মেকআপ করতে আজকাল অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু নিয়মিত মেকআপ করতে থাকলে ত্বকের বাড়তি যত্নও যে নিতে হয়, তা আমাদের অনেকেরই মাথায় থাকে না! তা-ও মেকআপ মানে, বেস-ফাউন্ডেশন-আইশ্যাডো-ব্লাশঅন লাগিয়ে মেকআপ করার কথা বলছি না! আপনি যদি রোজ সাধারণ কম্প্যাক্ট-কাজল লাগিয়ে বেরোন আর উৎসব-অনুষ্ঠানে মেকআপ (makeup) করেন, তা হলেও আপনার ত্বকের উপর এই বাড়তি লেয়ারের একটা ছাপ পড়তে বাধ্য। চোখের কাজল ঠিক করে উঠবে না, আস্তে-আস্তে চোখের তলায় কালি পড়ে যাবে, কম্প্যাক্ট না লাগালেই মনে হবে, কী যেন একটা লাগাইনি, ত্বকে অনেক সময় ছোপ পড়বে ইত্যাদি ইত্যাদি উপসর্গ কিন্তু দেখা দিতেই পারে। সুতরাং, মেকআপ করুন, তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু সেই অনুযায়ী ত্বকের (skin) বাড়তি যত্নও (care) নিন। কীভাবে, সেটাই আমরা বলে দিচ্ছি এখানে।
আরও পড়ুনঃ সেনসেটিভ ত্বকের যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া টোটকা
মেকআপ তুলবেন কীভাবে
shutterstock
এটা কিন্তু খুবই জরুরি। যতটা যত্ন নিয়ে আপনি মেকআপ করেন, ঠিক ততটা যত্ন নিয়েই মেকআপ তোলাটাও উচিত। না হলেই গন্ডগোল। এই তোলার একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে। আপনি মেকআপ করে বাড়ি ফিরে ভাবলেন, সাবান-জল আর ঠান্ডা জলের ঝাপটা, তা হলেই আপনার কাজ শেষ, তা মোটেও নয়। উল্টে তাতে সময় নষ্ট হওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিচ্ছুটি হয় না। মেকআপ যৎসামান্য হোক কিংবা একগাদা, আগে কোনও অয়েল বেসড ক্লেনজিং লোশন দিয়ে ভাল করে তা তুলে ফেলুন। ভাল করে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে তারপর আপনার পছন্দের ওয়াটার বেসড জেল ক্লেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর আবার ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেবেন মুখে। এই পদ্ধতিকে বলে টু ওয়ে ক্লেনজিং। এতে ত্বকের উপরের মেকআপ থেকে শুরু করে ত্বকের ছিদ্রে সারাদিন ধরে জমে থাকা ধুলোবালি, ময়লা, সব বেরিয়ে যায়। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত সেনসিটিভ, তাঁরা অবশ্য ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড কোনও ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধোবেন। বরং রিপিট করতে পারেন এই পদ্ধতিটি। মানে, একই ক্লেনজার দিয়ে দুবার মুখ ধুয়ে নিন।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সিরাম, ত্বকের রক্ষাকবচ
মুখ পরিষ্কার করার পর কী করেন আপনি? নিশ্চয়ই হালকা কোনও ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেন। আমরা বলছি, এই ময়শ্চারাইজারের পরিবর্তে ব্যবহার করুন কোনও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সিরাম। যাঁরা নিয়মিত মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, তাঁরা বিশেষ করে এই ধরনের সিরাম লাগিয়ে নিন। মেকআপ প্রোডাক্টজনিত রেসিডিউ, যেটা চোখেও দেখা যায় না অথচ আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে, তার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করবে এই ধরনের সিরাম। আবার যে-কোনও ধরনের পিগমেন্টেশন, মেচেতা বা ব্রণজনিত দাগ, বয়সের কারণে দেখা দেওয়া বলিরেখার হাত থেকেও বাঁচাতে পারে এই ধরনের সিরাম।
শারীরিক সিস্টেমকে ডিটক্সিফাই করুন
বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ভিতর থেকেও তাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে হবে। তাই মাঝে-মাঝে শরীররে ডিটক্সিফাই করা প্রয়োজন। এখানে কয়েকটি উপায় বলে দেওয়া হল, যে-কোনও একটা রোজ মেনে চললেই হবে।
- সকালে উঠে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে লেবু-মধু মিশিয়ে খান।
- রোজ এক গ্লাস শসা-সেলেরি পাতার জুস খান।
- সকালে খালি পেটে এক গ্লাস মেথিদানা ভেজানো জল খান।
- একটু কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে অল্প পালং শাক হালকা সেদ্ধ করে রোজ সকালে খেতে পারেন।
- রাতে এক গ্লাস জলে কয়েকটা আমন্ড আর আখরোট ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই জলটার সঙ্গে ভেজানো বাদামগুলিও খেয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে একদিন বাড়তি যত্ন নিন
সপ্তাহে একদিন ত্বকের একটু অতিরিক্ত দেখভালের প্রয়োজন আছে। শনি অথবা রবিবার একটু মুলতানি মাটির (multani mitti) ফেসপ্যাক কিংবা অ্যাক্টিভেটেড চারকোল (charcoal) দিয়ে ত্বক করে ফেলুন তুলতুলে। আজকাল বাজারে নানা ধরনের শিট মাস্ক (sheet mask) পাওয়া যায়, যেগুলি নিজেই চট করে লাগিয়ে ফেলতে পারেন। দেখবেন, নিজেরই কত ভাল লাগছে!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!