ADVERTISEMENT
home / Love
ব্রেকআপ হয়েছে তো কী! কান্না থামিয়ে সুখের সন্ধান পান এই টিপসগুলি মেনে

ব্রেকআপ হয়েছে তো কী! কান্না থামিয়ে সুখের সন্ধান পান এই টিপসগুলি মেনে

কাউকে ভালবাসা অনেকটা নেশার মতো। একটা সময়ে গিয়ে কেমন যেন অভ্যাসে পরিণত হয়। তাঁর সেই ছোঁওয়া, খুনসুটি আর ভালবাসা নিজের অজান্তেই একদিন এই জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। তাই হঠাৎ করে যখন সেই অভ্যাস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়, তখন যে কষ্টটা হয়, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়! মনে হয় হাজার ক্ষতের যন্ত্রণায় শরীর-মন এতটাই ভেঙে গেছে যে, সে নিজের পায়ে আর কখনওই দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকে না। সে অতীতকে ভুলে আগামীর দিকে এগিয়ে চলে। তাই আপনিও বা থেকে থাকবেন কেন! ব্রেকআপ হয়েছে মানেই জীবন শেষ, এমনটা ভেবে নেবেন না প্লিজ। বরং নিজেকে শক্ত হাতে সামলান। দেখবেন, একদিন না-একদিন জীবনের ট্রেন গাড়িটা ঠিক স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবেই পৌঁছাবে। ভাবছেন, এত যন্ত্রণা কমাবেন কীভাবে? জেনে নিন আমাদের কাছ থেকে।

আরও পড়ুনঃ প্রেমে ব্যর্থ মনের জন্য ৩০টি ব্রেকআপ সং

ব্রেকআপের যন্ত্রণা কমবে এই টিপসগুলি মানলে

১. এবার একটু নিজের খেয়াল করুন

যে ছেড়ে গেছে তাঁর কথা ভেবে দুঃখ পাওয়াটা বোকামি। তাই অনেক হলেন অন্যের কথা ভাবা। এবার একটু নিজের দিকে নজর ফেরান দেখি! মন যা চায় তাই করুন। পছন্দমতো খাবার খান। বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা মারুন। ঘন্টার পর ঘন্টা সিনেমা দেখুন। মোট কথা যা ইচ্ছা তাই করুন। যা করলে সেই স্বার্থপর মানুষটার কথা আর মনে পারবে না, তাই করুন। নিজের মতো করে বাঁচুন। দেখবেন, যে মানুষটার জন্য একদিন আপনি নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিলেন, তাঁর কথা আর মনেই পরবে না।

২. চুটিয়ে শপিং করুন

অনেকে বলেন ব্রেকআপের ( breakup) কষ্ট কমাতে নাকি শপিং-এর কোনও বিকল্প নেই। কথাটা কিন্তু ভুল নয়। বরং ষোলো আনা ঠিক। কিন্তু শপিং-এর সঙ্গে কষ্ট কমার কী সম্পর্ক? আসলে ব্রেকআপের পরে আমার ভালবাসার মানুষটাকে এতটাই মিস করি যে তাঁর ভাবনাই বারে বারে ঘুরে ফিরে আসে। ফলে কষ্টের সেই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তাই খুঁজে পায় না অনেকে। তাই এই সময় যদি শপিং-এ নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায়, তা হলে নেতিবাচক চিন্তা ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। কমে ব্রেকআপের যন্ত্রণাও। তাই সেভিংস অ্যাকাউন্টে যদি কিছু টাকা জমে থাকে, তা হলে কোনও কিছু না ভাবে দিনচারেক চুটিয়ে শপিং করুন। তাতে কষ্ট তো কমবেই, সঙ্গে ওয়ার্ডরোবের মেকওভারটাও এই ফাঁকে হয়ে যাবে।

ADVERTISEMENT

৩. কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারেন

কয়েকজন বন্ধু মিলে দিনদুয়েকের জন্য দিঘা, নয়তো মন্দারমণি ঘুরে আসুন। এই বর্ষায় ডুয়ার্সে ঢুঁ মারলেও মন্দ হয় না। মোট কথা, পকেট বুঝে কোথায় বেরিয়ে পরতে পারলে কষ্ট যে কমবে, তা হলফ করে বলতে পরি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বেরানোর ছবি দেখার পরে ‘এক্স’ যে একেবারে জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যাব, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই এক তীরে যদি দুই পাখি মারতে চান, তা হলে ঝটপট ঘুরতে যাওয়ার একটা প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন!

৪. পোষ্যকে ভালবাসার চেষ্টা করুন

ব্রেকআপের পরে ভুলেও একা থাকা চলবে না। কারণ, ভাঙা মনকে একা রাখলে যে দুঃখ আরও বাড়বে। কিন্তু এই সময় যে কারও সঙ্গেই কথা বলতে ইচ্ছা করে না, তাহলে উপায়? পছন্দের কোনও পোষ্যকে বাড়ি নিয়ে আসুন। তার সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, কষ্ট কমতে সময় লাগবে না। ইচ্ছে হলে মাছও পুষতে পারেন। কারণ, সাইকোলজিস্টরা মনে করেন রঙিন মাছেদের খেলা করতে দেখলে নাকি স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমে, সঙ্গে কমে দুঃখও।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এগুলোও আপনি পড়তে পারেন

ADVERTISEMENT

জনপ্রিয় ৪০ টি বাংলা দুঃখের গান

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

02 Jul 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT