বিনোদন

হাসতে চাইলে অবশ্যই দেখতেই হবে এই সেরা কুড়িটি বাংলা কমেডি মুভি (Best Bengali Comedy Movies)

Debapriya Bhattacharyya  |  Apr 21, 2020
হাসতে চাইলে অবশ্যই দেখতেই হবে এই সেরা কুড়িটি বাংলা কমেডি মুভি (Best Bengali Comedy Movies)

সিনেমা দেখতে ভালবাসেন না এমন মানুষ দিনের বেলা টর্চ নিয়ে খুঁজলেও একটিও পাবেন না। সত্যি কথা বলতে কী, এই ব্যস্ত জীবনে সামান্য বিনোদন যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে সত্যিই বড় কষ্ট হয়। বেশিরভাগ মানুষের কাছেই সিনেমা দেখাটা বিনোদনের একটা বড় অংশ। একটা সময় ছিল যখন সিঙ্গল স্ক্রিন ছিল এবং ম্যাটিনি শো-তে বেশ ভিড় হত। এখন মাল্টিপ্লেক্সের যুগে সিনেমার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমন যখন তখন সিনেমা দেখার একটা হিড়িকও পড়ে গিয়েছে।

সিনেমার নানা  বিভাগের মধ্যে হাসির সিনেমা কিন্তু একটু বেশিই জনপ্রিয়, আর তা যদি হয় বাংলা হাসির সিনেমা, তাহলে ত আর কথাই নেই! সর্বকালের সেরার সেরা বাংলা কমেডি সিনেমার (Best Bengali Comedy Movies) কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হল। সামনেই বিশ্ব হাসি দিবস, সেদিন না হয় এই কমেডি মুভিগুলো দেখে প্রাণ খুলে হাসলেন!

বিশ্ব হাসি দিবস নিয়ে দু-চার কথা (About World Laughter Day In Bengali)

বিশ্ব হাসি দিবস (World Laughter Day) প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবারে পালন করা হয়। ১৯৯৮ সালের ১০ মে তারিখে মুম্বাইতে প্রথমবার বিশ্বব্যাপী হাস্যযোগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মদন কাটারীয়া এই দিবস উদযাপন করেছিলেন। ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে লাফটার যোগ বা হাস্য যোগ আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন। ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস ধারণা অনুসারে, একজন মানুষের মুখের অভিব্যক্তি তার আবেগকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্ব হাসি দিবসের উদ্দেশ্য হল হাসির মাধ্যমে সৌভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের বিশ্বজনীন সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই দিবসটি সাধারণত জনস্থানে হাসার উদ্দেশ্যে মানুষ একত্রিত হয়ে পালন করে। বিশ্ব হাসি দিবস উদযাপন সাধারণ নিয়ম অনুসারে উক্ত দিনটিতে (World Laughter Day) লাফটার ক্লাবের সদস্যবৃন্দ পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে শহরের কোনো এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন সরকারী উদ্যান অথবা প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদিতে জড়ো হয়ে একসঙ্গে হাসেন। সেদিন তারা বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করেন এবং ডাঃ কটারিয়ার বার্তা পড়েন।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কবিতা ও উক্তি

আশিতে আসিও না (Ashite Ashiona – 1967)

কাহিনী – এই বাংলা হাসির সিনেমার গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ সদানন্দ। নাম সদানন্দ হলেও জীবনে কোনও আনন্দ নেই তাঁর। সন্তান-সন্ততিদের কাছে তিনি যেন বোঝা। কেউই বৃদ্ধকে সম্মান করে না (Bengali Comedy Movie of Rabi Ghosh)। একদিন দুপুরে ভাতঘুমের পর তাঁর জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন। আবার যৌবনে ফিরে যান তিনি। তারপরে কী কী হয় তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে দেখতে হবে এই হাসির সিনেমাটি।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, রবি ঘোষ, রুমা গুহঠাকুরতা, কমল মিত্র, আসিত বরণ, তরুণ কুমার। পরিচালনা করেছেন – শ্রী জয়দ্রথ

রিলিজ হয়েছে – ১৯৬৭ সালে

মৌচাক (Mouchak – 1974)

