একজন এপার বাংলার সুপারস্টার। আর অন্যজনের জাদুতে মাত ওপার বাংলা। এপারও সেই আঁচে গা সেঁকছে কয়েক বছর ধরেই। তবে এই এপার আর ওপারের বেড়াটা তাঁরা মন থেকে মানতে রাজি নন। বাঙালি। এটাই নিজেদের একমাত্র পরিচয় বলে মনে করেন দু’জনে। বহু ছবি করেছেন দু’জনেই। কিন্তু একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। তাঁরা হলেন প্রসেনজিৎ (prosenjit) চট্টোপাধ্যায় এবং জয়া (jaya) আহসান। এবার সেই লক্ষ্য পূরণ হল। এক ফ্রেমে ধরা দেবেন প্রসেনজিৎ, জয়া। এই কঠিন কাজটা সহজে যিনি করে ফেলেছেন তাঁর নাম অতনু (Atanu) ঘোষ। পরিচালকের ব্যাটন থাকবে তাঁর হাতেই।
এর আগে অতনুর সঙ্গে ‘ময়ূরাক্ষী’ করেছেন প্রসেনজিৎ। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সে ছবির অন্যতম স্তম্ভ। বাবা-ছেলের এক অন্যরকম সম্পর্কের স্তর সে ছবিতে বহু যত্নে এঁকেছিলেন অতনু। আর প্রসেনজিৎও যেন চেনা পাড়া ছেড়ে বহুদূরে। অর্থাৎ এমন প্রসেনজিৎকে অনেকদিন দেখেনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। একটা বড় অংশের মত ছিল, এমন বুম্বাদাকেই তো চাই।
অন্যদিকে অতনুর পরিচালনায় ‘বিনি সুতোয়’-এ অভিনয় করেছেন জয়া। সেখানে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন আরও এক অসামান্য অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে। সে ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবাংলায় কাজ করছেন অভিনেত্রী। শুরু হয়েছিল অরিন্দম শীলের ‘আবর্ত’র হাত ধরে। তারপর একে একে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকের ছবিতে কাজ করেছেন। জয়ার ছবির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন পশ্চিমবঙ্গের দর্শক। কিন্তু প্রসেনজিতের সঙ্গে ফ্রেম শেয়ার এতদিন অধরা ছিল। এবার সত্যি হবে সেই স্বপ্ন।
গত মঙ্গলবার মহরমের বিকেলে কলকাতায় নতুন এই ছবির ঘোষণা হল। অতনুর এবারের ছবির নাম ‘রবিবার’। বহু পরিচালক এই জুটিকে একসঙ্গে কাজ করানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রথম সেই কাজটা করে ফেললেন অতনু। প্রসেনজিতের কথায়, “অতনুর সঙ্গে ময়ুরাক্ষীর পর এটা আমার দ্বিতীয় ছবি। আমি খুব খুশি। আর জয়ার সঙ্গে কাজ করাটা অনেকদিন ধরে ডিউ ছিল। আমি সঠিক চিত্রনাট্য আর সঠিক পরিচালকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যিনি সঠিক ভাবে কাজটা করতে পারবেন। আর সেটাই হল ‘রবিবার’। দুটো চরিত্রের জার্নি। গল্প আর স্ক্রিপ্টও আধুনিক। এই ছবিতে কাজ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আমার কেরিয়ারের খুব গুরুত্বপূর্ণ ছবি…। আর জয়া বললেন, “রবিবারের ফার্স্ট লুক লঞ্চ হল। এই ছবিটা আমার কাছে অনেক কারণে স্পেশ্যাল। প্রথমত এটা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। আর বিনি সুতোয় করার পর অতনুদার সঙ্গে আবার কাজ করব ভেবেই ভাল লাগছে।”
জয় গোস্বামীর ‘ঈশ্বর আর প্রেমিকের সংলাপ’ থেকে দু’টি লাইন, ‘বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও? — যাও, আজীবন অশান্তি ভোগ করো!’ ব্যবহার করা হয়েছে প্রথম পোস্টারে। ডিজাইনের দায়িত্ব ছিল একতা ক্রিয়েটিভ টেলসের উপর। ‘ময়ূরাক্ষী’র পর অতনু এবং প্রসেনজিৎ যে ফের একসঙ্গে কাজ করবেন তা নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। দু’তিনটে আইডিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে ফাইনাল হল ‘রবিবার’।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA