Dating

প্রয়োজন হলে সম্পর্কে ইতি টেনে let’s move on!

Doyel Banerjee  |  Mar 22, 2019
প্রয়োজন হলে সম্পর্কে ইতি টেনে let’s move on!

দেবযানীর চোখের নীচে হাল্কা কালো দাগটা প্রথম আবিষ্কার করল রিনি। দেবযানী এড়িয়ে গেলেও রিনি জানে ওটা কালশিটের দাগ। দীর্ঘদিন ধরে সৌম্যর সঙ্গে সম্পর্কে আছে দেবযানী। কিন্তু সেই সম্পর্কে এখন আর প্রেমের ছিটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই (let’s move on)। আছে শুধু একরাশ বিরক্তি, অপমান আর অহেতুক সন্দেহ। তবু সমাজের ভয়ে আর কী যেন একটা অদ্ভুত টানে কিছুতেই ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে (let’s move on) পারছিল না দেবযানী। বন্ধুর পাশে দাঁড়াল সহকর্মী রিনি। দেবযানীকে বোঝাল একটা ভাঙা সম্পর্ক বয়ে বেড়াবার (let’s move on) কোনও মানে হয় না। মাঝে মাঝে নিজের ভবিষ্যৎ এবং নিজের জীবনের কথা ভেবে কিছু সম্পর্ক শেষ করে সেখান থেকে বেরিয়েও আসতে (let’s move on) হয়। রিনির সাহচর্যে অবশেষে সাহস সঞ্চয় করে দেবযানী সৌম্যকে বলল ‘না’ আর নয়। আপনিও যদি এরকমটা মনে করেন তাহলে শুধু শুধু দেরি করে সময় নষ্ট করবেন না।

কীভাবে বুঝবেন সম্পর্ক ভাঙার সময় এসেছে

ঘন ঘন ঝগড়াঝাঁটি হওয়া

টুকটাক মনোমালিন্য সব সম্পর্কেই থাকে। একটু আধটু কথা কাটাকাটিও হতে পারে। তবে সেটা যদি প্রতিদিন হয় এবং সবচেয়ে বড় কথা হল যদি সেটা সবার সামনে হয় তাহলে সাবধান। বিশেষ করে রাস্তাঘাটে, রেস্তরাঁয়, লোকজনের সামনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনার সঙ্গে ঝগড়া করে বা আপনাকে হ্যারাস করে আনন্দ পায় তাহলে বুঝতে হবে এবার আপনার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।

গায়ে হাত তোলা

হতে পারে আপনার প্রেমিক একটু মাথা গরম বেশি করেন বা একটু বদমেজাজি স্বভাবের। তার মানে এই নয় যে তিনি যখন তখন আপনার গায়ে হাত তুলবেন। ছোটখাট ঝগড়া যদি হাতাহাতিতে পৌঁছে যায় এবং তার ফল স্বরূপ দেবযানীর মতো আপনার চোখের তলায় কালশিটে পড়ে বা আপনার হাতটা যদি কেউ মুচকে দেয় তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি এবার এই সম্পর্ক শেষ করুন।

সব কথার কৈফিয়ত চাওয়া

হতে পারে আপনি আপনার প্রেমিককে অসম্ভব ভালোবাসেন। সেটা কোনও দোষের নয়। কিন্তু নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসা মানে নিজেকে অপমান করা। আপনার জীবনে তিনি পরে এসেছেন। তার আগে আপনার জীবনে বাবা মা, ভাই বোন ও আত্মীয় বন্ধুরা আছে। আপনি একটা সম্পর্কে আছেন মানে এই নয় যে আপনাকে প্রতিদিনের দিনলিপির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা আপনার প্রেমিককে দিতে হবে। আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গেও সিনেমা দেখতে যেতে পারেন আবার বাবা মার সঙ্গে ডিনার খেতেও যেতে পারেন। সেই স্বাধীনতা আপনার অবশ্যই আছে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে যদি আপনাকে বয়ফ্রেন্ডেকে কৈফিয়ত দিতে হয় তাহলে সেটা একেবারেই কাম্য নয়। কারও মেয়ে, মা, বোন বা প্রেমিকা হওয়ার আগে আপনি একজন আলাদা ব্যক্তি। যার নিজস্ব কিছু চাওয়া পাওয়া আছে। এটুকুর সম্মান যদি আপনার প্রেমিক আপনাকে না দেয় তাহলে এবার ইতি টানুন সম্পর্কে।

অতিরিক্ত সন্দেহ করা

আপনার ফোন, আপনার সাইড ব্যাগ, ল্যাপটপ, পার্স বা সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড এগুলো সবই একান্তই আপনার ব্যক্তিগত। এছাড়াও আপনার কোন বান্ধবীর সঙ্গে আপনি ফোনে বা চ্যাটে কী কথা বলছেন সেটাও অবশ্যই ব্যক্তিগত। আপনার প্রেমিকের বাইরেও আপনার পুরুষবন্ধু থাকতেই পারে। এটা আপনার ব্যক্তিগত বৃত্ত। আপনি প্রেমিককে ঠিক কতটা জানাবেন সেটা আপনার বিষয় তার বাইরে তিনি যদি আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করেন, আপনাকে ফলো করেন বা আপনার ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করেন এবং সব সময় সন্দেহ করেন তাহলে আর না। বেরিয়ে আসুন এই অপমানের সম্পর্ক থেকে।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এগুলোও আপনি পড়তে পারেন

আপনাকে জীবনে Motivation দেবে গীতার এই বাণীগুলি

Picture Courtsey: Youtube, Facebook

Read More From Dating