কাহিনী – নিতিশ তার স্ত্রী ও ভাইয়ের সঙ্গে সুখে সংসার করে। ইতিমধ্যে ভাই চাকরি পেল পাটকলে এবং বাড়ি থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে (Bangla Comedy Cinema)। এরপরে শুরু হল ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’ শিতেশের উপরে ‘কন্যাদায়গ্রস্থ’ পিতাদের ভালবাসার অত্যাচার (বাংলা হাসির মুভি)। এরপরে কীভাবে নিতিশ তাঁর ভাইকে বাঁচায় আরও কী কী মজার ঘটনা ঘটে তা জানতে হলে দেখে ফেলুন এই বাংলা হাসির সিনেমাটি।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – উত্তম কুমার, সাবিত্রি চট্টোপাধ্যায়, মিঠু মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, রবি ঘোষ, রত্না ঘোষাল, গীতা দে, সুলতা চৌধুরী। এই কমেডি মুভিটি পরিচালনা করেছেন অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৭৪ সাল

আরও পড়ুনঃ মে দিবসের উক্তি ও শুভেচ্ছা 

চার মূর্তি (Charmurti – 1978)

কাহিনী – বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসাধারণ সৃষ্টি টেনি দা-কে নিয়ে এই কাহিনী। টেনি দা, ক্যাবলা, প্যালা আর হাবুলের অভিযানের কাহিনী (Best Bengali Comedy Movies) এবং সেই অভিযান করতে গিয়ে কী কী হাসির ঘটনা ঘটে তা নিয়েই এই ছবির কাহিনী।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – চিন্ময় রায়, শম্ভু ভট্টাচার্য, রবি ঘোষ, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত, কাজল গুপ্ত। ছবির পরিচালক উমানাথ ভট্টাচার্য।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৭৮ সাল

বাক্স বদল (Baksho Badal – 1970)

কাহিনী – এক রেল সফরে অমিতা এবং মনোবিদ প্রতুলের সুটকেস বদলে যায়। প্রথমে যদিও তাঁরা কেউই কিছু বুঝতে পারেন না, তবে পরে যখন দু’জনেই বুঝতে পারেন তখন যার যার সুটকেস ফিরিয়ে নেন। তবে গল্প এত সহজে মেটে না (Bengali Comedy Films)। প্রতুল দেখে যে তার সুটকেসে সন্দেশের বাক্স নেই, অন্যদিকে অমিতা দেখে তার সুটকেসের জিনিসপত্রও ঘাঁটাঘাঁটি করা হয়েছে। তারপরে কী হয় জানার জন্য আপনাকে এই হাসির সিনেমাটি দেখতে হবে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – অপর্ণা সেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এই বাংলা কমেডি মুভিটি পরিচালনা করেছেন নিত্যানন্দ দত্ত।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৭০ সাল

ওগো বধূ সুন্দরী (Ogo Bodhu Shundori – 1981)

কাহিনী – চিত্রা একজন আধুনিকা এবং সোস্যালাইজ করতে পছন্দ করে। কিন্তু তার স্বামী গগন অধ্যাপনা করেন এবং তিনি বাংলা ভাষায় পারদর্শী ও এই ব্যাপারে তিনি বড্ড স্পর্শকাতর। চিত্রা চায় পশ্চিমি সভ্যতায় ভাসতে। এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পরে তাদের জীবনে আসে দ্বিতীয় এক নারী। এর পরে ঘটতে থাকে মজার মজার সব ঘটনা (Bengali Comedy Films) এবং পরে চিত্রা তার ভুল বুঝতে পারে।

প্রসঙ্গত, এই হাসির সিনেমাটিই মহানায়ক উত্তম কুমার অভিনীত শেষ ছবি।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – উত্তম কুমার, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত, বিকাশ রায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সলিল দত্ত।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৮১ সাল 

গল্প হলেও সত্যি (Golpo Holeo Sotti – 1966)

