জানেন কি, সমীক্ষা বলছে, শতকরা ৭০ শতাংশ বাঙালিই নাকি পাইলস বা অর্শ রোগের যন্ত্রণায় কষ্ট পান। অথচ, এটি নিয়ে আমাদের মনে এমন একটা অযথা কিন্তু-কিন্তু ব্যাপার আছে যে, কষ্ট পেলেও আমরা কিছু বলি না বা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না! কিন্তু এটিও একটি রোগ, এবং চিকিৎসা না হলে পাইলস (Piles) বেজায় কষ্ট দেয়! মলদ্বারের ভিতরে এবং বাইরের দিকে থাকা বেশ কিছু Tissue এবং পেশি যখন প্রদাহ এবং আরও নানা কারণে খুব ফুলে যায়, তখন এই ধরনের রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এক্ষেত্রে মূলত মলত্যাগ করার সময় খুব কষ্ট হয়। এছাড়া বসার সময় এবং ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও কষ্ট বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে আধুনিক চিকিৎসার সাহায্যে পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব (Piles Home Remedies)। কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন পরে ঠিকই। কিন্তু একবার অপারেশন করিয়ে নিলেই আর কোনও চিন্তা থাকে না। তা ছাড়া পাইলসের অপারেশন খুব জটিল নয়। তাই এই নিয়ে অকারণ চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।
Table of Contents
- অর্শ রোগের পিছনে যে-যে কারণ দায়ী থাকে (Causes of Piles)
- পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ (Symptoms of Piles)
- পাইলস যে হয়েছেই কীভাবে নিশ্চিত হবেন? (How Do You Know That You Have Piles)
- পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা (Treatment Of Piles At Home)
- আরও যে-যে বিষয় মাথায় রাখা জরুরি (Tips To Cure Piles)
- পাইলস নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQs)
ঘরোয়া উপায়েও নাকি পাইলসের চিকিৎসা সম্ভব? এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন (Piles Home Remedies In Bengali)। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগিয়ে এই রোগের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব। কিন্তু জানা আছে কি, কোন-কোন উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়? জানা না থাকলে জেনে নিন আমাদের থেকে।
অর্শ রোগের পিছনে যে-যে কারণ দায়ী থাকে (Causes of Piles)
১| পরিবারিক ইতিহাস থাকলে তো বটেই, বহুদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য় বা কনস্টিপেশনের মতো সমস্য়ায় ভুগলেও পাইলস বা অর্শ (Piles) হতে পারে।
২| ক্রনিক ডায়রিয়ার কারণেও অর্শ হতে পারে।
৩| আপনি কি নিয়মিত ভারী-ভারী ডাম্বল তোলেন? বা জিমে গিয়ে নিয়মিত ওয়েট ট্রেনিং করেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই? তা হলে সাবধান! কারণ, সমীক্ষা বলছে, দিনের পর দিন ওজন তুললেও নাকি এমন রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
৪| চিকিৎসকদের মতে, প্রেগন্য়ান্সির পরেও নানা কারণে এমন রোগ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। তাই আগে থাকতেই সাবধান হওয়াটা জরুরি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, আধুনিক চিকিৎসায় পাইলসের সমস্য়াকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। গ্রেড ১, গ্রেড ২, গ্রেড ৩ এবং গ্রেড ৪। একেবারে শেষ ধাপে পাইলস মল দ্বারের বাইরে বেরিয়ে যায় এবং আয়তনে খুব বড় হয়। তখন অপারেশন করা ছাড়া আর কেনও উপায় থাকে না। কিন্তু একেবারে ফাস্ট গ্রেডেই যদি ঠিক মতো চিকিৎসা হয়, তা হলে আর কোনও চিন্তা থাকে না।
পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ (Symptoms of Piles)
অর্শ রোগে (Piles) আক্রান্ত হলে সাধারণ যে-যে লক্ষণগুলি (Piles Symptoms In Bengali) প্রকাশ পায়, সেগুলি হল…
১| পটি করার সময় মাঝে-মধ্যেই যন্ত্রণা হবে এবং মলদ্বারের ভিতরে শক্ত কিছু রয়েছে বলে অনুভূত হবে। পাইলসে অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে থাকে। এদের চিকিৎসা পরিভাষায় Thrombosed External Hemorrhoids নামে ডাকা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মলত্যাগ করার সময় রক্ত পড়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
২| মলত্যাগ করেও শান্তি মিলবে না। মনে হবে, আরও একটু হলে ভাল হত।
৩| মাঝে-মাঝে এক-দু ফোঁটা রক্ত পড়তে পারে। আর সেই রক্তের রং হবে উজ্জ্বল লাল।
৪| মলদ্বারের আশেপাশে খুব চুলকাবে এবং লাল হয়ে ফুলে যাবে।
৫| ঠিক সময় এই রোগের চিকিৎসা না করলে মলত্যাগ করার সময় প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হতে পারে (Piles Symptoms In Bengali)। সঙ্গে লেজুড় হবে মারাত্মক যন্ত্রণাও।
৬| মল বেগ চেপে রাখলে কষ্ট বাড়বে।
পাইলস যে হয়েছেই কীভাবে নিশ্চিত হবেন? (How Do You Know That You Have Piles)
উপরে বলে দেওয়া লক্ষণগুলি মিলে গেলে প্রথমেই চিকিৎসক Digital Rectal Examination করার পরামর্শ দেন। তাতে সন্তুষ্ট না হলে কিছু ক্ষেত্রে Colonoscopy-এর মতো আধুনিক পরীক্ষা করারও প্রয়োজন পড়ে।
‘দোষ’ ভেদে বদলে যায় লক্ষণও (Piles According To Ayurveda)
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে আমাদের শরীরে বায়ু, পিত্ত এবং কফের মধ্যে ভারসাম্য থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। এই ভারসাম্য বিগড়ে গেলেই নানা শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, ‘দোষ’ ভেদে অর্শের লক্ষণও (Symptoms of Piles) বদলে যায়। যেমন ধরুন…
