আমাদের বিয়ের ৫ বছর পর তিতির আমাদের জীবনে এসেছে. যখন প্রথমবার নিজের শরীরে একটার বদলে ২টো হার্টবিট বুঝতে পাচ্ছিলাম তখন আনন্দে আমার চোখে জল এসে গেছিলো ঠিকই কিন্তু সাথে আরো অনেকগুলো অজানা ভয় আমাকে ঘিরে ফেলেছিলো. আমি তখন চাকরি করি, অফিসে আমার কাজের সুনাম আছে এবং প্রোমোশনের কথা চলছে. এখন কি হবে, এটা ভেবেই আমার কান্না পেয়ে গেছিলো. তাছাড়া সেই মুহূর্তে আমাদের দুজনের কেউই প্রেগনেন্সির (pregnancy) জন্য তৈরিও ছিলাম না. কোথা থেকে কি হবে ভেবে ভেবেই আমার ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেছিলো. এমনিতেই আমার কিছু শারীরিক সমস্যা (physical issues) ছিল, আর প্রেগনেন্সিতে (pregnancy) স্ট্রেসের (stress) জন্য আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম. তখনি বুঝেছিলাম, যে প্রেগনেন্সি (pregnancy) প্ল্যান (plan) করার আগে অনেক গুলো বিষয় মাথায় রাখাটা কতটা প্রয়োজন! বড়রা ঠিকই বলেন, মা হওয়া মুখের কথা নয়!
প্রেগনেন্সি (pregnancy) প্ল্যান (plan) করার আগে কি কি মাথায় রাখা উচিত
মা হবো ভাবলাম আর হয়ে গেলাম – ব্যাপারটা যদি এতটা সহজ হতো, তাহলে কতই না ভালো হতো! কিন্তু দুঃখের বিষয়, এরকম কিছু হয় না. প্রেগনেন্সির (pregnancy) জন্যও কিছু প্ল্যানিং (plan) প্রয়োজন, যেমন আপনার পার্টনারও (partner) বাবা হবার জন্য তৈরী কিনা, আপনাদের দু’জনের শরীরই প্রেগনেন্সির জন্য প্রস্তূত কিনা, ফাইনান্সিয়ালি (financial condition) আপনারা কতটা প্রস্তূত, বাচ্চা (baby) কে কে কখন সময় দেবেন – এরমকম হাজার একটা ব্যাপার আছে –
১. দুজনেই দুজনের মতামত জেনে নিন
হয়তো আপনার পার্টনার (partner) বাবা হবার জন্য তৈরী, কিন্তু মানসিক বা শারীরিকভাবে আপনি এখনো তৈরী নন; কিংবা ঘটনাটা উল্টোও হতে পারে – এক্ষেত্রে কিন্তু একেবারেই প্রেগনেন্ট (pregnant) হবার কথা ভাবা উচিত নয়. দু’জনে দু’জনের সাথে খোলাখুলি কথা বলুন যাতে পরে গিয়ে কোনো সমস্যা না হয়.
২. দু’জনেই প্রেগনেন্সি প্ল্যান করার আগে হেল্থ চেকআপ করিয়ে নিন
৩. অর্থকড়ির (financial condition) ঠিকটাও দেখে রাখা উচিত
৪. বাচ্চার দায়-দায়িত্ব কে নেবেন, কিভাবে নেবেন
একটা বাচ্চা মানুষ করা সহজ নয়. আপনারা দু’জনেই যদি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তো সেটা আরোই কঠিন! অনেকে অবশ্য বাড়িতে থাকেন, কিন্তু তার পরেও সব দায়িত্ব একা নেওয়া সম্ভব না. নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিন যে কে কখন বাচ্চাকে সময় দিতে পারবেন. তা ছাড়া দাদু-ঠাকুমা বা দাদু-দিদাকে কতটা ইনভল্ভ করবেন বাচ্চার দায়িত্ব দেবার জন্য, সেটাও ভেবে নিন.
৫. কফি খাওয়া বন্ধ করুন, না পারলে অন্তত পরিমানটা কমান
অনেকেই কফি না খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন না, যেমন আমি. অনেক ডাক্তার বলেন যে কফি নাকি প্রেগনেন্সির (pregnancy) জন্য ভালো না এবং ক্যাফেইন ফার্টিলিটিতে (fertility) খুব বেশি রকম এফেক্ট করে, ফলে প্রেগনেন্ট (pregnant) হওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়. তাই যদি আপনি বাচ্চা (baby) প্ল্যান (plan) করার কথা ভাবেন. তাহলে কফি খাবার পরিমানটা কমিয়ে দিন. দিনে এক কাপ কফি চলতে পারে, কিন্তু তার বেশি না খাওয়াই ভালো.
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তিসির অপকারিতা
৬. এলকোহল এবং স্মোকিংকে না বলুন
৭. সংক্রমণের (infection) হাত থেকে বাঁচুন
যে কোনো ধরণের সংক্রমণই (infection) খারাপ কিন্তু প্রেগনেন্সিতে এবং তার আগেও (যখন ভাবছেন প্রেগনেন্ট হবার কথা) যদি কোনোরকম সংক্রমণ হয় তাহলে সেটা মারাত্বক হতে পারে. যখনি কিছু খাবেন তার আগে ভালো করে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোবেন, বাইরে থাকলে সব সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার করি করুন, কোনো খাবার আলগা ফেলে রাখবেন না, বাসি খাবার খাবেন না, রাস্তার খাবার না খাওয়াই ভালো, ওয়াশরুম ব্যবহার করার আগে ডি-স্যানিটাইজ অবশ্যই করবেন, নিয়মিত নখ কাটবেন, প্রতিদিনই স্নান করবেন, যদি আপনার বাগান করার শখ থাকে তাহলে তো মাটি ঘটতেই হবে কিন্তু গ্লাভস পরে নেবেন – এরকম ছোট ছোট কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখলে সংক্রমণের (infection) হাত থেকে বাঁচা সম্ভব.
৮. নিজের মানসিক স্বস্থ্যের দিকে নজর দিন
প্রেগনেন্সির জন্য শুধু শরীরকেই প্রস্তূত করলে হবে না, মনকেও প্রস্তূত করতে হবে. আপনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ না থাকেন তাহলে সেটা বাচ্চার স্বাস্থ্যের ওপরেও খুব খারাপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে. শুধু তাই না, স্ট্রেস, উৎকন্ঠা, দুঃখ, অবসাদ, কিংবা অন্যান্য মানসিক সমস্যা থাকলে প্রেগনেন্সি আসতেও অনেক দেরি হয়, একেক সময় প্রেগনেন্সি আসেও না. তাই প্রেগনেন্ট (pregnant) হবার কথা ভাবার আগেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, প্রয়োজনে ডাক্তারের সাহায্য নিন.
৯. ওজনটা (weight) খেয়াল রাখুন
১১. ব্যায়াম (excercise)
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!