বেড়ানো

নতুন বছরে সেলিব্রেট করতে কোথায় যাবেন ভেবেছেন? রইল কলকাতার কিছু সেরা জায়গার হদিশ

Debapriya Bhattacharyya  |  Dec 12, 2019
নতুন বছরে সেলিব্রেট করতে কোথায় যাবেন ভেবেছেন? রইল কলকাতার কিছু সেরা জায়গার হদিশ

ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি যে বছরের প্রথম দিনটা যেভাবে কাটানো হবে, গোটা বছরটাই নাকি সেরকম যাবে। অর্থাৎ, নতুন বছর (new year) শুরু হওয়ার সময়ে যে যে কাজগুলো করবেন, বছর গড়িয়ে যখন পুরনো হয়ে যাবে, তখনও নাকি সে কাজগুলোই চলতে থাকবে। মানে, যদি নতুন বছরের প্রথমদিন ভাল কিছু করেন, যেমন ধরুন, কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা রেস্তোরাঁতে খেতে যাওয়া বা প্রেম করা; তাহলে নাকি সারা বছরটাই বেশ আনন্দে কেটে যাবে! আর নতুন বছরের প্রথমদিনে যদি ঝগড়া-মারামারি হয়, তাহলে নাকি গোটা বছরটাই ঝগড়া-মারামারি করেই কাটবে। সত্যি-মিথ্যে ঠিক বলতে পারবনা, তবে এই বিষয়টা কিন্তু অনেকেই মানেন। সে’কারনেই হয়ত, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা সবাই’ই সেই দিনটাকে সেলিব্রেট (celebration) করি, আনন্দ করি, নতুন উদ্যমে বাঁচার আশা করি।

https://bangla.popxo.com/article/makeup-and-outfit-ideas-for-new-year-party-in-bengali

কলকাতাতে (kolkata) দুর্গাপুজো প্রধান উৎসব হলেও বড়দিন এবং ইংরেজি নতুন বছরেও কিন্তু শুরু হয়ে যায় সাজো সাজো রব। পরিবাবের সঙ্গে লোকজন বেরিয়ে পড়েন নতুন বছর সেলিব্রেট করতে। কেউ কেউ সারা শহরটা ঘুরে বেড়ান, কেউ বা কোথাও পিকনিক করতে যান, আবার কেউ কোনও রেস্তোরাঁতে খেতে যান। নতুন বছরে সেলিব্রেট করার জন্য আপনি কোথায় যাবেন কিছু ভেবেছেন? যদি ভেবে না থাকেন, তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করছি।

কলকাতার সেরা জায়গা, যেখানে নতুন বছরে যেতেই হবে

নতুন বছরে পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কলকাতাতে কিন্তু জায়গার অভাব নেই। এমন অনেক জায়গা রয়েছে আমাদের প্রাণের শহরে যেখানে আট থেকে আশি সবাই গিয়ে আনন্দ করতে পারে। এরকমই বেশ কয়েকটা ঘুরতে যাওয়ার জায়গার হদিশ এখানে দেওয়া হল, যেখানে গিয়ে নতুন বছরের প্রথমদিনটা আপনি ও আপনার পরিবারের লোকজন সেলিব্রেট করতে পারেন।

১। চিড়িয়াখানা

ইনস্টাগ্রাম

নতুন বছরে বাচ্চাদেরকে নিয়ে যদি কোথাও সেলিব্রেট করতে চান তাহলে চলে যেতে পারেন আলিপুর চিড়িয়াখানাতে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার থেকে শুরু করে সিংহ, হাতি, কচ্ছপ, নানা প্রজাতির পাখি – সবকিছু দেখতে পারবেন একই জায়গায়। আপনার বাড়ির খুদেটিও কিন্তু বেশ আনন্দ পাবে। এখানেই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কচ্ছপ ‘অদ্বিতীয়’। শুধুমাত্র স্থলজ প্রানী নয়, এখানে রয়েছে নানা জলজ প্রানীও। অ্যাকোয়ারিয়াম-এর প্রবেশমুল্য জনপ্রতি মাত্র পাঁচ টাকা, চিড়িয়াখানায় প্রবেশমুল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা (১৮ বছরের উর্ধে) এবং জনপ্রতি দশ টাকা (পাঁচ বছর পর্যন্ত)।

ঠিকানা – ২, আলিপুর রোড, আলিপুর, কলকাতা – ৭০০০২৭

সময় – প্রতিদিন সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা (বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে)

২। প্ল্যানেটরিয়াম

আপনার বাড়ির খুদে সদস্যটি যদি চাঁদ-তারা-গ্রহতে আগ্রহী হয়, তাহলে তাঁকে নিয়ে চলে যেতে পারেন বিড়লা তারামণ্ডলে। যদিও প্ল্যানেটরিয়াম নামেই বেশি পরিচিত, বিড়লা তারামণ্ডল জ্যোতিরবিজ্ঞান সংক্রান্ত নানা তথ্যে ভরপুর। এখানে নানা তথ্যপ্রদায়ী অনুষ্ঠান চলে প্রতিদিনই। বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি এই তিনটি ভাষায় এই ভিডিও  শোগুলি হয়।

ঠিকানা – পল’স ক্যাথিড্রাল, ৯৬, জওহরলাল নেহুরু রোড, কলকাতা – ৭০০০৭১ 

সময় – প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত

৩। জাদুঘর

ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর বা মিউজিয়াম আমাদের কলকাতা শহরেই রয়েছে। কি, শুনে বেশ আনন্দ হচ্ছে না? এই আনন্দটাই দ্বিগুন হয়ে যাবে যখন আপনি নতুন বছরে আপনার পরিবারের সঙ্গে (বিশেষ করে যদি পরিবারে কোনও খুদে থাকে) ঘুরে আসবেন ভারতীয় জাদুঘরে। দেশ বিদেশের নানা অ্যান্টিক রয়েছে এই সংগ্রহশালাতে। মানভুমের দুর্গামূর্তি থেকে শুরু করে ম্যামথের কঙ্কাল, তৃতীয় শতকের বুদ্ধমূর্তি থেকে শুরু করে মিশরিয় সভ্যতার নিদর্শন – কী নেই এখানে!

ঠিকানা – ২৭, জওহর লাল নেহুরু রোড, ধর্মতলা, কলকাতা – ৭০০০১৬  

সময় – সোম থেকে শুক্র সকাল দশটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত এবং শনি-রবি সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত

৪। প্রিন্সেপ ঘাট

ইনস্টাগ্রাম

বাবুঘাট-আউট্রাম ঘাট পেরিয়ে চক্ররেলের রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই পৌঁছে যাবেন প্রিন্সেপ ঘাটে। নতুন বছরে না হয় একসঙ্গে দেখলেন সূর্যাস্ত, গঙ্গার বুকে নৌকায় চেপে। আবার শুধুমাত্র দুজনে না গিয়ে যদি সপরিবারে একসঙ্গে বছরের প্রথম দিনে নৌকাবিহার করতে চান, তাও করতে পারেন। ইচ্ছে হলে গলা ছেড়ে গান গাইতেও নিষেধ নেই। গঙ্গার ঢেউয়ের টানে এগিয়ে চলবে নৌকা আর মাঝদরিয়ায় গান, তৈরি হবে এক অন্য আবহ। এভাবেও কিন্তু নতুন বছর সেলিব্রেট করা যায় তাই না?

৫। আউট্রাম ঘাট

শহরের কোলহল থেকে দূরে, নিরিবিলিতে যদি নতুন বছরের প্রথম দিনটা কাটাতে চান তাহলে গঙ্গার ধারে বসেও কিন্তু কাটাতে পারেন। শীতের দুপুরে মিঠে রোদে খুব একটা খারাপ লাগবে বলে মনে হয় না। সূর্যাস্তের সময়ে আকাশে রঙবদল আর জলে হিমেল হাওয়ার স্পর্শে ছোট ছোট ঢেউয়ের খেলা – ব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি তো একদিন নিতেই পারেন তাই না?

৬। পার্ক স্ট্রিট

নতুন বছরের আনন্দে গা ভাসাতে বাঙালি পার্ক স্ট্রিট যাবে না এও কি সম্ভব? পার্ক স্ট্রিট এরিয়া ধরে ঘুরে বেড়ান মনের মানুষের সঙ্গে, আর যদি একাই থাকেন তাহলে তো যেখানে খুশি যেতে পারেন!

নতুন বছরে সপরিবারে এই রেস্তোরাঁগুলোতে খেতে যেতে পারেন

নতুন বছরের প্রথম দিনে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া হবে না, তা কি আর হয়? পরিবারের সঙ্গে ভুরিভোজ করতে যেতে পারেন শহরের পাঁচতারা হোটেলের রেস্তোরাঁগুলোতে। দারুণ দারুণ লোভনীয় ও সুস্বাদু খাবারের রেস্তোরাঁর হদিশ রইল এখানে। যদি ভাবেন যে পাঁচতারা হোটেলগুলোতে পরিবারের সঙ্গে খেতে গেলে পকেটে অনেকটা টান পড়বে তাহলে জানিয়ে রাখি, নতুন বছর সেইব্রেট করার সময়ে কিন্তু এখানে অনেক ছাড় দেওয়া হয়, আপনাকে শুধু আগে থেকে টেবিল বুক করে নিতে হবে।

১। ইডেন প্যাভেলিয়ান – আইটিসি সোনার

ইনস্টাগ্রাম

যদি পরিবারের এক একজনের খাবারের পছন্দ এক এক রকমের হয় সেক্ষেত্রে  চলে যেতে পারেন আই টি সি সোনারের ইডেন প্যাভেলিয়ন-এ। এখানে বাঙালি খাবার তো পাবেনই, সঙ্গে বিদেশী খাবারও পাবেন। নতুন বছরে এক ছাদের নীচে সবাই বসে বাঙালি, এশিয়ান, কন্টিনেন্টাল এবং মেডিটেরিনিয়ান সুস্বাদু খাবার খেয়েই না বছরের প্রথম দিনটা কাটান।

ঠিকানা – আই টি সি সোনার, ই এম বাইপাস, কলকাতা

২। অ্যালফ্রাস্কো – দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন

মাল্টি-কুইজিন ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাতে খাবার খেয়ে যদি পরিবারের সঙ্গে নতুন বছর সেলিব্রেট করতে চান, তাহলে কিন্তু আসতেই হবে অ্যালফ্রাস্কোয়।  সেট ব্যুফে থেকে শুরু করে আ-লা-কার্টে – যা ইচ্ছে অর্ডার করুন আর প্রাণ ভরে খান। তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র যে খাবারের জন্যই অ্যালফ্রাস্কো বিখ্যাত তা নয়, গ্রেট ইস্টার্নের ঐতিহ্যের জন্যও আসতে হবে এখানে।

ঠিকানা – দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন, ১,২,৩, ওল্ড কোর্ট হাউজ স্ট্রিট, কলকাতা

৩। জে-ডাবলু ম্যারিয়ট কিচেন

ইনস্টাগ্রাম

বাইপাসের ধারে ঝাঁ-চকচকে পাঁচতারা রেস্তোরাঁ ম্যারিয়ট কিচেন। দেশি খাবার থেকে শুরু করে নানা দেশের নানা পদ চেখে দেখতে পারেন এখানে। নতুন বছরে এখানে বুফেও চলে এবং তাও বেশ অনেকটা ছাড়ে।

ঠিকানা – ৪ এ, জে বি এস হ্যাল্ডেন অ্যাভিনিউ, ট্যাংরা, কলকাতা

৪। ওয়েস্ট ভিউ গ্রিল অ্যান্ড বার – আইটিসি সোনার

আই টি সি সোনার-এর আরো একটি ফাইন ডাইনিং রেস্তোরা হলো ওয়েস্ট ভিউ গ্রিল এন্ড বার। মাছ, মাংস এবং গ্রীলড খাবারের জন্য যারা পাগল, তাদের কিন্তু এখানে আসতেই হবে! নতুন বছরের শুরুটা যদি সুস্বাদু করতে চান এবং তাও হেলদিভাবে তাহলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসুন এখানে।

ঠিকানা – আই টি সি সোনার, ই এম বাইপাস, কলকাতা

৫। দ্য বিগ বেন – কেনিলওরথ হোটেল

নতুন বছরে আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে সুস্বাদু খাবার উপভোগ করছেন আর সঙ্গে লাইভ মিউজিকও চলছে – ভাবুন তো, পরিবেশটাই অন্য রকম হয়ে যাবে, আর খাওয়ার মজা দ্বিগুন যে হবে তাতে তো কোনো সন্দেহই নেই! যদি এরকম একটা পরিবেশে আপনি পরিবারের সাথে নতুন বছরের প্রথম দিন সেলিব্রেট করতে চান, তাহলে চলে কেনিলওরথ হোটেলের স্য বিগ বিন হল সেরা ঠিকানা।

