বিনোদন

#মুভিরিভিউ: রসগোল্লার (Rosogolla) মতোই মিষ্টি একটা প্রেমের গল্প

Debapriya Bhattacharyya  |  Dec 30, 2018
#মুভিরিভিউ: রসগোল্লার (Rosogolla) মতোই মিষ্টি একটা প্রেমের গল্প

২০১৮-র শেষের পথে আপামর দর্শককে মিষ্টিমুখ করালেন নতুন পরিচালক (film director) পাভেল (Pavel), তার প্রথম ছবি (cinema) “রসগোল্লা”র (Rosogolla) মাধ্যমে.

রসগোল্লা (Rosogolla) খেতে ভালোবাসি না এমন কি কেউ আছি? আমার তো মনে হয় না. কিন্তু এই ‘নরম তুলতুলে চাঁদপানা রসের গোলা’ সৃষ্টি হলো কিভাবে, তারই ইতিহাস উঠে এসেছে এই ছবিতে. তবে শুধু রসগোল্লার (Rosogolla) ইতিহাস নয়, এই ছবির প্রতিটি মোড়কে রয়েছে ভালোবাসা (love), জীবনসংগ্রাম আর নতুন আবিষ্কারের জন্য দিন-রাত লেগে-পড়ে থাকার কাহিনী. সেটা অবশ্য ছবিটির (cinema) ট্রেলারেই বলা হয়ে গিয়েছিলো, “এতে প্যারের খুশবু আছে, রাতের নিঁদ আছে, আত্মার শান্তি আছে, অর সবসে বরা বাত সারে লড়াই কি জবাব আছে.”

রসগোল্লার (Rosogolla) আবিষ্কর্তা নবীন চন্দ্র দাশের (Nabin Chandra Das) জীবনী বলে চলে এই কাহিনী. ছোট্ট নবীন (Nabin Chandra Das) ছোটবেলা থেকেই জীবনের প্রতিটা বাধার সাথে কিভাবে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এবং রসগোল্লা (Rosogolla) আবিষ্কার করেন – সবটাই বলা আছে এই ছবিতে (cinema).

ছবির (cinema) গল্প নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই, কারন সেটা হয়ে যাবে ধৃষ্টতা. তাহলে কথা বলি কলাকুশলীদেরকে নিয়ে. এ ছবিতে প্রধান দুটি চরিত্র অর্থাৎ নবীন (Nabin Chandra Das) এবং তার স্ত্রী ক্ষিরোদ দু’জনের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন দু’জন নবাগত শিল্পী উজান গঙ্গোপাধ্যায় (Ujan Ganguly) এবং অবন্তিকা বিশ্বাস (Abantika Biswas). ছবির পরিচালকও (film director) একেবারেই নতুন, তিনি হলেন পাভেল (Pavel) এবং এটাই তার প্রথম ছবি. সত্যি কথা বলতে কি পাভেল তার প্রথম ছবিতেই (cinema) সিক্সার মেরেছেন, প্রমান করেছেন যে সিনেমাটা আসলে একটা ভালোবাসার (love) বিষয়, মন-প্রাণ দিয়ে সিনেমা বানালে অতিরিক্ত তাম-ঝাম ছাড়াও সিনেমা সুন্দর হয়ে ওঠে.

অবন্তিকা (Abantika Biswas) এবং উজান (Ujan Ganguly) প্রথম সিনেমাতে তাদের অভিনয় পারদর্শিতার যে পরিচয় দিয়েছেন তাতে এটা খুব সহজেই প্রমান হয় যে এরা দু’জনেই লম্বা রেসের ঘোড়া. রজতাভ দত্ত যে চরিত্রেই অভিনয় করেন, সেই চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে ওঠে এবং এখানেও তার কোনো বিকল্প হয়নি. নবীনের মায়ের ভূমিকায় বিদীপ্তা চক্রবর্তী, একটি শক্তিশালী চরিত্রে অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখার্জি, কৌশিক সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় এবং একটি বিশেষ চরিত্রে শুভশ্রী – প্রত্যেকে নিজের নিজের চরিত্রের প্রতি সুবিচার করেছেন এবং প্রতিটি চরিত্রই তাদের অভিনয় দক্ষতায় হয়ে উঠেছে জীবন্ত.

ছবির পটভূমিকা প্রাক-স্বাধীনতার কলকাতা. অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালক (film director) এবং এই ছবির আর্ট-ডিরেক্টর পুরোনো কলকাতাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন. ঘোড়ার গাড়ি, হ্যাট পরা সাহেব, কোঁচানো ধুতি পরা বাঙালি বাবু এবং তার পেছনে ছাতা ধরা ভৃত্য, লাঠি দিয়ে জ্বালানো রাস্তার বাতি – সবই দেখানো হয়েছে এই সিনেমাতে এবং সেটাও অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সাথে. কিভাবে অনুষ্ঠান বাড়িতে ভিয়েন বসত, কি ভাবে বোষ্টমীরা গান গাইতো, কিভাবে ক্যামেরায় ছবি তোলার আগে সামনে আগুন জ্বালিয়ে “ফ্ল্যাশ” করা হতো এগুলোও দেখানো হয়েছে, যাতে এটা বোঝা যায় যে পাভেল ছবিটি বানানোর আগে যথেষ্ট রিসার্চ করেছেন.

মোটকথা, রসগোল্লা (Rosogolla) এমন একটা ছবি (cinema), যাতে পরতে পরতে ভালোবাসা (love) মিশে আছে, সেটা নবীন চন্দ্র দাশের (Nabin Chandra Das) তাঁর নতুন মিষ্টি আবিষ্কার করার ভালোবাসায় হোক আর পাভেলের (Pavel) সিনেমা তৈরী করার ভালোবাসায় হোক!

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

Read More From বিনোদন