সকালের দিকটা হালকা ঠাণ্ডা। ঘুমের মধ্যেই গায়ে টেনে নিতে হবে চাদর। গলিতে আলো লাগিয়ে দেওয়া হবে সপ্তাহ খানেক আগেই। জ্বলবে তৃতীয়া থেকে। চতুর্থীর রাতে লরি করে ফুল ফ্যামিলি নিয়ে তিনি এন্ট্রি নেবেন পাড়ার প্যান্ডেলে। তার পর থেকে দিন কয়েক ঘড়ির অ্যালার্ম নয়, ঘুম ভাঙবে ঢাকের আওয়াজে। সেটাই তো সারা বছরে আমার-আপনার সবচেয়ে প্রিয় সময়। দুর্গা পুজো। বাঙালির প্রাণের উৎসব। কাউন্টডাউন তো এখন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। শুধু রিয়েল কেন, রিল লাইফেও পুজো ম্যানিয়া কিন্তু কম নেই। বারবার বাংলা সিনেমায় (Cinema) ফিরে ফিরে এসেছে পুজো। দুর্গাপুজো… (Durga Puja)। একবার রিওয়াইন্ড করে নেবেন নাকি?
উৎসব
এই ছবি পরিচালনা করে সেরা পরিচালক হিসেবে গোল্ডেন লোটাস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। পারিবারিক পুজোর রিইউনিয়ন। কলকাতায় থাকা ছেলে-মেয়েরা পুজোর সময়ই দেশের বাড়িতে ফেরে। সারা বছর বাড়ি আগলে রাখা মায়ের সঙ্গে তখনই দেখা হয়। বাড়ি ভেঙে প্রোমোটারকে দেওয়ার পরিকল্পনা চলে একদিকে। অন্যদিকে তারই অন্দরমহলে বয়ে যায় প্রেম-অপ্রেমের কাহিনি। বাড়ির ছোট মেয়ে বিয়ে করেছে এক বাউন্ডুলে শিল্পীকে। বিয়েটা টিকবে তো? বাড়ির বড় মেয়ে কিশোরীবেলার তুতো দাদার প্রেমকে এখনও আগলে রাখে। কিন্তু সেই উত্তাপে পরবর্তী প্রজন্ম গা সেঁকতে চাইলে ভয় পায়। দুর্গার আরতি হোক বা দশমীর সিঁদুরখেলা- পুজোর চালচ্চিত্রে এক অন্য জীবনের গল্প বুনেছিলেন ঋতুপর্ণ (Rituparno)।
জয় বাবা ফেলুনাথ
দেবী
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত আরও একটি অন্য ধারার ছবি। পুজো যেখানে প্রাসঙ্গিক। দয়াময়ীর বিয়ে হয় উমাপ্রসাদের সঙ্গে। দয়াময়ীর শ্বশুর কালীকিঙ্কর চৌধুরি মনে করেন, দয়াময়ীর ওপর দেবীর ভর হয়। বিশ্বাস, অবিশ্বাসের দোলাচলে অন্য পথে বয়ে চলে সাধারণ এক মেয়ের জীবন। ছবি বিশ্বাস, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুরের অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছিল এই ছবি।
অন্তরমহল
মূল গল্প তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রতিমা’। তার আধারেই এই ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। এক বয়স্ক জমিদার। তাঁর দুই স্ত্রী। আর ছিলেন এক কুমোর। দুর্গা প্রতিমা গড়া তাঁর কাজ। কিন্তু দুর্গা মায়ের মূর্তি গড়তে হবে কুইন ভিক্টোরিয়ার আদলে! এ ছবিকেও বেঁধে রাখে বাঙালির প্রাণের উৎসবই।
চোখের বালি
দেবীপক্ষ
রাজা সেন পরিচালিত এই ছবির নামের মধ্যেই রয়েছে দুর্গাপুজোর গন্ধ। এক ধর্ষিতা মেয়ের গল্প বলেছিলেন পরিচালক। মেয়েটি শাস্তি দিতে চায় দোষীদের। অর্থাৎ কোথাও যেন শুভ-অশুভের দ্বন্দ্ব। দুর্গা এবং অসুরের লড়াই। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
হিরের আংটি
ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত প্রথম সিনেমা। সেখানেও পুজোর আবহে গল্প বোনা হয়েছিল। একদিকে রহস্য দানা বেঁধেছিল, অন্যদিকে জমাট হয়েছিল পুজোর চালচিত্রে ফ্যামিলি রিইউনিয়ন।
বিসর্জন
২০১৭-এ মুক্তি পাওয়া কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবির ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার। প্রেক্ষাপটে মা দুর্গার জলে ভাসান দেওয়ার ছবি। তার ওপর ভেসে রয়েছে জয়া আহসানের মুখ। সারা মুখে সিঁদুর। নাকে বড় নথ। সোনার গয়নার সম্পূর্ণ সাজ। এক হিন্দু মহিলা কীভাবে এক মুসলিম যুবকের আশা-ভরসার উৎস হয়ে ওঠেন, তা নিয়েই এগোয় গল্প। যাকে ধরে রাখে দুর্গাপুজো।
বলো দুগ্গা মাইকি
এই ছবির পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। দুর্গা পুজো অঙ্কুশ এবং নুসরতের প্রেমকে আরও জমাট করেছিল। বাঙালির নস্ট্যালজিয়াকে ফ্রেমবন্দি করেছিলেন রাজ।
এছাড়াও বহু ছবি রয়েছে যেখানে দুর্গাপুজোই হয়ে উঠেছে একটা চরিত্র। কোথাও বা ব্যবহার হয়েছে চিত্রনাট্যের খাতিরেই।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From উৎসব ও অনুষ্ঠান উদযাপন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA
এই নববর্ষে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরপুর থাকুন, মিষ্টি মুখ করুন আনন্দে
Indrani Bose
৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে উদবুদ্ধ করার মত ২০টি বার্তা
Debapriya Bhattacharyya