কাহিনী – মধ্যবিত্ত পরিবারে দৈনন্দিন কাজের জন্য একজন পরিচারক না থাকলে যে কত সমস্যা হয়, তা এই সিনেমায় (Bengali Comedy Movies) দেখানো হয়েছে। বাড়ির পরিচারক চলে যাওয়ায় বাড়ির সব সদস্যের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এমন সময়ে ধনঞ্জয় নামে একজন এই পরিবারে আসে এবং সবার মধ্যে মিলমিশ করিয়ে দিয়ে আবার কোথাও উধাও হয়ে যায়। পরিশেষে সদস্যরা নিজের নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং সুখে দিন কাটায় (Bangla Comedy Cinema)। কিন্তু এর মধ্যে ঘটে নানা মজার ঘটনা যা দেখলে চাইলে আপনাকে দমফাটা হাসির সিনেমাটি দেখতেই হবে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – রবি ঘোষ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, ছায়া দেবী, বঙ্কিম ঘোষ, ভারতী দেবী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তপন সিনহা।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৬৬ সাল

সারে চুয়াত্তর (Sare Chuattar – 1953)

কাহিনী – কলকাতার ‘অন্নপূর্ণা বোর্ডিং হাউজ’-এ বেশ দিন কাটান এখানকার অধিবাসীরা। সুখে-দুঃখে, হাসি-মজায় দিন কাটে তাদের। কিন্তু একদিন সেখানে থাকতে আসে রমলার পরিবার এবং শুরু হয় নানা মজার ঘটনা। এরই মধ্যে এই মেসের এক অধিবাসী রামপদর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় রমলার। কিন্তু মেসের ম্যানেজারের স্ত্রীয়ের কাছে অন্যরকম খবর পৌঁছায় (Bengali Comedy Movies) এবং তিনি ছানাপোনা নিয়ে হানা দেন সেখানে। এরপর কী কী ঘটে তা দেখলে হাসতে হাসতে পেতে খিল ধরবেই!  

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, তুলসি চক্রবর্তী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, মলিনা দেবী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নিরমল দে।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৫৩ সাল

বসন্ত বিলাপ (Basanta Bilap – 1973)

কাহিনী –শহরের বসন্ত বিলাপ নামক একটি হোস্টেলের মেয়েদের সাথে এলাকার কয়েকজন  ছেলের একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ ও আক্রোশকে কেন্দ্র করে ঘটনা প্রবাহ এগিয়ে চলে। সেই কারণেই দুই পক্ষই নিত্যনৈমিত্তিক ভাবে নতুন নতুন ফন্দি আঁটতে থাকে (Bangla Comedy Movies)। যা এই হাসির সিনেমার মূল উপজীব্য। যদিও শেষে হোস্টেলের তিনটি মেয়ে, তিনটি ছেলের প্রেমে পড়ে

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, রবি ঘোষ, চিন্ময় রায়, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, অনুপ কুমার প্রমুখ। এই বাংলা কমেডি মুভিটি পরিচালনা করেছেন দিনেন গুপ্ত।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৭৩ সাল

ভানু পেলো লটারী (Bhanu Pelo Lottery – 1958)

কাহিনী – ভানু একজন গ্রামের সহজ সরল মানুষ। নানারকম হাতের কাজ, পুতুল ইত্যাদি তৈরি করে এবং গান গেয়ে তার জীবিকানির্বাহ হয়। কিন্তু একদিন তার জীবন ওলটপালট হয়ে যায় যেদিন সে লটারি জেতে (Old Bengali Comedy Movies)।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, কমল মিত্র, লিলি চক্রবর্তী। ছবিটির পরিচালক তুষারকান্তি ঘোষ।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৫৮ সাল

গুপি গায়েন বাঘা বায়েন (Gupi Gayen Bagha Bayen – 1969)

কাহিনী – বাংলা হাসির সিনেমার কথা উঠবে আর সেখানে ‘গুপি গায়েন বাঘা বায়েন’-এর প্রসঙ্গ আসবে না তা কীকরে হয়! সত্যজিৎ রায় পরিচালিত এই পলিটিক্যাল কমেডি মুভিটি শুধুমাত্র দর্শকের মুখে হাসি ফোঁটায় না, বরং সামাজিক বার্তাও দেয়।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – তপেন চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, সন্তোষ দত্ত। ছবির পরিচালক সত্যজিৎ রায়।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৬৯ সাল

পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Personal Assistant – 1959)

কাহিনী – রমাপদ-র একটা চাকরির খুব প্রয়োজন। সে এ সওদাগরী অফিসে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরির আবেদন করে (Bangla Comedy Movies)। কিন্তু রমাপদ এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দু’জনেই হতবাক হয়ে যান যখন একে অন্যকে সামনে থেকে দেখেন! কী এমন ঘটে যে এঁরা দু’জনেই অবাক হন? আর যাই হোক, আপনারা কিন্তু জানতে পারলে খুবই হাসবেন।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – রুমা গুহঠাকুরতা, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির পরিচালক চিত্রকর।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৫৯ সাল

ছদ্মবেশি (Chhadmabeshi – 1971)

কাহিনী – বোটানির অধ্যাপক অবনীশ সেন সদ্য বিবাহের পর গিয়েছেন শ্যালিকাগৃহে, তবে নিজের পরিচয়ে নয়, ছদ্মবেশে। কিন্তু কেনই বা তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করলেন, শ্যালিকাগৃহে যাওয়ার পর কী কী মজার ঘটনা ঘটল সব জানতে পারবেন ছদ্মবেশী ছবিতে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – উত্তম কুমার, মাধবী মুখোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, জহর রায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, তরুণ কুমার। এই দম ফাটা বাংলা হাসির ছবির পরিচালক অগ্রদূত।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৭১ সাল

বাঞ্ছারামের বাগান (Bancharamer Bagan – 1980)

কাহিনী –বাংলা চলচিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সেরা কমেডি মুভি বলা যেতে পারে ‘বাঞ্ছারামের বাগান’কে। সিনেমাটির মূল চরিত্র বাঞ্ছারাম একজন বুড়ো মানুষ যে একটি পরিত্যক্ত জমিকে নিজের ভালবাসায় লালন করে সুন্দর এক বাগানে পরিবর্তিত করে, কিন্তু লোভী জমিদারের নজর পড়ে ওই বাগানে। এরপর জমিদার কীভাবে বারবার বাঞ্ছারামকে মেরে ফেলার ফন্দি আঁটে এবং শেষ পর্যন্ত নিজেই মারা যায় তা নিয়েই এই ছবির গল্প।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – মনোজ মিত্র, দিপঙ্কর দে, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ। পরিচালক হলেন তপন সিনহা

রিলিজ হয়েছে – ১৯৮০ সাল

ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট (Bhanu Goenda Jahar Assistant – 1971)

কাহিনী – নূপুরের বাবা তার অমতে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন, কিন্তু বিয়ের আগে মেয়ে পালিয়ে গেছে। এমত অবস্থায় নূপুরের বাবা দ্বারস্থ হন গোয়েন্দা (Old Bengali Comedy Movies) জুটি ভানু রায় ও জহর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর পর কী কী ঘটনা ঘটে তা তো এই কমেডি মুভিতেই বলা আছে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – ভানু বন্দ্যপাধ্যায়, জহর রায়, পাহাড়ি সান্যাল, লিলি চক্রবর্তী, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। ছবির পরিচালক পূর্ণেন্দু রায় চৌধুরী।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৭১ সাল

দাদার কীর্তি (Dadar Kirti – 1980)

কাহিনী – কেদার একজন সাদাসিধা সরল মনের ছেলে (Bangla Old Movies)। তিন বার বিএ পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে তার বাবা অত্যন্ত রেগে যান এবং তাকে বিহারের একটি শহরে তার কাকার কাছে পাঠিয়ে দেন। সরল মনের ছেলে কেদার কাকার বাড়িতে এসে খুড়তুতো ভাই সন্তুর বন্ধুবান্ধবদের হাসিঠাট্টার শিকার হয়। হঠাৎ সে প্রেমে পড়ে যায় সন্তুর বাগদত্তার দিদি সরস্বতীর। বলা যেতে পারে দাদার কীর্তি বাংলার সেরা রোম্যান্টিক কমেডি সিনেমাগুলির মধ্যে অন্যতম।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – তাপস পাল, মহুয়া রায় চৌধুরী, কালি বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, দেবশ্রী রায়, রুমা গুহঠাকুরতা, শমিত ভঞ্জ প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৮০ সাল

মৃতের মর্ত্যে আগমন (Mriter Marte Agaman – 1959)

কাহিনী – নরকে যাওয়ার পরে বিশ্বনাথ দেখেন তিনি সেখানে অনেক লোকের পরিচিত ছিলেন। তারা নরক থেকে পালাতে যমরাজের বিপক্ষে দল গঠন করার পরিকল্পনা করে। অবশেষে তারা নরক থেকে পালিয়ে যায় এবং পৃথিবীতে ফিরে আসে (Bangla Hasir Movie)। তারা আবিষ্কার করেছেন যে সমস্ত কিছু পরিবর্তিত হয়েছে, তাদের সম্পর্ক, প্রেম, ভালবাসা তাদের অনুপস্থিতিতে অপ্রাসঙ্গিক ছিল। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা তাদেরকে নরকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি বিশ্বাস, তুলসি চক্রবর্তী, বাসবী নন্দী। ছবির পরিচালক পশুপতি চট্টোপাধ্যায়।

রিলিজ হয়েছে –১৯৫৯ সাল 

যমালয়ে জীবন্ত মানুষ (Jamalaye Jibanta Manush – 1958)

কাহিনী – সিধুর জীবন অদ্ভুতভাবে বদলে যায় যখন তার প্রেমিকা আত্মহত্যা করে। পরে তাঁকে জীবিত অবস্থায় জমদূতেরা নিয়ে যায় যমালয়ে (Old Bengali Comedy Movies)। সেখানে গিয়ে ঘটে নানা মজার ঘটনা।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, তুলসি চক্রবর্তী। এই কমেডি মুভিটির পরিচালক প্রফুল্ল চক্রবর্তী।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৫৮ সাল

বরযাত্রী (Barjatri – 1951)

কাহিনী – ছয় বন্ধুর মধ্যে গনেশের জন্য পাত্রী খুঁজতে গিয়ে ঠিক কী কী মজার ঘটনা (Bangla Old Movies) ঘটল, সে কাহিনীই বলা হয়েছে ‘বরযাত্রী’ ছবিতে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, কালি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপ কুমার, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাংলা হাসির সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সত্যেন বোস।

রিলিজ হয়েছে – ১৯৫১ সাল

ভূতের ভবিষ্যৎ (Bhooter Bhabishyat – 2012)

কাহিনী – এক কালের জমিদার বাড়ি এখন শরিকি মামলার শিকার। তার উপরে আবার বনেদি বাড়িতে নজর পড়েছে প্রমোটারের (Bengali Funny Movies)। কিন্তু জমিদার দর্প নারায়ণের বাড়ি যে এখন ভূতেদের বাসস্থান তা টের পাওয়া যায় এক সিনেমার শুটিংয়ে। তারপরে কী হয় তা নিয়েই এই হাসির সিনেমার গল্পটি বলা হয়েছে।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, মমতাজ সরকার, মনামি ঘোষ, স্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, জর্জ বেকার, মীর। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অনীক দত্ত।

রিলিজ হয়েছে – ২০১২ সাল

গয়নার বাক্স (Goynar Baksho – 2013)

কাহিনী – বাল্য বিধবা রাসমনির একমাত্র সম্বল ৫০০ ভরি সোনার গয়না যা সে জিবৎকালে তো হাতছাড়া করতেই পারত না (Bengali Funny Movies), মৃত্যুর পরেও যখের ধনের মতোই আগলে রেখেছিল সে তার গয়নার বাক্স। কিন্ত কীভাবে নানা হাত ঘুরে তার নাতনির হাতে এসে পৌঁছয় সেই গয়না, তা নিয়েই সিনেমার গল্প।

নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক – মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, কঙ্কনা সেনশর্মা, স্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন। এই বাংলা কমেডি মুভিটি পরিচালনা করেছেন অপর্ণা সেন।

রিলিজ হয়েছে – ২০১৩ সাল

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

Read More From বিনোদন