বিনোদন

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ এবং POPxo বাংলা মুখোমুখি

Debapriya Bhattacharyya  |  Mar 11, 2019
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ এবং POPxo বাংলা মুখোমুখি

সমাজের তথাকথিত ‘নর্মাল’ মানুষের মতো নয় ১৫ বছরের এই মেয়েটি। তার জীবনে এই বয়সেই অনেক টানাপোড়েন রয়েছে। একে তো সে পারভেসিভ ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডারে ভুগছে যেটি এক প্রকারের অটিজম, তায় আবার তার মা তাকে একা মানুষ করার চেষ্টা করছেন, আর তার মধ্যেই আবার মেয়েটি নানারকম কল্পনা করে সেগুলিকে বাস্তব মনে করে পাড়ার একটা বিড়ালের মৃত্যুরহস্য নিয়ে গোয়েন্দাগিরি করতে চলেছে! ভাবছেন তো কিসব বলছি আর কার কথাই বা বলছি? আরে বাবা নতুন একটা বাংলা সিনেমা আসছে তো ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ নামে, সেই সিনেমারই চরিত্র কিয়ার কথা বলছি। পরিচালক সুদিপ্ত রায়ের প্রথম সিনেমা এটি, আর গত উইকেন্ডেই রীতিমত প্রেস কনফারেন্স করে মুক্তি পেল ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’-এর অফিসিয়াল পোস্টার আর ট্রেলার।

প্রেস কনফারেন্সে ছবির পরিচালক থেকে আরম্ভ করে প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী সবাই উপস্থিত ছিলেন। ছবিতে কিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিত্বিকা পাল, এটি তার প্রথম ছবি। কিয়ার মায়ের চরিত্রে রয়েছেন টলিউডের স্বানামধন্য অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।

স্বস্তিকাকে সব সময়েই একটু ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই সিনেমাটির বিষয়ে স্বস্তিকার বক্তব্য, “একটা সিনেমা তৈরি করতে গেলে যেটুকু সামান্য খরচ করতে হয়, সত্যি কথা বলতে কি আমাদের কাছে সেটুকুও ছিল না। ক্রাউড ফান্ডিং করে প্রথমে সুদিপ্ত (ছবির পরিচালক) টাকা যোগার করার চেষ্টা করে, পরে যখন প্রাচী কানোডিয়া (ছবির প্রযোজক) এবং আভা ফিল্মস এগিয়ে আসে তখন যেন একটু স্বস্তি পাই আমরা সবাই।”

কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তিকাকে (Swastika Mukherjee) একা পাওয়া গেল, তাই দু-চারটে কথা POPxo বাংলার তরফ থেকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।

যেহেতু স্বস্তিকাকে (Swastika Mukherjee) সব সময়ে একজন স্ট্রং মহিলার ভুমিকায় দেখা যায় যেকোনো ছবিতেই, তাই যখন ‘ওমেন্স ডে’ সম্পর্কে কোনও বার্তা দেবেন কিনা জিজ্ঞেস করা হল, তিনি হেসে বললেন, “একটা ভীষণ স্ট্রং মেসেজ তো আমি দিয়েই দিয়েছি!” হ্যাঁ, তাঁর সেই ফেসবুক পোস্ট-এর কথাই তিনি বললেন যেখানে তিনি নিজের একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন এবং তা নিয়ে একটা অদ্ভুত সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ার আরম্ভ হয়েছিল। কিছুই না, স্বস্তিকা লিখেছিলেন যে একজন মহিলার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে এতো বেশি কথা বলার কি আছে, সবটাই তো একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার; আর একজন মা যখন তাঁর সন্তানকে ব্রেস্টফিড করান তখন তাঁর ‘স্যাগি ব্রেস্ট’ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

তাঁর সাথে তিনি এটাও বললেন, “আমি বাস্তবে যেরকম, আমি কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে সেরকম ছবিই পোস্ট করি। অনেক মেকআপ করে, প্রচুর ফিল্টার ব্যবহার করে একটা ‘অন্য আমি’-র ছবি পোস্ট করার পক্ষপাতী আমি একেবারেই নই। আর তাতে কে কি ভাবল, সেটা আমার ভাবার কথা নয়। আমি যেরকম, সেরকম থাকতেই ভালোবাসি। নিজের মতামত সবার সামনে প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে, আর আমিও সেটাই করি।”

সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে তাঁর (Swastika Mukherjee) মতামত হল, “এই একটা জায়গা রয়েছে যেখানে সবাই এসে নিজের নেগেটিভিটি আর ফ্রাস্ট্রেশন বার করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যত না পসিটিভ পোস্ট আর কমেন্ট পড়ে, তার থেকে যেন নেগেটিভিটিটা বেশি। আমি ঠিক বুঝি না কেন! একটা স্বাভাবিক ব্যাপারকে মানুষ স্বাভাবিকভাবে কেন নিতে পারেনা!”

ভিডিও সৌজন্যে – YouTube

ছবি সৌজন্যে – Facebook 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

Read More From বিনোদন