প্রয়াত (passed away) হলেন অভিনেতা তাপস (Tapas) পাল। মঙ্গলবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলিউডে।
১৯৫৮ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপসের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে পড়াকালীন পরিচালক তরুণ মজুমদারের নজরে পড়েন। মাত্র ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
তাপসের উল্লেখযোগ্য ছবি গুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান ১৯৮১-তে। বাংলার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ‘অবোধ’ ছবিতে। কিন্তু তরুণ মজুমদারের ডাকে ফের কলকাতা ফিরে গিয়ে জুটি বাঁধেন দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে। ১৯৮৫তে তুমুল হিট হয় তাঁদের ‘ভালবাসা ভালবাসা’। টলি পাড়ার তৈরি হয় তাপস-দেবশ্রী জুটি।
আসলে তাপসের ইউএসপি ছিল পাশের বাড়ির ছেলের ইমেজ। অন্তত তেমনটাই মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ। কেরিয়ারের প্রথম দিকের ছবি গুলিতে তাঁর অভিনয়ে যে সারল্য ছিল তা একজন জাত অভিনেতার পক্ষেই সম্ভব বলে মনে করেন বহু বর্ষীয়ান পরিচালক। স্বাভাবিক হিরোইজমের চেনা ছকের বাইরে পাশের বাড়ির ছেলের হিরো হয়ে ওঠার ছবি বারবার বেছে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, ক্যানসার এখন আর তাঁর পরিচয় নয়, ইমোশনাল সোনালি শেয়ার করলেন ভিডিও
শুধু দেবশ্রী নন। পরে শতাব্দী রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেও বহু হিট ছবি ইন্ডাস্ট্রিকে উপহার দিয়েছেন তাপস। হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় বহু হিট ছবি করেছেন এই জুটি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী হালদারের মতো নায়িকাদের সঙ্গেও সমানতালে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। তবে এত নায়িকার ভিড়ে জীবনের সেকেন্ড ইনিংস অর্থাৎ রাজনীতির ময়দানে সতীর্থ হিসেবে প্রথম থেকেই পেয়েছিলেন শতাব্দীকে।
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎই রাজনীতির ইনিংস শুরু করেন তাপস। তৃণমূলের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ হন তিনি। রাজনীতির মঞ্চেই তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলে। তাপস নিজেও তীব্র সমালোচনার শিকার হন। রোজভ্যালি কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারও করে সিবিআই। কিন্তু সে সব পেরিয়ে ফের অভিনয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।
তাপস রেখে গেলেন স্ত্রী নন্দিনী এবং মেয়ে সোহিনীকে। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, শেষ মুহূর্তে নন্দিনী তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু সোহিনী রয়েছেন আমেরিকায়। তাঁর কাছে যাওয়ারও কথা ছিল তাপসের। তা আর হয়ে উঠল না। বিতর্ক নয়, আজীবন তাপসকে ‘দাদার কীর্তি’র কেদার হিসেবেই মনে রাখতে চান আম-জনতা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!
Read More From বিনোদন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA