রূপচর্চা ও বিউটি টিপস
পার্লারে ছুটবেন কেন, ঘরে বসেই তো করে নিতে পারেন মুখের ফেসিয়াল (How To Do Facial At Home)
ছোট থেকেই আমার স্কিনের (Skin) সমস্যা। আসলে নাচের প্রোগ্রামের জন্য আমাকে মাঝেমধ্যেই মেকআপ করতে হতো। যার ক্ষতিকর প্রভাব আমার স্কিনে (Skin) পড়েছে। তো যবে থেকে আমি পার্লারে যাওয়া শুরু করেছি, আমাকে সেখানে নানা রকম সাজেশন দেয়, অমুক ফেসিয়াল (Facial) কর, তমুক ফেসিয়াল (Facial) করতে পার। কিন্তু আমি সে সবের ধার মাড়াই না। কারণ আমি ছোট থেকেই দেখেছি, আমার দিদামা-ঠাকুরমাদের স্কিন (Skin) কত্ত ভাল ছিল। অথচ তাঁরা কেউ কোনও দিনই পার্লারে যাননি। পার্লারে না গিয়েও কত্ত সুন্দর ভাবে মেনটেন করতেন নিজেদের। কী সুন্দর নরম তুলতুলে ঝকঝকে-তকতকে স্কিন (Skin)! আমার মা-ও তা-ই। সেই জন্য যখন ফেসিয়াল (Facial) করার কথা ওঠে, তখনই মা চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। তাই ছোটবেলা থেকে মা পাখি পড়ানোর মতো করে বলে রেখেছে, “কখনও ফেসিয়াল (Facial) করবি না। ঘরে বসেই স্কিনের (Skin) চর্চা কর।” মা-ই বলে, রান্নাবান্না করে ঘরকন্নার কাজ সামলে পার্লার যাওয়ার সময় কই! গোটা দিনই তো রান্নাঘরে কেটে যায়। তাই মা-কে দেখেছি, ঘরে বসেই ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে পার্লারের মতো ফেসিয়াল (Facial) করতে।
তবে ফেসিয়াল (Facial) করার আগে যেটা মনে রাখতে হবে, সেটা হল- স্কিনের ধরন প্রথমে বুঝতে হবে। তার পর সেই অনুযায়ী ফেসিয়াল (Facial) করতে হবে। এমনিতে প্রত্যেকের বাড়িতেই ক্রিম-লোশন থাকে। তাই ১০ মিনিট করে ক্রিম বা লোশন দিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে মাসাজ করতে হবে। তার পর ইষদুষ্ণ গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তাতে আপনার স্কিন (Skin) থাকবে নরম্যাল। এতে আপনার স্কিনের মড়া চামড়া দূর হয়ে যাবে আর স্কিনে ময়লাও থাকবে না।
স্টেপ-বাই-স্টেপ ঘরে বসে ফেসিয়াল করার পদ্ধতি
স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফেসপ্যাক – Face Pack For Your Skin Type In Bengali
আসলে আমাদের স্কিন (Skin Type) চার ধরনের-
১। শুষ্ক ত্বক (Dry Skin)
২। তৈলাক্ত ত্বক (Oily Skin)
৩। মিশ্র ত্বক (Combination Skin)
৪। স্বাভাবিক ত্বক বা নর্ম্যাল স্কিন (Normal Skin)
শুষ্ক ত্বক – Face Pack For Dry Skin
শুষ্ক ত্বকের প্যাক (Face Pack For Dry Skin) বানানোর জন্য লাগবে- ছোলার ডালের বেসন, দুধের সর, কাঁচা দুধ। সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। পরে ইষদুষ্ণ গরম জলে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি মুখের চকচকে ভাব ফুটিয়ে তুলবে এবং কুচকে যাওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। এই মাস্কটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এ ছাড়াও শুষ্ক ত্বকে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক (Face Pack), বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক (Face Pack) ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বক – Face Pack For Oily Skin
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি উপকারী প্যাক (Face Pack For Oily Skin) ঘরে বসেই বানাতে পারেন। সেটা হল- মুসুর ডাল ভিজিয়ে বেটে নিতে হবে। এর পর ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পর ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরে ঠান্ডা শসা কুচিয়ে ৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক (Face pack), আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক দারুণ।
মিশ্র ত্বক – Face Pack For Combination Skin
মিশ্র ত্বকের জন্য ঘরে বসেই স্ক্রাবার বানিয়ে নিতে পারেন। মিশ্র ত্বকের জন্য একটি উপকারী প্যাক (Face Pack For Combination Skin) হল- চালের গুঁড়া, গাজরের রস, দুধের সর ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এটা দিয়ে মুখে ৫ মিনিট স্ক্রাবিং করতে পারেন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তার পর একটি প্যাক (Face Pack) লাগাতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ, ২ চা চামচ কমলালেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি (Face Pack) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
স্বাভাবিক ত্বক – Face Mask For Normal Skin
স্বাভাবিক ত্বক বা নর্ম্যাল স্কিনের জন্য মুলতানি মাটির মাস্ক (Mask), মধু-গাজরের ফেসপ্যাক (Face Pack For Normal Skin), অলিভ অয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক (Face Pack), বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক (Face Pack) এবং ময়দা-মধুর মাস্ক (Mask) ব্যবহার করতে পারেন।
স্টেপ-বাই-স্টেপ ঘরে বসে ফেসিয়াল করার পদ্ধতি – How To Do Facial At Home In Bengali
এ বার আসি ফেসিয়ালের (Facial) গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধাপে। স্টেপ-বাই-স্টেপ ফলো করুন এই প্রক্রিয়া।
প্রস্তুতি – Preparation
প্রথমে নিজের চুল টেনে আটকে নিন। এ বার একটা কমফোর্টেবল জামা-কাপড় পরে নিন। যে হেতু স্কিনের স্ক্রাব, স্টিম, মাস্ক ব্যবহার করবেন, তাই দেখবেন যেন চোখ-মুখের উপর চুল এসে না পড়ে।
ক্লিনজিং – Cleansing
এটা হচ্ছে গিয়ে ফেসিয়ালের (Facial) সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ ফেসিয়াল শুরু করার আগে বাসি মেকআপ, স্কিনের ধুলো-ময়লা, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রথমে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলে তার পর ক্লিনজার দিয়ে সার্কুলার মোশনে মুখ পরিষ্কার করে সাধারণ জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, মুখের স্কিন ক্লিনজিংয়ের জন্য ইষদুষ্ণ গরম জল বা ঠান্ডা জলের থেকে বেশি ভাল রুম টেম্পারেচারের জল। আর যদি মেকআপ না উঠতে চায়, সে ক্ষেত্রে এক কাজ করতে পারেন। স্কিনে জোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল একটু মাসাজ করে নিন। তার পরে ইষদুষ্ণ গরম জলে তোয়ালে চুবিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিয়ে মুখের স্কিনের ময়লা তুলে নিন। এতে আপনার স্কিনও নরম ও উজ্জ্বল হবে।
স্ক্রাবিং – Scrubbing
মুখ পরিষ্কার করার পরের ধাপ হচ্ছে স্ক্রাবিং (Scrubbing)। আসলে ফেসিয়ালের (Facial) প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে স্কিনকে সুন্দর-সতেজ করে তোলা। তো স্ক্রাব (Scrubbing) ব্যবহার করলে আপনার স্কিনের মড়া-শুষ্ক চামড়া দূর হবে। স্ক্রাবিং (Scrubbing) হয়ে গেলে ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর একটা নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। আপনাদের জন্য রইল কয়েকটি ঘরোয়া স্ক্রাবের সন্ধান-
১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এক চা-চামচ চিনি, এক চা-চামচ মধু আর এক চা-চামচ জল মিশিয়ে স্ক্রাব বানাতে হবে।
২। নর্ম্যাল স্কিন যাঁদের, তাঁরা ১ চা-চামচ গুঁড়ো করা ওটমিল, এক চা-চামচ মধু আর এক চা-চামচ দুধ মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ফেলুন।
৩। শুষ্ক ত্বকের জন্য আমন্ডের স্ক্রাব দারুণ। এক কাজ করুন, এক চা-চামচ আমন্ড গুঁড়ো, ১ চা-চামচ মধু আর এক চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ফেলুন।
মাসাজ – Massage
স্ক্রাবিংয়ের পর হবে মাসাজ। ফেসিয়ালের (Facial) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মাসাজের ফলে রক্তসঞ্চালন ভাল হয়। মুখের ফোলাভাব, বলিরেখা এতে দূর হয়। পাশাপাশি, স্ট্রেসও চলে যায়। মাসাজের কয়েকটি ধাপ-
১। আঙুলের ডগা দিয়ে গালের উপর চক্রাকারে মাসাজ করুন। এ ভাবে এক মিনিট করতে থাকুন।
২। এ বার কপালে। সেখানেও এক মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।
৩। কপালের মাসাজ হয়ে গেলে এ বার চোখ। চোখের চারপাশে আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করতে হবে।
স্টিম – Steam
মাসাজের পরের ধাপ হল স্টিম নেওয়া। এতে আপনার স্কিনের পোরস খুলে গিয়ে তেল-ময়লা বেরিয়ে যায়। এতে আপনার স্কিন উজ্জ্বল ও সতেজ থাকে। একটা ছোট্ট পাত্রে জল নিয়ে ওভেনে গরম করে নিন। জল একটু ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিন। এ বার একটা তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিয়ে মুখ ওই ফুটন্ত জলের পাত্রের সামনে ধরুন। সেখান থেকে বেরোনো ধোঁয়া আপনার মুখে এসে যাতে লাগে। তিন থেকে পাঁচ মিনিট স্টিম নিতে হবে। আপনি যদি হার্বাল স্টিম নিতে চান, সে ক্ষেত্রে জলের মধ্যে পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল বা পিপারমিন্ট এক্সট্র্যাক্ট ফেলে দিন। অথবা হার্বাল টি-ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ক্যামোমাইল বা মিন্ট টি-ব্যাগ ট্রাই করতে পারেন।
মাস্ক – Mask
ফেসিয়াল (facial) মাস্কও (mask) আপনার ত্বকের (skin) সব ময়লা বার করে দিয়ে আপনার স্কিনের সব থেকে ভাল লুক এনে দেবে। তবে দোকানে পাওয়া যাওয়া মাস্কের থেকে ঘরে তৈরি করা মাস্ক (mask) অনেক ভাল। মাস্ক বা ফেসপ্যাক (Face Pack) মোটামুটি একই জিনিস। দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য হল মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হল, ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি। তবে হ্যাঁ স্কিন টাইপ অনুযায়ী আপনাকে মাস্কটাও বেছে নিতে হবে। এই যেমন-
১। যে কোনও টাইপের স্কিনের জন্য মাস্ক (Mask) হিসেবে সাধারণ মধু ব্যবহার করুন। কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা যে কোনও টাইপের স্কিনের জন্য দারুণ।
২। তৈলাক্ত স্কিনের জন্য ব্যবহার করুন- ১ চা-চামচ কসমেটিক ক্লে আর ১ টেবিলচামচ মধু
৩। নর্ম্যাল স্কিনের ভাল মাস্ক হল- এক টেবিল চামচ টক দই আর এক টেবিল চামচ মধু।
৪। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন- কলা আর মধু। অর্ধেকটা কলা চটকে নিয়ে তার মধ্যে এক টেবিলচামচ মধু দিয়ে একটা মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন।
স্কিনটাইপ অনুযায়ী এ ভাবে মাস্কটা ভাল ভাবে মাসাজ করে নিতে হবে। কুড়ি মিনিট ধরে এমন ভাবে মাসাজ করতে হবে যেন, মাস্কটা পুরোপুরি মসৃণ হয়ে যায়। তবে এই প্রক্রিয়া চলাকালীন চোখ-ঠোঁট-ঘাড়ের ত্বকের যত্নও নিতে হবে। যদি চোখ ফোলা ভাব থাকে, তা হলে মুখের স্কিনে মাস্ক লাগিয়ে চোখের উপর দু’টো শসার স্লাইস দিয়ে রিল্যাক্স করুন। আর ঠোঁটের শুষ্ক চামড়া তুলতে একটি নরম টুথব্রাশ দিয়ে ঘষুন। মড়া চামড়া এতে দূর হবে। তবে ফেসিয়ালের সময় মনে রাখবেন, আপনার মুখের স্কিনের মতোই নরম আপনার ঘাড় ও গলার নীচের দিকের স্কিনও। ফলে সেই অংশেরও যত্নের প্রয়োজন। সেই অংশেও মাস্ক নিয়ে মাসাজ করতে পারেন। মাস্ক লাগিয়ে মাসাজ করা হয়ে গেলে ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটা নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। এ বার আয়নায় নিজের মুখ দেখলে বুঝতে পারবেন, আগের থেকে উজ্জ্বল হয়েছে আপনার স্কিন!
টোনিং – Toning
স্টিম ও মাস্ক ব্যবহারের পরে আপনার স্কিনের পোরস খুলে অতিরিক্ত ময়লা বেরিয়ে যায়। তাই এ বার টোনিংয়ের পালা। যার ফলে খোলা পোরস বন্ধ হয়ে যাবে। একটু টোনার নিয়ে মুখে স্প্রে করে নিন। অতিরিক্ত টোনার তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। আর চাইলে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন টোনার। গোলাপ জল তো খুব ভাল টোনার। ১/২ লিটার জলে পরিশ্রুত জল ও ৮টি গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। যখন জল প্রায় বেগুনি হয়ে আসবে, তখন ওভেন থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে জলটি ছেঁকে নিন। এ ভাবে গোলাপ জল তৈরি করে এক মাস ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং – Moisturising
এটা হচ্ছে ফেসিয়ালের শেষ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। স্কিন (Skin) যাতে শুষ্ক না হয়ে যায় আর ফেসিয়ালের (Facial) প্রভাব যাতে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়, তার জন্য ময়েশ্চারাইজিং (Moisturising) খুবই জরুরি। আপনার যদি পছন্দের কোনও ময়েশ্চারাইজার থাকে, তা হলে সেটা ব্যবহার করুন। না হলে ঘরে থাকা উপকরণে বানিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজার। স্কিনটাইপ অনুযায়ী কেমন ময়েশ্চারাইজার বানাবেন, সেটা দেওয়া হল।
১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জোজোবা অয়েল আর অ্যালো ভেরা মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ময়েশ্চারাইজার।
২। নর্ম্যাল স্কিনের জন্য় অলিভ অয়েল আর আমন্ড অয়েল মিশিয়ে তৈরি করা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
৩। শুষ্ক ত্বকের জন্য নারকেল তেল আর আর্গন অয়েল মিশিয়ে ময়েশ্চাাইজার বানিয়ে নিন।
তবে হ্যাঁ, আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, এত কষ্ট করে সময় নিয়ে যে ফেসিয়াল করলেন, তার প্রভাব যেন তাড়াতাড়ি চলে যায়। তাই ফেসিয়ালের গোটা প্রোসেস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেকআপ করে নিলেন, সেটা কিন্তু চলবে না। কারণ মেকআপের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা আপনার স্কিনের ফেসিয়ালের (Facial) প্রভাব খুব সহজেই কাটিয়ে দেবে। তাই কয়েক ঘণ্টা পরে মেকআপ করলে ভাল।
ছবি সৌজন্যে: পিন্টরেস্ট
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Read More From রূপচর্চা ও বিউটি টিপস
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA