তা এবার বাপু আমরাও আপনাকে খুব কষে বকুনিই দেব! এটা ট্রোল করার মতো বিষয়ই বটে! জন্মদিন সেলিব্রেট করতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা এত আপনভোলা, খেয়ালখোলা হয়ে গিয়েছেন যে, ঠিকই করতে পারছেন না যে আর কী-কী করবেন আর কী-কীভাবে ছবি তোলাবেন আর কী-কীভাবে খবরে থাকবেন আর কী-কীভাবে ট্রোলড হবেন!
ট্রোলড (trolled) হওয়াটা অবশ্য তাঁর পুরনো অভ্য়েস। মাঝে-সাঝেই সেলেব্রিটিদের মনে যেমন সমাজ সংস্কারক সত্তাটা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তাঁরও সেই ব্যামোটা হয়! আর তিনিও যতক্ষণ থাকবে প্রাণ এই পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল গোছের একটা সুকান্ত ভট্টাচার্যমার্কা পণ করে টুইটারে গরম-গরম কথা লিখে ফেলেন! কীরকম সেই কথা? এই যেমন, আমি কাল থেকে আর বাজি ফাটাব না, বাজি ফাটালে তার ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হয়, শিশুরা কষ্ট পায়, পোষ্যরা গুমরে কাঁদে! কিন্তু সেটা পরে আবার নিজেই ভুলে যান! আসলে মেলা কাজ থাকে কিনা তাঁদের, আমার-আপনার মতো অকাজের লোক তো নন, তাই জাস্ট মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল! তাই নিজের বিয়েতে তিনি এইসা আতসবাজির বন্যা করেছিলেন যে, লোকে ভুলেই গিয়েছিল তারা জয়পুরে আছে নাকি নববর্ষের দিন টাইমস স্কোয়্যারে আতসবাজির শো দেখছেন! যাই হোক, টুইটার, নিন্দুক, সমালোচক এবং নেটিজেনরা ছেড়ে দেওয়ার পাত্তর নন! তাঁরা আচ্ছা সে বকুনি দিলেন প্রিয়ঙ্কাকে (Priyanka)! ইয়ারকি হচ্ছে, এই তো বললেন বাজি ফাটাবেন না, আর আপনিই আবার একগাদা বাজি ফাটিয়ে পরিবেশ দূষণে মদত দিলেন!
তো সেই ট্রোলিংয়ের পর সকলে ভেবেছিল, এবার বুঝি মেয়ে শুধরে যাবে! ও মা, কোথায় কী! আবার সেই একই ঘটনার রিপিটেশন। ২০১৮ সালে ঘটা করে প্রিয়ঙ্কা টুইটারে ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁর হাঁপানি (asthama patient) আছে, তিনি নিয়মিত ইনহেলার নেন, কিন্তু তাতে তিনি মোটেও দমে যাননি, দিব্যি এপাং-ওপাং-ঝপাং করে জীবনের সব চ্যালেঞ্জ নিতেই তিনি তৈরি!
লোকে বলল, দেখেছ, এ তো পুরো লড়াকু মেয়ে! হাঁপিয়ে-হাঁপিয়েও কেমন গান গেয়ে-অভিনয় করে যাচ্ছে, আজ দিল্লি-কাল মিয়ামি-পরশু মুম্বই করছে! প্রিয়ঙ্কার ফ্যানরা তো আহ্লাদে গদগদ হয়ে গেলেন! অনেকে তো নাকি এমনিই ইনহেলার কিনে ফেলে দেখতে গেলেন যে ব্যাপারটা আসলে কেমন! যাই হোক, এত ঢাকঢোল পিটিয়ে তারপর বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই সেই ঘোষণার কথা আবার বেবাক ভুলে গেলেন প্রিয়ঙ্কা! আর জন্মদিনের এক্সটেন্ডেড সেলিব্রেশনে একটি ইয়টে চেপে প্রকাশ্যেই ধূমপান (smoking in public) করতে শুরু করলেন!
ব্যস, সেই ছবি সামনে আসতে-আসতেই নেটিজেনরা একেবারে খাপ্পা হয়ে আচ্ছা সে ট্রোল করতে শুরু করলেন তাঁকে! এখানে দেখে নিন সেই ছবি…
করাটাই উচিত। অবশ্য প্রিয়ঙ্কা একা নন, তাঁর পাশটিতে পত্নীভক্ত নিক জোনাস ও উল্টোদিকে তাঁর মা বসেও সেই একই কাজ করছিলেন! নিককে নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই। তিনি একে পুরুষ, তায় সায়েব! তিনি তো ধূমপান করার জন্যই জন্মেছেন। কিন্তু মধু চোপড়াকে ধূমপান করতে দেখেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি সকলে! ছাড়বেনই বা কেন? মধু নিজে ডাক্তার, হোক না দাঁতের, তবু ডাক্তার তো! তিনি কী করে হাঁপানি রোগী মেয়েকে ধূমপান করতে দিলেন?
এখানে দেখে নিন টুইটারে এই ছবির কয়েকটি প্রতিক্রিয়া…
কী বুঝলেন? প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার উদ্দেশ্যে আমাদের একটাই বক্তব্য, ভবিষ্যতে এই ধরনের বাণী জনতার সামনে রাখার আগে একটু ভেবে নেবেন যে আগামী দিনে আবার তা ভেঙে-টেঙে ফেলবেন কিনা! যত্তসব!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA