এই পথিবীতে দু’ধরনের মানুষ আছেন। এক, যারা হাজারও প্রতিকূলতার মাঝেও শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যান। আর আর এক দল একটু চাপেই ভেঙে পড়েন। আপনি যদি এসকেপিস্ট হন, তা হলে বলার কিছু নেই। কিন্তু যদি লড়াকু মানসিকতার হন, তা হলে বলব, সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার আগে একবার শেষ চেষ্টা করুন। ভালবেসেছেন যখন, তখন সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার দায়টাও কিন্তু অনেকটাই আপনার। ভাবছেন, চিড় ধরে যাওয়া সম্পর্ককে (Broken Relationship) কীভাবে জোড়া লাগাবেন? জেনে নিন আমাদের কাছ থেকে।
১. ক্ষমা করে দিন
কোনও ভুলের কারণেই কি এই ব্যবধান? তা হলে সেই ভুলটাকে ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ক্ষমা করে দিতে হবে পার্টনারকে। নিজেকে বোঝাতে হবে, কোনও কারণে হয়তো ভুলটা হয়ে গেছে। সুযোগ তো সকলেরই প্রাপ্য। প্রয়োজনে একদিন নিরিবিলিতে বসে কথা বলুন। নিজের মন উজাড় করে দিন। শুনুন ভালবাসার মানুষটির কথাও। দেখবেন, সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে। আর একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, ভুলটা নিয়ে বেশি ভাববেন না। বরং মাথায় যদি কোনও নেতিবাচক ভাবনা আসে, তা হলে তা খুলে বলুন পার্টনারকে। তাতে সম্পর্কে বিশ্বাসের ভিত আরও মজবুত হবে। সম্পর্কের জটিলতা কেটে যেতেও সময় লাগবে না।
২. প্রয়োজনে কাউন্সিলরের সাহায্যে নিন
অনেক সময় ঝামেলাটা আসলে কী কারণে হচ্ছে, সেটা দু’জনের পক্ষেই বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। ফলে বাদানুবাদ তো কমেই না, বরং তা আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। এমন সময় কোনও তৃতীয় ব্যক্তির সাহায্যে নিলে কিন্তু সমাধান মিলতে পারে। অনেক সময় আপনাদের চোখে যে সমস্যা ধরা পড়ে না, তা অন্য কারও চোখে ধরা পড়ে যেতে পারে। আর সেই সমস্যাটার সমাধান করলেই নিরাশার কালো মেঘ কেটে যেতে সময়ই লাগে না। এক্ষেত্রে সেই তৃতীয় ব্যক্তি বড় দিদি বা দাদা হতে পারেন, হতে পারেন আবার প্রফেশনাল কাউন্সিলরও। আসলে কী জানেন, কাউকে নিজের মনের কথা, সমস্যার কথা খুলে বললে সমাধান মিলার সম্ভাবনাটা বেড়ে যায়। আর সেকথা প্রমাণও হয়ে গেছে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ম্যারেজ এন্ড ফ্যামিলি থেরাপিস্ট সংস্থার করা এক স্টাডিতে। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, কাপল কাউন্সেলিং করলে প্রায় ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা মিটে যায়। তা হলে বুঝতেই পারছেন, ভেঙে যাওয়া সম্পর্ককেও কিন্তু কাউন্সেলিং-এর ডোজে পুনরায় বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনি কার সঙ্গে Sexually Compatible?
৩. সুখের স্মৃতি হাতড়ান
ক্রিকেটাররা যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যান, তখন কি করেন জানেন? অতীতে খেলে আসা ভাল ইনিংসগুলি নিয়ে ভাবেন। তাতে নাকি হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। একই কাজ আপনাদেরও করতে হবে। এমন দুঃখের দিনে ফেলে আসা সুখের দিনগুলির বিষয়ে ভাবুন। সেই নিয়ে কথা বলুন। দেখবেন, কিছুটা হলেও তিক্ততা কমবে। আর তখনই সুযোগ ভাঙা সম্পর্ককে জোড়া লাগানোর। মনে রাখবেন, Relationship-এর খারাপ দিকটা নিয়ে যত ঘ্যানঘ্যান করবেন, ততই কিন্তু বিরক্তি বাড়বে। তাই নেতিবাচক ভাবনা পিছনে ফেলে ইতিবাচক ভাবনার সঙ্গে হাত মেলান। দেখবেন, ভুল বোঝাবুঝির ঝাঁজ কমবেই কমবে।
৪. বলুন কম, শুনুন বেশি
কয়েকটা দিন যদি মুখে কুলুপ আঁটতে পারেন, তা হলে হয়তো এই যাত্রায় সম্পর্কটা বেঁচে গেলেও যেতে পারে। কারণ, সারাক্ষণ নিজের দুঃখ, নিজের অভিমান নিয়ে কথা খরচ করে গেলে পার্টনারের মনের কথা শুনবেন কখন? তাই কিছুদিন চুপ থেকে উল্টো দিকের লোকটির দুঃখ-কষ্টটা একটু জরিপ করার চেষ্টা করুন। তার মনের কথা মন দিয়ে শুনুন। তবেই বুঝতে পারবেন সমস্যাটা ঠিক কোথায়। আর সেই মতো সমাদান খুঁজলেই কেল্লা ফতে!
৫. ভুল না থাকলেও সরি বলুন
তালি কিন্তু এক হাতে বাজে না। তাই সম্পর্ক যখন খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে, তখন যতটা ভুল আপনার, ততটাই আপনার পার্টনারেরও। তাই নিজেকে ধোওয়া তুলসি পাতা ভাবলে কিন্তু ভুল করবেন। বরং সত্যিই যদি ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তা হলে ঠিক সময়ে অক্সিজেন দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে অক্সিজেন হল নিজের ভুলের ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। কে আগে সরি বলবে, সেই অপেক্ষায় না থেকে আপনিই আগে সরি বলুন। তাতে কিন্তু আপনার সম্মান কমবে না। বরং জানবেন, আপনি ভলবাসাকে কদর করেন বলেই ক্ষমা চাইছেন। আর যেখানে ভালবাসাটাই আসল, সেখানো ‘ইগো’র কী কাজ বলুন! তাই আমিত্বকে ভুলে প্রথম পদক্ষেপটা আপনি নিন। আপনাকে দেখে সেও দু’পা এগোবে!
আরও পড়ুন: এই ভুলগুলো করলে কিন্তু চিড় ধরতে পারে জমাটি সম্পর্কেও! তাই এড়িয়ে চলুন ভুলের ফাঁদ
৬. কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসুন
অতীতে কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হলে ডাক্তাররা জল-হওয়া বদলের পরামর্শ দিতেন। ভালবাসার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটাও তো কম বড় ঘটনা নয়। তাই এক্ষেত্রেও জল-হওয়া বদলের প্রয়োজন রয়েছে বই কী! তাই সময়-সুযোগ মতো একসঙ্গে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। দেখবেন, দু’জনে মিলে কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটালে স্ট্রেস কমবে। পাল্লা দিয়ে কমবে তিক্ততাও। তখন না হয় একে অপরের হাত ধরে মন খুলে কথা বলবেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
ঠোঁটে চুম্বনের শারীরিক উপকারিতা
ভালোবাসার মানুষটিকে এই ডাকনামে ডাক দিও
বাংলা রোমান্টিক ডায়লগ মনের মানুষটির জন্য
কয়েকটি সেরা বাংলা মন খারাপের গান
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!