৈহাটির মেয়ে ঐহিকা মুখোপাধ্যায় (Ayhika Mukhopadhyay)। সোমবার বিকেলে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় কটকে। সেখানেই সোনা জিতে ইতিহাস রচনা করেন তিনি। ঐহিকার দুই গুরু মিহির ঘোষ ও শৌভিক রায় খুব খুশি হয়েছেন ছাত্রীর এই জয়ে। তাঁরা বলেছেন দেশের নাম করা স্টার প্লেয়ারদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছেন বাংলার প্লেয়াররা। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট টেনশান ছিল। তারকা খেলোয়াড়দের হারিয়ে সোনা জেতা মুখের কথা নয়। আর সেটাই করে দেখিয়েছেন ঐহিকা। দুপুরে মেয়েদের ডাবলসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু বিকেলে সোনা জিতে সব দুঃখ পুষিয়ে নিলেন। দুঃখ পুষিয়ে নেওয়ার কোথা আপনাদের কাছে এমনি এমনি বলিনি। আগের বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময় এই কটক শহরেই বাংলার কৃত্তিকা সিংহ রায়ের লাছে হেরে যান ঐহিকা। সেই থেকে তাঁর মনে চেপে গিয়েছিল অদম্য জেদ। বাইশ বছরের ঐহিকা ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। ঐহিকার বাবা গৌতম মুখোপাধ্যায় বিএসএফের হয়ে একসময় ফুটবল খেলতেন। মূলত তাঁর উতসাহেই ছোটবেলায়, মাত্র ছয় বছর বয়সে টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল ঐহিকা। ঐহিকা ভর্তি হয়েছিলেন নামী কোচ মিহির ঘোষের কাছে। কোচ মিহির ঘোষ জানিয়েছেন যে জাতীয় স্তরে কোনওদিন কোনও পদক জিততে পারেননি ঐহিকা। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি অনেক পদক পেয়েছেন। এখন ঐহিকা চোখ রেখেছেন ২০২০ এর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে। টোকিয়োর টেবিল টেনিসের দল এখনও তৈরি হয়নি। তবে ঐহিকা আশাবাদী তিনি সেই দলে থাকবেন। আশা করি সেখানেও আবার সফল হয়ে বাংলা তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করবেন তিনি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From উৎসব ও অনুষ্ঠান উদযাপন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA
এই নববর্ষে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরপুর থাকুন, মিষ্টি মুখ করুন আনন্দে
Indrani Bose
৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে উদবুদ্ধ করার মত ২০টি বার্তা
Debapriya Bhattacharyya