বিনোদন

আমাকে দেখলেই আমার জামাইয়ের সব রাগ গলে জল হয়ে যায়: দিতিপ্রিয়া রায়

Swaralipi Bhattacharyya  |  Aug 1, 2019
আমাকে দেখলেই আমার জামাইয়ের সব রাগ গলে জল হয়ে যায়: দিতিপ্রিয়া রায়

টালিগঞ্জের স্টুডিয়ো পাড়ায় রানি রাসমণির শুটিং চলছে। মেকআপ করে রেডি রাসমণি (Rani Rashmoni) ওরফে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। শট রেডি হলেই ডাক পড়বে। তার ফাঁকেই ফোনে আড্ডা দিলেন POPxo বাংলার সঙ্গে। 

কেমন আছেন? 

ভাল, আপনি?

ভাল। ওয়েলকাম টু POPxo.com

থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।  

রানির খবর কী?

রানিও ভাল আছে। গল্পে সে এখন কাশী যাওয়ার পথে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠার স্বপ্নাদেশ পেয়েছে। কিন্তু রানির মধ্যে একটা কনফিউশনও তৈরি হয়েছে।

কেন?

আসলে রানি রাসমণি ছিলেন কৃষ্ণভক্ত। অর্থাৎ বৈষ্ণব। কিন্তু স্বপ্নে কালী ঠাকুর মন্দির তৈরির আদেশ দিয়েছেন। কৃষ্ণভক্ত হয়ে কালীর পুজো করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে কনফিউশন তৈরি হয়েছে।

তা হলে উপায়?

উপায় তো আছেই। কৃষ্ণ আর কালীকে এক রূপে দেখেছে রানি। এবার আর মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই।

দক্ষিণেশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠা মানেই তো শ্রীরামকৃষ্ণের আগমন?

হ্যাঁ। রামকৃষ্ণ তো আসবেই। তাঁর সঙ্গে রানির জার্নি এবার দেখবেন দর্শক। অলরেডি রামকুমার অর্থাৎ রামকৃষ্ণের দাদার চরিত্র এস্ট্যাবলিশড হয়ে গিয়েছে। ফলে রামকৃষ্ণের আসাটা আর খুব দূরে নেই।

ইতিহাস অনুযায়ী রাসমণির আরও এক ভরসার জায়গা তাঁর জামাই মথুরবাবু…

হ্যাঁ, মথুরের উপর প্রায় সব কাজেই ভরসা করতেন রাসমণি। জামাই তাঁর কাছে নিজের ছেলের চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলেন না।

অফ স্ক্রিন মথুর অর্থাৎ গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের (Gourab Chatterjee) সঙ্গে আপনার কীরকম সম্পর্ক?

ওরে বাবা (হেসে)… গোগো। ওকে আমি গোগো বলে ডাকি। আমরা আগেও তো একসঙ্গে কাজ করেছি। গোগোর উপর অনেক অত্যাচার করি আমি। ওর গোঁফ ধরে টানি। যা খুশি করি! একমাত্র আমি বলেই বোধ হয় গোগো সেটা সহ্য করে। আরও একটা ব্যাপার আছে। বলব?

প্লিজ… সিক্রেট নাকি?

না, না। সিক্রেট নয়। তবে একটা বিষয় আমি দেখেছি, গোগো যদি কোনও কারণে রেগে থাকে, আমাকে দেখলেই সেই রাগ চলে যায়।

বাঃ, দারুণ বন্ধুত্ব তো আপনাদের! 

হুম… খুব ভাল বন্ডিং আমাদের।

আপনার অন স্ক্রিন মেয়েরা তো আপনার খুব ভাল বন্ধু?

হ্যাঁ। এখন যদিও দুজন আছে। মেয়েরা কিন্তু বয়সে আমার থেকে সকলেই বড়। হা হা…তবে যখন সবাই ছিল আমরা শুটিংয়ের ফাঁকে ডাম্ব শরাড খেলতাম। আরও অনেক কিছু খেলতাম তখন। ওরা যদিও শাড়ি নিয়ে খুব কনসাস থাকত। শাড়ি সামলাতে ব্যস্ত থাকত। আমার তো ও সবে কোনওদিনই কোনও বালাই নেই।

এত দিন ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই ধারাবাহিক। রাসমণির ছোট বয়স থেকে পরিণত বয়স, পুরো জার্নিটাই আপনি করছেন। কেমন অভিজ্ঞতা?

এক কথায় অনবদ্য। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা নির্মাতাদের ধন্যবাদ দেব। আসলে এমন একটা দায়িত্ব, এমন একটা কাজ এটা, যা করতে আমার ভাল লাগে। এখন তো যে সব সিন চলছে তা আমরা অনেকেই পড়েছি ইতিহাসে। সেসব দৃশ্যে পারফর্ম করতে সত্যিই খুব ভাল লাগছে।

বহু দর্শক আপনার প্রশংসা করেন। তাতে আপনি অভ্যস্ত। কিন্তু এমন কোনও অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবেন, যেখানে অস্বস্তি হয়েছে?

প্রথম-প্রথম কোনও অনুষ্ঠানে গেলে বয়স্করা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন, সেটা এখনও করেন। তার সঙ্গে এখন দেখছি ছোটরাও প্রণাম করে। এগুলো বেশ অস্বস্তির।

এ তো গেল রানির কথা, আর দিতিপ্রিয়া? আচ্ছা, আপনি কি ফুডি?

বিরিয়ানি, কন্টিনেন্টাল, থাই ডিশ আমার ফেভারিট। আর মায়ের রান্না করা মটন বা চিকেন। আমি সব কিছুই খাই, কিন্তু পরিমাণে অল্প।

দিতিপ্রিয়ার মন খারাপ হয়? সেটা সামলান কীভাবে?

সে তো হয়ই। শুটিংয়ে বা বাড়িতে অনেক সময় মন খারাপ হয় বই কী! তখন গল্পের বই পড়ি, নেটফ্লিক্স দেখি, শপিং করি বা ছোট্ট করে ড্রাইভে চলে গেলাম। তবে খুব মনখারাপ হলে ড্রয়িং করি। ওটাই আমার ওষুধ।

ক্লাস টুয়েলভ। সঙ্গে সেলেব স্টেটাস। এ হেন দিতিপ্রিয়া কি প্রেম করছেন?

হা হা…এখনও নয়। প্রেম করলে জানাব… 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From বিনোদন