বিনোদন

rawkto bilaap: স্ক্রিপ্ট নিয়ে ফিরতে হলেও সাফল্য় এল শেষে! ‘রক্তবিলাপ’ শুটিংয়ের নানা গল্প শোনালেন নবীন পরিচালক

Indrani Bose  |  Mar 4, 2022
rawkto bilaap: স্ক্রিপ্ট নিয়ে ফিরতে হলেও সাফল্য় এল শেষে!  ‘রক্তবিলাপ’ শুটিংয়ের নানা গল্প শোনালেন নবীন পরিচালক

সম্প্রতি হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে রক্তবিলাপ (rawkto bilaap)। এই সিরিজের ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরেই সবার মধ্য়ে আগ্রহ তৈরি হয়। গা ছমছমে এই ট্রেলার কী বার্তা দিচ্ছে? জানাচ্ছে, ভয় আছে তবে ভূতের নয়! শুনতেও বেশ অদ্ভুত লাগে, তাই না? সিরিজের মূল আকর্ষণ রক্তবিলাপের প্রধান চরিত্র । মায়া ওরফে সোহিনী । যাঁরাই রক্তবিলাপ দেখছেন, সোহিনীর অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। সিরিজ তৈরি ও পরিচালনা নিয়েও মন্তব্য করছেন অনেকেই। সিরিজের মেকিং সবাইকে খুব অভিভূত না করলেও, প্রথম কাজ হিসেবে সত্য়িই এই চেষ্টা প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন অনেকেই। আমরাও তাই মনে করছি। আমাদের পাঠক এবং দর্শকদের মধ্য়ে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই সিরিজ দুইজন পরিচালকের ওটিটি-তে একটি ডেবিউ। অর্থাৎ প্রথম কাজ। রক্তবিলাপের পরিচালক অর্নিত ছেত্রী এবং মণিদীপ সাহা। তাঁদের নিয়ে কথা হচ্ছে কই? আমরা পরিচালক অর্নিত ছেত্রীর (arnit chetry) থেকে শুটিংয়ের গল্প তো শুনবই। কিন্তু তারও আগে একবার (rawkto bilaap) রক্তবিলাপের ক্ষত-ভয়-সাসপেন্স ঠিক কেমন, তার একটু ছোট্ট পরিচয় দিই।

রক্তবিলাপে (rawkto bilaap) কী দেখছি আমরা?

ছবি সৌজন্য় – রক্তবিলাপ

কলকাতার বাইরে একটি বাড়িতে আয়োজন করা হয় একটি ব্যাচেলর পার্টি। একদল বন্ধুর চলতে থাকে আড্ডা, কথোপকথন। কথা বলতে বলতে একের পর এক জট খুলতে থাকে। একে অপরের প্রতি অতীতের বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে। প্রত্যেকের আসল রঙ প্রকাশ পায়। প্রত্যেক চরিত্রের খারাপ দিকগুলোও দেখতে থাকি আমরা। কীভাবে মৃত্যু হচ্ছে মানুষগুলোর? এই বাড়িতে অলৌকিক শক্তি আছে? মায়ার সঙ্গেই বা তার সম্পর্ক কী? সিরিজটি দেখলেই প্রত্যেক উত্তর পেয়ে যাব আমরা।

শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা

শিলিগুড়িতেই ছোট থেকে বড় হয়েছের অর্নিত। এমবিএ করে চাকরি করার কথা ভাবতেন একসময়। কিন্তু ওই যে একদিন সিনেমার ভূত চাপল, তখন কি আর অন্য় প্রসঙ্গ মাথায় থাকে? সিনেমাপরিচালক হওয়ার স্বপ্নই কলকাতায় টেনে আনে অর্নিতকে। এরপর ফিল্ম স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। চলতে থাকে প্রশিক্ষণ। কিন্তু কোভিডের জন্য় জারি হয় লকডাউন। ডিপ্লোমা আটকে যায়। সেই সময় প্রায় কয়েকমাস বাড়িতে হতাশ হয়ে বসেছিলেন। কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি করেননি। একের পর এক কাজের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন অর্নিত। স্ক্রিপ্ট নিয়েও চেষ্টা করছিলেন তিনি ও তাঁর বন্ধু মণিদীপ। তাহলে কীভাবে হইচই-এর মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলেন তাঁরা?

রক্তবিলাপের সেটে

কীভাবে তৈরি হল ‘রক্তবিলাপ’ (rawkto bilaap)

রক্তবিলাপ (rawkto bilaap) তৈরি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বারবার ইমোশনাল হয়ে পড়েন অর্নিত। সেটাই স্বাভাবিক। লকডাউনে মণিদীপের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ শুরু করেন। রক্তবিলাপের স্ক্রিপ্ট নিয়ে একের পর এক হাউজে ঘুরেছেন তাঁরা। হইচই-তেও গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে তাঁদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। অর্নিত বলেন, “একের পর এক হাউজ থেকে ফিরে আসি। কিন্তু শেষে আবার হইচই-তেই ফিরে যাওয়ার সুযোগ আসে। আমার এক বন্ধু তৃষার সঙ্গে আলাপ করায়। তৃষা আমাদের প্রযোজকের যোগাযোগ নম্বর দেয়। আমরা প্রযোজকের কাছে যাই। তাঁকে স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাই। তিনি স্ক্রিপ্ট শুনে খুশি হন। রক্তবিলাপ তৈরির কাজ শুরু হয়।” লেখক কল্লোল লাহিড়ির মতো মানুষের সহায়তা পেয়েছেন অর্নিত ও মণিদীপ। তাঁর মতো এত সিনিয়র ও অভিজ্ঞ একজন মানুষ স্ক্রিপ্ট ডেভলপ করায় তাঁদের অনেক সাহায্য় করেছেন। এই কথাই জানান অর্নিত।

টিম রক্তবিলাপ

আরও অনেকের নাম নেন। যাঁদের সহায়তা ছাড়া নাকি এই সিরিজ তৈরির কাজটা হত না। যদিও রক্তবিলাপ তৈরির জন্য় প্রায় ২ বছর সময় দিয়েছেন অর্নিত। দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে পরিকল্পনা ও প্রি-প্রোডাকশনের কাজ। প্রোডাকশন ও পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ হতে হতে দুই বছর সময় লেগেছে।

এক ঝাঁক কলা-কুশলীর সঙ্গে প্রথম কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সোহিনী এই সিরিজের প্রধান চরিত্র হবেন জানার পর বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন নবীন পরিচালকরা। সোহিনী যে এই সিরিজে কাজ করতে রাজি হয়েছেন শুনে খুব খুশিও হয়েছিলেন। এছাড়াও কাঞ্চন মল্লিকের মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুশি নবীন পরিচালক।সপ্তর্ষি, তুহিনার মতো অভিনেতারাও কাজ করেছেন। তবে শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকেই খুব সহায়তা করেছেন প্রত্যেক অভিনেতা। তাই শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা খুব ভাল।

শুটিংয়ের একটি মুহূর্ত

শুটিংয়ের সেরা মুহূর্ত?

সেটে প্রথমবার অ্যাকশন বলাই নাকি সবথেকে বড় মুহূর্ত ছিল অর্নিতের কাছে। অনেকেই সিরিজটি দেখেছেন। সিরিজ দেখার পরে ভাল ও খারাপ মিশিয়েই রিভিউ পাচ্ছেন পরিচালকরা। কিন্তু এটা তাঁদের পথচলার শুরু। তাই এরপর আরও ভাল কাজ করবেন বলেই আশ্বাস দিচ্ছেন তাঁরা।

সিরিজের সেটে অর্নিত

ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ করা এবং ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য় প্রত্য়েককেই অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অর্নিত, মণিদীপের মতো অনেক ছেলে-মেয়েই আছেন, যাঁরা এখনও তাঁদের স্বপ্নের স্ক্রিপ্ট নিয়ে প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরছেন। কাজ করতে চাইছেন। সিনেমা সত্য়িই একটা স্বপ্ন, আর শিল্পীরা সেই স্বপ্নের পথযাত্রী। দর্শকরা সেই পথে তাঁদের বন্ধু হতে পারেন।

মূল ছবি – হইচই , অর্নিত ছেত্রী

প্রবন্ধের অন্য়ান্য় ছবি – অর্নিত ছেত্রী

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজিহিন্দিমারাঠি আর বাংলাতেও!   

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

Read More From বিনোদন