সরস্বতী পুজো আর ভাইফোঁটা (Bhai Phota)। বছরের এই দুটো দিন নিয়ম মেনে উপোস করত খুদে। না খেয়ে অঞ্জলি না দিলে ঠাকুর পাপ দেবে। লেখাপড়া কিচ্ছুটি হবে না। বাড়ির বড়দের এ কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলত মেয়েটি। তাতে পড়াশোনা কতটা হয়েছে জানা নেই। তবে বসন্ত পঞ্চমীতে উপোস থাকার রেওয়াজটা রয়েছে আজও। আর বছরের শেষের দিকে ভাইফোঁটাতেও না খেয়ে ফোঁটা দেওয়ার নিয়ম মানতে শিখিয়েছিলেন বড়রা। সাতসকালে উঠে বাগানে মায়ের সঙ্গে দুব্বো তুলতে যাওয়া। ছোট্ট কাঁসার থালায় ধানের পাশে সাজিয়ে দেওয়া যত্ন করে। প্রদীপটা জ্বালিয়ে দিত মা। পাশের থালায় মায়ের ভেজে দেওয়া লুচি, আর দোকান থেকে কিনে আনা রসোগোল্লায় প্লেট সাজানো হত যত্ন করে। স্নান করে শাড়ি পরাটা ছিল মাস্ট। লাল মেঝের ঘরে যত্ন করে আসন পেতে দিত সে। ভাইও ফুলবাবু সেজে গুটি গুটি বসত এসে সেই আসনে। আর তারপর ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’, মন্ত্রটা পুরো মুখস্থ বলা চাই।
ওপরের ছবিটার সঙ্গে আপনারা হয়তো অনেকেই মিল খুঁজে পাবেন। হয়তো মনে পড়বে নিজেদের ছোটবেলার কথা। সে সব দিন কি আর ফিরে আসবে? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই। তবে যুগের সঙ্গে সব কিছুই বদলায়। ভাইফোঁটার বদলও তো স্বাভাবিক। বড় কাঁসার থালা বা জামবাটিতে খাওয়ার চল কি এখন আর আছে? মেঝেয় শীতলপাটি বিছিয়ে কি এখনও শুয়ে থাকেন মায়েরা? বোন চায়নার পাতলা প্লেট এখন আপনার রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছে। ডিজাইনার খাট এখন শয্যাসঙ্গী। ফলে পুরনো দিনের ভাইফোঁটাও এখন এক নস্ট্যালজিয়ার (Nostalgia) নাম।
আধুনিক ভাইফোঁটায় উইকেন্ড না হলে ভাই বা দাদা ফোঁটা নিয়ে দিদির বাড়িয়ে যান অফিস শেষ করে। বোন বা দিদিও ছুটি ম্যানেজ করতে না পারার কারণে রাতেই সেলিব্রেশনের ব্যবস্থা করেন। সারা দিন উপোস করে থাকাও আধুনিকাদের না পসন্দ। আদরের ভাই বা প্রিয় দাদার জন্য মঙ্গলকামনার অ্যাকাউন্টে তাতে কিছু কম পড়ে না। ক্যালেন্ডার মেনে খাওয়া দাওয়াও হয়ে ওঠে না কাজের চাপে। সেটার জন্য বেছে নেওয়া হয় ছুটির দিন। বাড়িতে দাদার পছন্দের কোনও একটা রেসিপি হয়তো বোন নিজেই রান্না করেন। বাকিটা অর্ডার করে আনিয়ে নেওয়া অথবা সবাই মিলে ডিনারে যাওয়াই এখন ট্রেন্ড। তবে গিফট দেওয়া-নেওয়া হয় হিসেব বুঝেই! হাতপাখার হাওয়া যেমন আজ অতীত, তেমনই প্লেট ভর্তি মিষ্টি দেখে সুগার বা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে পিছিয়ে আসে ভাইও। এ সবের পরে বিশ্বজোড়া নেটওয়ার্কের ফাঁদে পড়ে ডিজিটাল ভাইফোঁটা তো আছেই। তাই জেন ওয়াই নস্ট্যালজিয়াকে আড্ডার মোড়কে বেঁধে ফেলে ভাইফোঁটার গেট টুগেদারে। তা নিয়ে মনখারাপ করার প্রশ্ন নেই। নিজেদের মতো করে নতুন ভাইফোঁটা সেলিব্রেশনের পথ খুঁজে নিয়েছে তারা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…
ফিচার ইমেজ: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে