উপালি সাজতে খুব ভালোবাসে। দোকানে যাক কিংবা অনলাইনেই হোক, অনেক মেকআপ কেনে, যার ফলে মাইনের সিংহভাগটাই খরচ হয়ে যায় মেকআপের পিছনে। যখন যা মেকআপ ট্রেন্ড, উপালির সবটাই নখদর্পণে। আর মেকআপ ব্র্যান্ড নিয়ে যদি কখনও কোনও কুইজ হয় উপালি যে তাতে জিতবে, সেটাও ও খুব ভালো করেই জানে। কিন্তু এতকিছুর পরেও একতা সমস্যা আছে। যেরকমই সাজুক না কেন, ওর বয়সের তুলনায় ওকে দেখতে বয়স্ক বলে মনে হয়, আর তাতেই উপালির খুব দুঃখ। এরকম সমস্যা কিন্তু একা উপালির না, আমাদের সাথেও অনেকবার হয়েছে। আসলে ফ্যাশন ট্রেন্ড বা লেটেস্ট মেকআপ ট্রেন্ড ফলো করলেও আমরা অনেকেই সাজার সময়ে একটা বড় ভুল করে ফেলি আর সেটা হল নিজের মুখের আকার অনুযায়ী মেকআপ না করা। ছোট ছোট এই ভুলগুলো একসাথে গোটা সাজটাই নষ্ট করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করবেন?
মেকআপ করার সময়ে এই ৫টি ভুল যেন না করেন!
১। ভুল শেডের ফাউন্ডেশন
আমরা মোটামুটি সবাই কখনও না কখনও ভুল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেছি। আসলে ফাউন্ডেশন যেমন আপনার লুককে যেমন পারফেক্ট বানাতে পারে, সেরকমই আপনার গোটা সাজটাই নষ্ট করে দিতে পারে. সঠিক ফাউন্ডেশন বাছার জন্য কেনার আগে মুখের সাইডে লাগিয়ে দেখুন, যদি ফাউন্ডেশন আপনার স্কিনের সাথে সুন্দরভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়, তাহলে সেটাই আপনার জন্য সঠিক শেড.
২। চোখের শেপ অনুযায়ী মেকআপ না করা
অনেকেই আছেন নিজের চোখের শেপ অনুযায়ী মেকআপ করেন না। অন্ধের মতো ফ্যাশন ট্রেন্ড ফলো করেন। এতে কিন্তু দেখতে মোটেও ভালো লাগে না। আর চোখের মেকআপ-এর ওপর আপনার লুক কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে। তাই আই মেকআপ নিখুঁত হওয়া ভীষণ জরুরি। আই মেকআপের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট কিন্তু সঠিক আই শ্যাডো লাগানো। অনেক সময়েই ড্রেসের সাথে আই শ্যাডো ম্যাচ করতে গিয়ে আমরা নিজেদের স্কিনটোনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা শেডের আই শ্যাডো লাগিয়ে ফেলি যা আমাদের গোটা মেকআপ নষ্ট করে দেয়। সেজন্য যখনি আই শ্যাডো লাগাবেন, নিজের স্কিন টোনের কথা মাথায় রেখে লাগাবেন।
৩। অতিরিক্ত ব্লাশ লাগানো
অনেকেই আছেন যারা এতো বেশি কন্টোরিং করেন যে দেখতে খুব বয়স্ক লাগে। কন্টোরিং করা হয় মুখের ফিচারগুলোকে আরও শার্প করার জন্য, আপনার মুখের আদল বদলে দেবার জন্য না। বেশি গাঢ় শেডের ব্লাশ লাগালে কিন্তু মুখটা ম্যাড়ম্যাড়ে দেখতে লাগে, আবার ব্লাশ যদি খুব হালকা শেডের হয় তাহলে কন্টোরিং ঠিকভাবে হয় না। আবার ব্লাশ এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে সেটা মেকি না লাগে।
৪। ভুল শেডের লিপস্টিক
ঠোঁটে সরাসরি কখনো লিপস্টিক লাগাবেন না. এতে আপনার ঠোঁট শুধু শুস্কই হয়না, ফাটতেও আরম্ভ করে. লিপস্টিক লাগানোর সময় সবসময় আগে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন. এরপর লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের শেপের সাথে মিলিয়ে আউটলাইন করে নিন. এবার লিপস্টিক লাগান. আরও একটা ভুল যেটা বেশিরভাগ মহিলাই করে ফেলেন, সেটা হল নিজের স্কিনটোন অনুযায়ী লিপস্টিকের শেড না বাছা। ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুযায়ী যদি গাঢ় রঙের লিপস্টিক ইন হয়, তার মানে কিন্তু এটা নয় যে আপনাকেও সেই শেডটা মানাবে।
৫। কনট্রাস্ট করে মেকআপ না করা
আই শ্যাডো আর লিপস্টিকের একরকম রং আপনার গোটা মেকআপ (makeup) নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট. যদি আপনি চোখে ডার্ক শেড ব্যবহার করেন, তাহলে ঠোঁটে হালকা রং লাগান. স্মোকি-আইস করার সময় ন্যুড বা পিচ রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন.
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!