লাইফস্টাইল

আগামী মাসে বেশিরভাগ শনি-রবি লকডাউন, বাড়ি ও অফিস একসঙ্গে সামলাবেন কীভাবে

Debapriya Bhattacharyya  |  Jul 28, 2020
আগামী মাসে বেশিরভাগ শনি-রবি লকডাউন, বাড়ি ও অফিস একসঙ্গে সামলাবেন কীভাবে

করোনার (corona virus) সঙ্গে এক প্রকার আপোষ করেই এখন আমাদের দিনযাপন চলছে। করোনার প্রকোপ থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর জন্য জারি করা হয়েছিল লকডাউন (lockdown in west bengal)। কিন্তু তার পরেও করোনার প্রকোপ কমা তো দূর, বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। আক্রান্তের হার বেড়েছে হু হু করে। কিন্তু সারা দেশে আর কতদিনই বা লকডাউন জারি করে রাখা যায়! অফিস-কাছারি, কল-কারখানা সহ নানা পরিষেবা বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উপরেও তার প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষ নিজের চাকরি হারিয়েছেন, আবার কারও বা সংসারে থাবা বসিয়েছে ‘পে-কাট’। অন্যদিকে মধ্যম ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও মার খাচ্ছে। এমতাবস্থায়, দেশে জারি হল আনলক প্রক্রিয়া। তবে বর্তমানে আমাদের রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে এক অভিনব প্রক্রিয়ায় আনলকিং চলছে; সপ্তাহে দু’দিন করে ‘কমপ্লিট লকডাউন’ এবং বাকি পাঁচদিন অফিস-কাছারি, নানা পরিষেবা ও দোকান খোলা থাকবে।

আগামী মাসে, অর্থাৎ আগস্টের কোন কোন দিন রাজ্যে পূর্ণ দিবস লকডাউন থাকবে তা রাজ্য সরকার গতকাল সন্ধেয় জানিয়েছে। দেখে নিন কোন কোন দিন থাকছে লকডাউন –

 

আরও পড়ুন – লকডাউনে অর্থনীতি স্তব্ধ, তবে এরই মধ্যে খরচ বাঁচিয়ে কীভাবে সঞ্চয় করবেন, জেনে নিন

দেখা যাচ্ছে, আগস্ট মাসের প্রায় প্রতি শনি ও রবিবারে (weekend) থাকছে লকডাউন (lockdown in west bengal)। এতে যেমন কিছু সুবিধে হয়েছে, তেমনই অসুবিধেও হয়ত কিছু কিছু হবে। অনেকেই এমন রয়েছেন যারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কর্মরত। সেক্ষেত্রে ছুটির দিনগুলোতে বাড়ির বেশিরভাগ কাজ করে থাকেন এরা। যেহেতু সপ্তাহের বাকি দিনগুলো অফিসের কাজে কেটে যায়, কাজেই শনি ও রবিবারে বাড়ির কাজ সেরে রাখাটা সুবিধেজনক। কিন্তু আগস্টের প্রায় প্রতি শনি ও রবিবারে যেহেতু সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে, কাজেই বাইরের কাজগুলো কিভাবে করবেন, সে বিষয়ে একটা মোটামুটি প্ল্যান দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। দেখুন যদি কিছু সুবিধে হয়

১। প্রথমেই একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন শনি ও রবিবারে ঠিক কী কী কাজ আপনারা করতেন। বাড়ি পরিষ্কার করা, জামা-কাপড় কাচা বা সপ্তাহের দু’দিনের রান্না একসঙ্গে করে রাখা – এইসব কাজগুলোই যদি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে শনি ও রবিবার লকডাউন হলে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।

২। এবারে আসা যাক বাড়ির অন্যান্য কাজে যার জন্য বাইরে যাওয়া প্রয়োজন। যেমন ধরুন – সপ্তাহের বাজার করা, মুদির দোকান থেকে জিনিসপত্র আনা, প্রয়োজনীয় ওষুধ আনা ইত্যাদি। স্বামী-স্ত্রী যারা দু’জনেই কাজ করেন, তারা এইসব কাজগুলো করার জন্য সাধারনত শনি ও রবিবারটাই পছন্দ করেন। এখন যেহেতু আমরা একটা ‘নিউ নর্মাল’ পরিস্থিতিতে রয়েছি, কাজেই আমাদের কাজের ধরন কিছুটা বদলাতে হবে। প্রয়োজন হলে সপ্তাহের অন্যদিনগুলো অফিস থেকে ফেরার পথে সপ্তাহের বাজার করে আনুন।

৩। যদি প্রতিদিন বাজার করার অভ্যেস থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে এই অভ্যেস আপনাকে বদলে ফেলতে হবে। দরকার হলে এক সপ্তাহের সব্জি বা মাছ-মাংস-ডিম একদিনে নিয়ে আসুন। অফিস থেকে একদিন একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যে কোনোও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়ে বাজার করুন। মশলাপাতি বা অন্যান্য মাসকাবারি মাসের শুরুতেই একসঙ্গে নিয়ে আসুন।

৪। আপনি যদি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন, সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণের জন্য অফ নিন এবং মাসের বা সপ্তাহের বাজার করে নিন। বাইরের অন্যান্য কাজও করে নিতে পারেন একইভাবে। এখন অনেক অ্যাপেও আপনি অনায়াসে বাজার-দোকান করতে পারবেন। প্রয়োজনে একটু প্রযুক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। এই অ্যাপগুলোতে শুধু দোকান-বাজার নয়, ওষুধও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।

https://bangla.popxo.com/article/everyday-diy-life-hacks-in-bengali

POPxo এখন চারটে  ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

Read More From লাইফস্টাইল