দেশে ভ্রমণ

ঘুরে আসুন জলপাইগুড়ি (let’s go to Jalpaiguri)

Doyel Banerjee  |  Dec 28, 2018
ঘুরে আসুন জলপাইগুড়ি (let’s go to Jalpaiguri)

এখন হচ্ছে বেড়ানোর আদর্শ সময়। এই শহরে শীত (Winter) আর কতটুকুই বা থাকে বলুন। তবে যেটুক থাকে তার সবটা নিংড়ে নিতে মন চায় আমাদের। “আকাশ কেন ডাকে/এ মন ছুটি চায়” পোড়া কপাল দেখুন। আকাশ ডাকলেই আপনি কি আর অফিস থেকে ছুটি পাবেন? অবশ্য ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। কম সময়েও কাছে পিঠে ঘুরে আসা যেতেই পারে। আরে আসল ব্যাপার হল আনন্দ করা, হইহই করা আর কিছু সময়ের জন্য এই কংক্রিটের জঙ্গল (Jungle) থেকে প্রকৃতির মাঝে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া। তার জন্য সব সময় সাত সমুদ্দুর পেরিয়ে যাব কেন মশাই? এবার আপনি বলবেন কাছে পিঠে বেড়ানোর কথা যখন উঠল তখন সে জায়গার সন্ধানও আমাদেরই দিতে হবে। কি তাই তো? এ আর এমন কি কথা? বলে দিচ্ছি না হয় সন্ধান। যেমন ধরুন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। আপনিই দেখে নিন কোথায় কোথায় যাবেন।

আরো পড়ুনঃ স্বপ্নের শহর শিলিগুড়ির ট্রাভেল গাইড

জলদাপাড়া (Jaldapara):

যারা জঙ্গল ভালোবাসেন তারা এখানে অবশ্যই যাবেন। এই জঙ্গল বিখ্যাত একশৃঙ্গ গণ্ডারের জন্য। এছাড়াও জঙ্গলে রয়েছে হাতি, বাইসন, হরিণ (Deer) আর ময়ূর। উপরি পাওনা হল গা ছমছমে জঙ্গলের বুনো পরিবেশ। যেতে পারেন তোর্সা নদীর তীরে। ট্রেনে গেলে হাসিমারা বা বীরপাড়া ষ্টেশনে নামতে হবে।

যোগাযোগ করুন জলদাপাড়া টুরিস্ট লজ (০৩৩-২৬২২৩০/ ৯৭৩৩০০৮৭৯৫)

পানিঝোড়া (Panijhora):

প্রকৃতির মাঝে যেতে চাইলে এখানে চলে যান। জায়গাটা জলদাপাড়া থেকে সামান্য দূরে। ঘন জঙ্গল আর তার বুক চিরে চলে গেছে লম্বা রাস্তা। কপাল ভালো থাকলে দেখা মিলতে পারে হাতির দলের।

যোগাযোগ করুন পানিঝোড়া রিসর্ট (৯৫৪৭৩৯২৬২০)

রায়মাটাং(Raymatang):

আলিপুরদুয়ার থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। গাড়িতে (car) যেতে পারেন। অপরূপ প্রাকৃতিক শোভার জন্য বিখ্যাত রায়মাটাং।

ভুটানঘাট (Bhutanghat):

আলিপুরদুয়ার থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে আছে ভুটানঘাট। রায়ডাক নদী (river) আর জঙ্গলে (jungle) ঘেরা সুন্দর এক পাহাড়ি অঞ্চল। এখানে থাকার সেরকম কোনও ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই একদিনের জন্য পিকনিকে গেলে সব জিনিসপত্র নিয়ে যাবেন। আর বেরিয়ে চলে আসতে গেলে আলিপুরদুয়ারে থাকতে পারেন। অঞ্চলটি ভুটানের লাগোয়া তাই এরকম নামকরণ হয়েছে।

রাজাভাতখাওয়া(Rajabhatkhawa):

মজার কথা কি জানেন? রাজা এখানে সত্যি সত্যি ভাত খেয়েছিলেন। কোচবিহারের রাজা পণ করেছিলেন ভুটানের রাজার হাত থেকে তিনি তার অঞ্চলকে মুক্তি দেবেন। পরে ভুটানের রাজা যখন নিজেই ওই অঞ্চল থেকে সরে গেলেন, সৌজন্য স্বরূপ কোচ রাজা ভাত খেলেন ভুটানের রাজার সঙ্গে। সেই থেকেই এই নাম। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনে এখানে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আছে। থাকার ব্যবস্থাও আছে।

যোগাযোগ করুন ৯৪৭৪৬২৭৯২২

চামুর্চি (Chamurchi):

খানাকুল নদীর ধারে একেবারে ভুটান সীমান্তে অবস্থিত চামুর্চি। কাছাকাছির মধ্যে দেখার আছে মহাকাল পাহাড় এবং পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত মহাকালধাম মন্দির। চোখ জুড়িয়ে দেওয়া প্রাকৃতিক দৃশ্য তো আছেই।

লাটাগুড়ি (Lataguri):

গরুমারা অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বার হল লাটাগুড়ি। নদী, অরণ্য আর পাহাড় নিয়ে দু একদিন লাটাগুড়ি মন্দ লাগবে না। এখানে বেশ ভালো ভালো রিসর্ট আছে। তাই থাকার জন্য চিন্তা করতে হবে না। যোগাযোগ করতে পারেন ময়ূরী রিসর্ট ৯৬৭৯১৮১৬৯৯

এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন চালসা, চিলাপাতা, মেদলা, মূর্তি, বিন্দু, ঝালং ইত্যাদি জায়গা।

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ডুয়ার্সে আসুন ডুয়ার্সকে ভালোবাসুন (ফেসবুক),  শর্মিলা গুপ্ত, অসিত কুমার ডাকুয়া, পার্থ পি নিয়োগী, শেখর সেনগুপ্ত, পেক্সেল ডট কম                          

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
                  

Read More From দেশে ভ্রমণ