১| যাঁদের পিত্ত দোষ রয়েছে, তাঁদের Bleeding Hemorrhoids-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে মলদ্বারে জ্বালা-যন্ত্রণা হওয়া এবং রক্ত পড়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। লেজুড় হতে পারে বারে-বারে জ্বর আসা এবং গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও।
২| বায়ু দোষে যাঁরা দোষী, তাঁদের মারাত্মক কোষ্ঠকাঠিন্যের ধাত থাকে। সঙ্গে মলত্যাগ করার সময় খুব যন্ত্রণা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ু দোষ থাকলে Black Hemorrhoids হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩| কফ দোষে পাইলসের রং সাদা এবং প্রকৃতিতে পিচ্ছিল হয়। তা ছাড়া কথায়-কথায় হজমের সমস্যা হওয়ার মতো লক্ষণও প্রকাশ পায়।
পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা (Treatment Of Piles At Home)
১| ত্রিফলা পাউডার (Triphala Powder)
মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেই যেহেতু পাইলসের সমস্যা (Piles) হয়ে থাকে, তাই কোনওভাবে যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমিয়ে ফেলা যায়, তা হলেই কেল্লা ফতে! কিন্তু কমাবেন কীভাবে, তা জানেন কি? প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম জলে ৪ গ্রাম ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে যদি খাওয়া যায়, তা হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমে। ফলে পাইলসের যন্ত্রণা কমতেও (Treatment Of Piles At Home) সময় লাগে না।
২| রেড়ির তেল (Castor Oil)
অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাতে রেড়ির তেল ভীষণ ভাবে কার্যকরী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা অল্প সময়েই পাইলসের যন্ত্রণা কমায়। এমনকী, প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে অর্শের নিরাময়েও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এতসব উপকার পেতে রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে ৩ এম এল রেড়ির তেল মিশিয়ে পান করতে হবে (Piles Treatment At Home)। নিয়মিত এমনটা করলে উপকার মিলবে হাতে-নাতে!
৩| রাতের মেনু খুবই গুরুত্বপূর্ণ (Dinner Compulsory)
ডিনারে বেশি ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার না খাওয়াই উচিত। এড়িয়ে চলতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও। ভাজা জাতীয় খাবার খাওয়াও চলবে না। কারণ, এই সব খাবার খেলে Bowel Movement ঠিক মতো হয় না। সঙ্গে প্রদাহের মাত্রাও বাড়ে, যে কারণে পাইলসের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। এই কারণেই রাতের বেলা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ডিনারে যদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যায়, তা হলে তো কথাই নেই! কারণ ফাইবার, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে অর্শের (Piles) প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৪| বেশি করে জল পান করা জরুরি (Drink Water Properly)
একবার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাকে বাগে আনতে পারেন, তা হলে পাইলস নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমবে তখনই, যখন খাবার ঠিক মতো হজম হবে। আর এই কারণেই দিনে আট থেকে দশ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, যত বেশি করে জল খাবেন, তত Bowel Movement ঠিক মতো হবে। ফলে কমবে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ। সঙ্গে কমবে পাইলসের কষ্টও।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে জল পান নৈব নৈব চ!
৫| বেশি করে খেতে হবে সবুজ শাক-সবজি, গাজর এবং শসা (Eat Green Vegetables)
নিয়মিত এক বাটি শসা এবং গাজর খেলে শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে, যে কারণে পাইলসের প্রকোপ কমতে (Treatment Of Piles At Home) সময় লাগবে না। আর সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে কেন? এমন খাবারে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে, যা প্রদাহের মাত্রা কমায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায়। ফলে অর্শের লক্ষণ গুলি কমতে সময় লাগে না।
৬| হিং (Hing)
এক গ্লাস জলে হাফ চামচ হিং মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে (অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা)। তাতে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে। কমবে পাইলসের প্রকোপ। তা ছাড়া এতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান, যা নানা ভাবে শরীরের কাজে আসে। তাই তো সুস্থ থাকতে হিং-এর উপর ভরসা রাখতেই হবে।
৭| অ্যালো ভেরা (Aloe Vera)
এই প্রাকৃতিক উপাদনটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ঠাসা। তাই তো প্রতিদিন অ্যালো ভেরা জুস খাওয়া শুরু করলে পাইলসের যন্ত্রণা কমে নিমেষে, সেই সঙ্গে চুলকানি, এবং ফোলা ভাবও কমে যায়।
৮| নারকেল তেল (Coconut Oil)
পাইলসের যন্ত্রণা হলেই অল্প করে (Piles Treatment At Home) নারকেল তেল নিয়ে ধীরে-ধীরে মলদ্বারে লাগানো উচিত। এমনটা করলে প্রদাহের মাত্রা কমবে। ফলে যন্ত্রণা কমে যেতেও সময় লাগবে না। কমবে ফোলা ভাবও।
আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নে নারকেল তেল!
৯| টি-ব্যাগ (Tea-Bag)
পাইলস কি মলদ্বারের বাইরে বেরিয়ে এসেছে? আর সেই কারণে কি খুব ব্যথাও হচ্ছে? তা হলে একটা কাজ করুন! একটা টি-ব্যাগ নিয়ে এক কাপ গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই গরম টি-ব্য়াগ ধীরে ধীরে Hemorrhoid-এর উপর লাগান। এমনটা করলে চায়ে উপস্থিত ট্যানিক অ্যাসিডের কারণে যন্ত্রণা তো কমবেই (Piles Treatment At Home), সঙ্গে রক্তক্ষরণও কমে যাবে।
১০| বরফ লাগালেও উপকার মেলে (Ice Rubbing)
চটজলদি পাইলসের যন্ত্রণা কমাতে বরফ সেঁকের কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে একটা প্লাস্টিক ব্যাগে পরিমাণ মতো বরফ নিয়ে মলদ্বারে কম করে মিনিটকুড়ি সেঁক দিতে হবে। তাতে যন্ত্রণা তো কমবেই, সঙ্গে পেশির ফোলা ভাব কমে যেতেও সময় লাগবে না।
আরও যে-যে বিষয় মাথায় রাখা জরুরি (Tips To Cure Piles)
পাইলসের কষ্ট কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন…
১| বেশি করে খেতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (Eat High-Fiber Foods)
প্রতিদিন ফল, শাক-সবজি, বাদাম, ব্রাউন রাইস এবং হোল গ্রেনের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কারণ, শরীরে ফাইবারের মাত্রা যত বাড়বে, তত কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমবে। ফলে বারে-বারে অর্শের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না।
২| পোশাক পরতে হবে ভেবে চিন্তে (Wear Loose Clothes)
গরমকালে ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরা উচিত। আন্ডারওয়্যারও সুতির হতে হবে। তাতে hemorrhoids-এর আশেপাশে ঘাম জমবে কম। প্রদাহের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়বে।
৩| শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয় (Avoid Dehydration)
ডিহাইড্রেশনের কারণ হজম ক্ষমতা বিগড়ে যায়। আর খাবার ঠিক মতো হজম হতে না পারলে ঠিক মতো মলত্যাগ করাও সম্ভব হয় না। ফলে প্রথমে কোষ্ঠকাঠিন্য, তারপরে তার লেজুড় হয় অর্শ। এই কারণেই চিকিৎসকেরা দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সঙ্গে শসা, তরমুজ এবং আনারসের মতো ফলও খেতে হবে বেশি করে। তাতে ফল মিলবে দ্রুত।
৪| বেশিক্ষণ বসে থাকা চলবে না (Don’t Sit for Long Periods of Time)
যাঁদের বসে কাজ, তাঁদের প্রতি ঘণ্টায় চেয়ার থেকে উঠে কম করে মিনিটপাঁচেক হাঁটতে হবে। তাতে পাইলসের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে। তা ছাড়া অল্পবিস্তর হাঁটাহাঁটি করলে Bowel Function-এর উন্নতি ঘটে। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
পাইলস নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQs)
১| গরম জলের সেঁক দিলে কি আরাম হয়?
নিশ্চয়ই! হালকা গরম জল সেঁক দিলে পেশির ফোলা ভাব কমে। সঙ্গে প্রদাহের মাত্রা কমতেও সময় লাগে না, যে কারণে পাইলসের যন্ত্রণা কমে নিমেষে।
২| শুয়ে থাকলে নাকি পাইলসের যন্ত্রণা কমে?
পায়ের নীচে দুটো কোলবালিশ রেখে মিনিটকুড়ি যদি শুয়ে যাকা যায়, তা হলে কোমরের নীচের অংশে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, যে কারণ কষ্ট কমতে সময় লাগে না।
৩| পাইলসের সমস্যা হলে নাকি সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়?
বাজারে বিক্রি হওয়া প্রায় প্রতিটি সাবানেই কোনও না কোনও কেমিক্যাল থাকে। তাই এমন সাবান ব্যবহার করলে সেই সব কেমিক্যালের প্রভাবে পাইলসের সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সাবান দিয়ে মলদ্বার পরিষ্কার করা চলবে না। বরং গরম জল দিয়ে এই জায়গাটা পরিষ্কার করলে কিছুটা আরাম মিলবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!