ঠিকানা – কেনিলওরথ হোটেল, লিটল রাসল স্ট্রিট, থিয়েটর রোড, কলকাতা

নতুন বছরে মনের মানুষের সঙ্গে যাওয়া যেতে পারে এই রোম্যান্টিক রেস্তোরাঁগুলোতে

বছরের প্রথম দিনে মনের মানুষের সঙ্গে সারাটাদিন কাটাতে আমরা কে না চাই? মনের মানুষের সঙ্গে খেতে যেতে পারেন এমন কয়েকটি দারুণ রেস্তোরাঁর হদিশ রইল এখানে।

১। সাম প্লেস এলস

নতুন বছরে প্রেমিক বা বরের সঙ্গে ডিনার ডেটে যেতে পারেন কিন্তু। মোমবাতির আলোয় একে অন্যের হাতে হাত রেখে নতুন বছরে আরও একবার সঙ্গে থাকার প্রমিসও করতে পারেন। সঙ্গে স্লিক ডেকর আর কন্টিনেন্টাল খাবার তো রয়েছেই। বিকেল সাড়ে চারটে থেকে রাত দুটো পর্যন্ত এই রেস্তোরাঁ খোলা থাকে কাজেই চাইলে লেট নাইট ডিনারেও যেতে পারেন।

ঠিকানা- ১৭, পার্ক স্ট্রিট, তালতলা, কলকাতা

২। অ্যাকোয়া – দ্য পার্ক হোটেল

ইনস্টাগ্রাম

নতুন বছরে মনের মানুষটির সঙ্গে কোজি রোম্যান্টিক পরিবেশে সেলিব্রেট করতে চান? তবে শুধু মুখে তো আর সেলিব্রেট করা যায় না, তাও আবার বছরের প্রথম দিন! কাজেই চলে যেতে পারেন স্য পার্ক হোটেলের অ্যাকোয়াতে। নানা ধরনের ককটেল, চিকেন টিক্কা, কাবাব প্ল্যাটার এখানকার সিগনেচার পদ। আর সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল এই রেস্তোরাঁ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে।  

ঠিকানা: দ্য পার্ক হোটেল, পার্ক স্ট্রিট

৩। বেজিং – চায়না টাউন

চিনা খাবার যদি আপনার এবং আপনার প্রেমিক বা বরের পছন্দ হয় তাহলে চায়না টাউনের থেকে ভাল জায়গা কলকাতা শহরে আর কোথাও আছে বলে অন্তত আমার জানা নেই। চায়না টাউনে গেলে বেজিং-এ কিন্তু যেতেই হবে, আর মজার কথা হল, এই বেজিং-এ আপনারা পাসপোর্ট ছাড়াই যেতে পারবেন! জিভে জল আনা চিনা খাবার, সিজলার, পর্ক-এর নানা পদ খেয়ে সেলিব্রেট করুন না নতুন বছরের প্রথম দিনে।

ঠিকানা – ১০৫, তোপসিয়া রোড, ট্যাংরা, কলকাতা

৪। রাঙামাটি

বড়দিন আর নতুন বছরে যতই কেক খান না কেন, কলকাতাতে থাকলে বাঙালিরা খাঁটি বাঙালি খাবার খাবেন না এমনটা হয় না। খাঁটি বাংলাদেশি রান্না খেয়ে যদি বছরের প্রথম দিন সেলিব্রেট করতে চান নিজের মনের মানুষের সঙ্গে, তাহলে রাঙামাটি রেস্তোরাঁতে চলে যেতে পারেন। হ্যাঁ, পাঁচতারা হোটেলের রেস্তোরাঁর মতো গ্ল্যামার না থাকলেও খাবারের স্বাদের দিক থেকে কিন্তু যেকোনোও পাঁচতারা রেস্তোরাঁকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ছোট্ট ফুড জয়েন্টটি।

ঠিকানা – শপ ৪, মুকুন্দপুর, কলকাতা ৯৯ (দেবী শেট্টি হাসপাতালের কাছে)

৫। অউধ ১৫৯০

ইনস্টাগ্রাম

মুঘল যুগে ফিরে যেতে পারেন বছরের প্রথম দিনে, যদি সেলিব্রেট করতে আসেন অউধ ১৫৯০-তে। শুধুমাত্র জিভে জল আনা মুঘলাই খানা পরিবেশন করেন না এঁরা, রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জাও আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে মুঘল যুগে। নবাবী বাসনে যখন ধোঁয়া ওঠা রান বিরিয়ানি আর লখনৌই পরোটা আসবে, সঙ্গে যখন গলৌটি কাবাব মুখের ভিতরে গলে যাবে আর আপনার মস্তিস্কের প্রতিটি স্নায়ু সজাগ করে তুলবে – ভাবতে পারছেন বছরের প্রথম দিনটা ঠিক কীরকম হতে পারে?
ঠিকানা- শপ ২৩/বি, দেশপ্রিয় পার্ক (ওয়েস্ট), কলকাতা

