রবিবার জ্বর, কাশির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত (Nusrat) জাহানের বাবা। সূত্রের খবর, তাঁর করোনার উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু এখনও করোনা (coronavirus) পজিটিভ কিনা তা জানা যায়নি। নুসরতের বাবার ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। তাঁকে ইনসুলিন দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, নুসরতের বাবার বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের জমায়েতে যোগ দেওয়া কয়েকজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন সম্প্রতি। সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি নিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।
করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নুসরত। রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সাংসদ হিসেবে নিজের পারিশ্রমিকের একমাসের বেতন তুলে দিয়েছিলেন সরকারের হাতে। শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, জনসাধারণকে সচেতন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। মাস্ক বিলি করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সচেতনতার প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই অবস্থায় বাবার অসুস্থতায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী সহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। যদিও নুসরত বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু জানাননি।
অন্যদিকে করোনায় আরও দু’জনের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে লকডাউন পর্বে রাস্তায় বেরোতে হলে রবিবার থেকেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন জানিয়েছে, রাস্তায় মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখলেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নির্দেশ না-মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। লকডাউন বিধি ভাঙলে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “মাস্ক পরা একান্ত জরুরি। তবে সকলকেই উন্নত ধরনের মাস্ক পরতে হবে, এমন নয়। সাধারণ কাপড়ের মাস্ক বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখলেও হবে। মুখ থেকে যাতে ড্রপলেট না-ছড়ায়, সেটাই নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য।”
স্বাস্থ্য দফতরের রবিবারের বুলেটিনে রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৯৫ বলে জানানো হয়েছে। তবে ছুটি পাওয়া রোগীদের বাদ দিলে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কত, সেই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আক্রান্তের তালিকায় হাওড়া জেলা হাসপাতালের আরও এক চিকিৎসক। করোনা ধরা পড়ায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসকও। চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার রোগী এবং কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে এক সপ্তাহ রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।
লকডাউনের মেয়াদ আরও বেড়েছে। গৃহবন্দি থাকা এবং বারবার হাত ধোওয়ার একই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় টেস্টের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া একেবারেই বেরনো উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে প্রশাসনের তরফেও বারবার আবেদন করা হচ্ছে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA