শীতের মরসুমে ধোঁয়া ওঠা কফির মাগ নিয়ে বারান্দায় মিঠে রোদ পোহানোর মজাটাই আলাদা। কিন্তু শীত তো প্রায় বিদায় নিল বলে। আর তার সঙ্গেই বিদায়বেলার উপহার হিসেবে রেখে যাবে একগুচ্ছ সর্দিকাশি আর জ্বর-জ্বালার জীবাণু, আমাদের চারপাশে! সেসবের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে এই না শীত-না গরমের মরসুমে আপনাকে দিনে অন্তত দু মাগ কফি খেতেই হবে। কিন্তু সাধারণভাবে তৈরি করে হয়। এই কফিতে আপনাকে মেশাতে হবে দারচিনি গুঁড়ো। কারণ, তা আপনাকে ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বরজ্বালার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থেকে বাঁচাবে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হবে
পরিবারে কি ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে? তা হলে তো আপনার কফিতে চিনির বদলে দারচিনি থাকা মাস্ট! নানা কেস স্টাডি অনুসারে দারচিনিতে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে, insulin sensitivity বেড়ে যায়, যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমে। এদিকে চিনির মতো না হলেও দারচিনি (Cinnamon) কিছুটা হলেও কফির তিতকুটে স্বাদে বদল আনে। ফলে খেতে মন্দ লাগে না।
আরও পড়ুন: চটপট ওজন কমাতে চান? তা হলে মধু আর দারচিনি একসঙ্গে মিশিয়ে খান!
ভুঁড়ি কমার সম্ভবনা বাড়বে
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফির সঙ্গে দারচিনির যুগলবন্দি ঘঠলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি এমন কিছু উপকারী উপাদানের ঘাটতি মেটে, যা বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে কথায়-কথায় খিদে না পাওয়ার কারণে মিনিটে-মিনিটে মুখ চলাও বন্ধ হয়ে যায়। তাতে করে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির প্রবেশ আটকে গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়।
জ্বরজ্বালার খপ্পর থেকে বাঁচায়
ইমিউনিটি বাড়লেই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলি আর ক্ষতি করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জ্বর, সর্দি-কাশি এবং সংক্রমণের মতো সমস্যা দূরে থাকে। দারচিনি মূলত ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজটাই করে থাকে। তাই বুঝতেই পারছেন বছরের এই সময়ে কফিতে মিশিয়ে হোক, কী শুধু শুধু, যে-কোনওভাবেই দারচিনি খেলে রোগমুক্ত থাকার সম্ভাবনা যে বাড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের মেরে ফেলে দেহের oxidative damage রোধ করে, যে কারণেও ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
হার্টের ক্ষমতাও বাড়বে
সপ্তাহে ক’দিন আলুর চপ, বেগুনি আর রোল খান শুনি? মঝে মধ্যে বার্গার, পিৎজাও চলে নিশ্চয়ই! সঙ্গে ঘুমের বারোটাও যে বেজেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ, সমীক্ষা বলছে, এদেশের যুবসমাজের সিংহভাগই রাত জেগে হয় সিনেমা দেখে, নয়তো মোবাইলে খুটখুট চলতেই থাকে। ফলে ঘণ্টাআটেক ঘুমোনোর সুযোগই মেলে না। আর এমন বেহিসেবি জীবনযাত্রার কারণে হার্টের উপর চাপ বাড়ছে, যে কারণেই তো গত কয়েক বছরে ভারতে হার্টের রোগের প্রকোপ মারাত্মক হারে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে হলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। সেই সঙ্গে কফির (Coffee) সঙ্গে মঝে মধ্যে দারচিনি গুঁড়ো খেতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকতেও বাধ্য হয়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
প্রদাহের মাত্রা কমবে বই কী!
সংক্রমণকে দূরে রাখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর মেরামতির জন্য ইনফ্লেমেশনের প্রয়োজন রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা যদি মাত্রা ছাড়ায়, তা হলেই বিপদ! গবেষণায় দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্ত প্রদাহের কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা থেকে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই তো প্রদাহের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই কারণেই কফিতে অল্প করে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, কফির সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো খেলে শরীরে বেশ কিছু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!