নতুন বছরে শহরের আশেপাশে ও শহরতলির এই জায়গাগুলোতেও ঘুরে আসতে পারেন

শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে নতুন বছরে একটু শান্তিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান? শহর থেকে দূরে এবং শহরতলিতে বেড়াতে যাওয়ার দারুণ চারটি জায়গার হদিশ রইল শুধু আপনার জন্য।

১। সুন্দরগ্রাম

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এই ছোট্ট ইকো ভিলেজটিতে নতুন বছরের প্রথম এক-দুটো দিন কাটাতে পারেন কিন্তু, প্রকৃতির কোলে।

ঠিকানা – রাজেন্দ্রপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

ফোন নম্বর – ৯০৫১০৬৪৫১০

২। ইটাচুনা রাজবাড়ি

লুটেরা দেখেছেন নিশ্চয়ই? ইচ্ছে আছে নাকি সেই জমিদার বাড়িতে একটি রাত কাটানোর? তাহলে বর্ধমানের ইটাচুনা রাজবাড়িতে সপরিবারে বা সবান্ধব চলে যেতে পারেন। এখানে থাকার অভিজ্ঞতা ভোলার নয়।

ফোন নম্বর – ৯৭৪৮৭০০৮২০

৩। বাওয়ালি ফার্মহাউজ ও রাজবাড়ি

দক্ষিণ কলকাতার শহরতলীতে রয়েছে দারুণ এক রাজবাড়ি, সঙ্গে ফুলের নার্সারি। বছরের প্রথমদিনে কোলাহল থেকে দূরে কাটাতে চাইলে ঘুরে আসুন না একবার।

ফোন নম্বর – ৯৮৩০৩৮৩০০৮

৪। সুন্দরবন ক্রুজ

জলবিহার করতে চান নাকি নতুন বছর সেলিব্রেট করার সময়ে? তাহলে কলকাতা থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে চলে যেতে পারেন সুন্দরবনে। বেশ সুন্দর ক্রুজের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে, ফলে নতুন বছরের সেলিব্রেশন যে দেদার মজায় হবে তা তো জানা কথাই!

ফোন নম্বর – ৯৮৩৬১১৭৭৭৭

জরুরি কিছু বিষয় মাথায় রাখুন

নতুন বছরে আনন্দ করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু বিষয় যদি মাথায় রাখেন, তাহলে সেলিব্রেশনের আনন্দ কিন্তু চতুর্গুণ বেড়ে যাবে –

১। নতুন বছরে সেলিব্রেট করতে কিন্তু আপনি একা বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না, কলকাতা শহর ও শহরতলির আরও অন্যান্যরাও বেরচ্ছে। কাজেই রাস্তায় জ্যাম থাকতে পারে। ফলে যদি কোথাও যেতে হয়, হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বেরবেন।

২। রেস্তোরাঁতে আগে থেকে টেবিল বুক না করা থাকলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতে পারে, এবং সেই সময়টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু করে দু’ঘন্টাও হতে পারে। এই কথাটি মাথায় রাখবেন।

৩। যদি বয়স্ক মানুষ থাকেন সঙ্গে, সেক্ষেত্রে তাঁদের ওষুধ রাখুন, সঙ্গে জল। এমন কোথাও নতুন বছরে সেলিব্রেট করতে যান, যেখানে তাঁদের বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হবে না, বা অপেক্ষা করতে হলেও ছায়া যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যদি কোনও রেস্তোরাঁতে খেতে যান বাড়ির বয়স্ক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, তাহলে খুব বেশি সিঁড়ি ভাঙ্গতে হয় এমন রেস্তোরাতে না যাওয়াই ভাল।

৪। বাচ্চাদের সঙ্গে করে নতুন বছরে বেরলে, সঙ্গে বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিন। শুকনো খাবার, খেলনা, ওষুধ, জল এগুলো নিতে ভুলবেন না। 

৫। নতুন বছরে কোথাও বাইরে বেড়াতে গেলে আগে থেকে বুকিং না করে গেলে ঘর পাবেন না, কাজেই এখন থেকেই বুকিং করে রাখুন।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়

Read More From বেড়ানো