সিজন চেঞ্জের সময় পক্সের (pox) আশঙ্কা তো থাকেই। পক্স (pox) এমনিতেই ছোঁয়াচে রোগ। তাই এই মরসুমের প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা উচিত। কিন্তু সতর্ক থাকলেই যে এই রোগ হবে না, সেই কথা একেবারে বলা যাবে না। তবে সতর্ক থাকলে পক্সের (pox) সম্ভাবনাটা দূরে রাখা যায়। পক্স (pox) হলে তো কিছু করার নেই। যতটা সম্ভব সাবধানে থাকাটা খুবই প্রয়োজন। আর পক্সে মুখে অজস্র ছোট ছোট দাগ (pox scars) দেখা যায়, যা পক্স (pox) সেরে গেলেও পক্সের দাগ (pox scars) কিন্তু মুখে থেকে যায়। যা সহজে চলে যায় না। তবে পক্সের দাগ (pox scars) দূর করতে কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করলেই মুখ আবার আগের মতোই সুন্দর দাগহীন হয়ে উঠবে। তা হলে জেনে নিন, ঘরোয়া উপায়ে পক্সের দাগ (pox scars) দূর করার উপায়গুলো।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে আঁচিল থেকে মুক্তি
মধু
মধু হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। আর এর মধ্যে রয়েছে রিফাইনিং প্রপার্টিজ আর মধু তো এমনিতেই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারও। আর ত্বকের (skin) দাগ-ছোপ দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে পক্সের দাগের উপর হালকা হাতে মিনিট পাঁচেক মাসাজ করুন। তার পর আরও ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুকিয়ে একটা ভাল ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরা হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ব্লেমিশ এজেন্ট। এটা ময়েশ্চারাইজারের কাজও করে পাশাপাশি ত্বককে (skin) ঠান্ডাও করতে সাহায্য করে। আসলে অ্যালো ভেরা গাছের মধ্যে থাকা উত্সেচক স্কিনের এপিডারমাল লেয়ারের গভীরে গিয়ে কোষগুলিতে আর্দ্র করে। টিস্যু পুনর্গঠনেও সাহায্য করে। রোজ অ্যালো ভেরা লাগালে স্কিনের (skin) দাগ ফিকে হয়ে যায়। তাই পক্স যখন সেরে আসছে, তখন এই টোটকা ব্যবহার করতে হবে। চুলকোলে অ্যালোভেরা জেল লাগালে চুলকানিও কমবে আর দাগও (pox scars) হবে না। এক টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে পক্সের দাগের (pox scars) উপর লাগিয়ে নিন। তার পর কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন।
পেঁপে
পেঁপের মধ্যে থাকা এনজাইম মৃত চামড়ার এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে। আর পাশাপাশি, স্কিনের গভীরে গিয়ে স্কিনকে (skin) নারিশ করে। আর ডার্ক স্পটসও দূর করতে পারে। পেঁপের এই মাস্ক বানানোর জন্য বেশ পাকা পেঁপে, এক চা-চামচ লেবুর রস, এক চা-চামচ মধু নিয়ে একটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার মুখে আর গায়ে যেখানে যেখানে পক্সের দাগ রয়েছে, সেখানে ওই পেঁপের পেস্ট লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ রাখার পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা হল এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট। ডেড স্কিন সেলস দূর করতে সাহায্য করে এটা। আর তা ছাড়াও জেন্টল স্ক্রাবিং এজেন্ট হিসেবেও উপকারী বেকিং সোডা। ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও ১ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার পক্সের দাগের জায়গায় লাগিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা রাখার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময় হালকা হাতে মাসাজ করবেন। পরিষ্কার হয়ে গেলে মুছে শুকিয়ে নিন।
ডাবের জল
ডাবের জলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ নিউট্রিয়েন্টস। আর রয়েছে ভিটামিনস ও মিনারেলসও। তা ছাড়াও ডাবের জল অ্যান্টি-রিঙ্কল, অ্যান্টি-স্কার ও অ্যান্টি-ডিহাইড্রেশন এজেন্ট। ডাবের জল স্কিনকে ঠান্ডা করে আর কোনও রকম চুলকানি থেকে স্কিনকে (skin) বাঁচায়। এমনকি ভাইরাসও দূর করে। তাই এক গ্লাস ডাবের জল নিন। এ বার পক্সের দাগের জায়গাগুলোয় ওই ডাবের জল লাগান। দিনে অন্তত ৩ বার লাগালে ভাল ফল পাবেন। খুব শিগগিরিই ওই দাগ দূর হবে।
ওটস
ওটস আপনার স্কিনকে (skin) হাইড্রেট করে। আর পক্সের দাগও (pox scars) খুব তাড়াতাড়িই সারিয়ে তোলে। এক কাপ গরম জলে এক কাপ ওটস মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার পক্সের দাগের জায়গায় ওই পেস্ট লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ রাখার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। আসলে ওটমিলের এই পেস্ট স্কিনের কালো দাগ দূর করতে পারে। সেই সঙ্গে ওটস আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজও করে।
নিম পাতা
নিম পাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, স্কিনের (skin) ক্ষত খুব শিগগিরিই সারিয়ে তোলে। তাই এক কাপ নিম পাতা, অল্প একটু লেবুর রস আর কয়েকটা শসার টুকরো নিয়ে একটা ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার পক্সের দাগের জায়গায় লাগিয়ে নিন। এর পর হালকা হাতে মাসাজ করতে থাকুন।
চন্দন বাটা
পক্সের দাগ দূর করতে চন্দন বাটাও কার্যকর। এক চা-চামচ চন্দনগুঁড়ো, এক চা-চামচ দুধ ও মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার ওই পেস্ট দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। হালকা হাতে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব ও পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
Read More From রূপচর্চা ও বিউটি টিপস
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA