সপ্তাহে দিনদু’য়েক উপোস করলে নাকি শরীরেরই মঙ্গল। কারণ, তার ফলে দেহে জমা থাকা সব ময়লা আর টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা তো কমেই, সঙ্গে নাকি ওজনও কমে তরতরিয়ে। এদিকে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও উপোস করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে skin fasting-এর জন্য সারা দিন না খেয়ে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। কিছু না খেলে যেমন শরীরের উপোস, তেমনই দিনদু’য়েক কোনও প্রসাধনী ব্যবহার না করাকেই স্কিন ফাস্টিং বলা হয়। জেনে নিন এর প্রয়োজন কেন এবং কীভাবেই বা করবেন এটি।
Skin fasting-এর প্রয়োজনীয়তা
দিনের পর দিন কেমিক্যাল ভর্তি নানা প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে যতটা না উপকার পাওয়া যায়, তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়। বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্যের অবনতি তো ঘটেই, পাশাপাশি ছোট-বড় নানা ত্বকের রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই তো স্কিন ফাস্টিং করা জরুরি। এক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত একদিন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা চলবে না। মেকআপ করা থেকেও দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে অল্পবিস্তর ময়শ্চারাইজার বা ক্রিম লাগানো যেতে পারে। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু ব্যবহার করা চলবে না। স্কিন ফাস্টিং চলাকালীন ত্বকের ভিতরে জমে থাকা কেমিক্যাল এবং নানা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক তার পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়া সুযোগ পায়, ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। আর ত্বক যখন ভিতর থেকে সুন্দর হয়ে ওঠে, তখন বাইরের জেল্লাও বাড়ে বই কী!
ত্বককে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিন
ত্বকের দেখভাল করার নামে আজকাল আমরা এত ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করি যে ত্বক শ্বাস নেওয়ার সুযোগই পায় না! সকালে ওঠামাত্র ক্রিম। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে সানস্ক্রিন। মেকআপ তো আছেই। এদিকে বাড়ি ফেরামাত্র ফেসওয়াশ জেল, টোনার সহ কত কিছুই না ব্যবহার করি আমরা। আবার অনেক রাতে শোওয়ার আগেও ক্রিম মাখেন। তা হলে বুঝুন অবস্থা! এত কিছুর মধ্যে ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার সুযোগই পায় না। উপরন্তু প্রসাধনীতে উপস্থিত নানা ক্যামিকেলের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন ক্ষমতাও কমে যায়, যে কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে সৌন্দর্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই তো নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে স্কিন ফাস্টিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাপানিদের মস্তিষ্কপ্রসূত এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে আরও একটি উপকার পাবেন। এই সময় ত্বক নিজের ক্ষতের চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়ে যায়। ফলে ভিতর এবং বাইরে থেকে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন, ত্বকের (skin) ধরন এবং মরসুম ভেদে কিছু না কিছু ক্রিম বা প্রসাধনী ব্যবহার করতেই হয়। শীতকালে যেমন ময়শ্চারাইজার ক্রিম না লাগালে চলে না। তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁদেরও কোনও না কোনও জেল বা প্রসাধনী ব্যবহার করতেই হয়। তাই স্কিন ফাস্টিং চলাকালীন এই সব জরুরি প্রসাধনী ব্যবহার করলে কোনও ক্ষতি নেই।
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদিক উপায়ে পান উজ্জ্বল, নিখুঁত ও সুন্দর ত্বক
আরও কতগুলি বিষয খেয়াল রাখা জরুরি
১. স্কিন ফাস্টিং চলাকালীন কোনও ধরনের লোশন, টোনার বা serum ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ত্বকে স্বাভাবিক sebum-এর উৎপাদন বাড়বে। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তেও সময় লাগবে না।
২. ততদিন পর্যন্ত কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা চলবে না, যতদিন না ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এর পরে ধীরে-ধীরে প্রসাধনীর ব্যবহার শুরু করতে পারেন।
৩. স্কিন ফাস্টিংয়ের সময় সমস্ত নিয়ম যদি অক্ষরে-অক্ষরে পালন করা না হয়, তা হলে ত্বকের নিজস্ব fighting mechanism দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে নানা ধরনের ত্বকের রোগ ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কাও বহু গুণে বেড়ে যায়।
৪. কোনও ধরনের ত্বকের রোগের চিকিৎসা চলাকালীন স্কিন ফাস্টিং না করাই উচিত। প্রয়োজনে এই নিয়ে একবার ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না!
৫. কতদিন স্কিন ফাস্টিং চালাতে হবে, তা নির্ভর করছে মরসুমের উপরে। যেমন ধরুন, বছরের এই সময় সপ্তাহে এক দিন করে টানা দেড়-দু’মাস স্কিন ফাস্টিং চালালে উপকার পাবেন।
৬. ফাস্টিংয়ের সময় দিনে অন্তত চার লিটার জল খেতে ভুলবেন না। যত বেশি পরিমাণ জল খাবেন, ডিটক্স তত তাড়াতাড়ি হবে, তত দ্রুত ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
৭. সপ্তাহে যে দিন স্কিন ফাস্টিং করবেন, সেদিন বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল।
৮. ড্রাই স্কিনের সমস্যায় ভুগছেন নাকি? তা হলে স্কিন ডিটক্স করার সময় মুখে নারকেল তেল মালিশ করতে পারেন, তাতে উপকার পাবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!