‘কালিন ভাইয়া’কে মনে আছে? আপনি যদি রেগুলার ওয়েব অডিয়েন্স হন, তাহলে উত্তরটা পজিটিভ। ‘মির্জাপুর’ (mirzapur) -এর কালিন ভাইয়াকে কি অত সহজে ভোলা যায়?
আচ্ছা, ‘কম্পাউন্ডার’কে (Compounder) মনে পড়ছে? ‘ওয়ে কম্পাউন্ডার’! ঠিক এভাবেই ডাকা হত তাঁকে। ঠিক। ‘কালিন ভাইয়া’র ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কম্পাউন্ডারের চরিত্রের সমাপ্তি ঘটেছে ঠিকই। কিন্তু রিল লাইফের ‘কম্পাউন্ডার’ অর্থাৎ রিয়েল লাইফে অভিষেক (Abhishek) বন্দ্য়োপাধ্যায় বড্ড মিস করছেন সেই সব শুটিংয়ের দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
‘মির্জাপুর’-এর কালিন ভাইয়া অর্থাৎ পঙ্কজ ত্রিপাঠি শুধু নন। ওই ওয়েব সিরিজের প্রত্যেক অভিনেতার পারফরম্যান্সই অসাধারণ। মনে রাখার মতো। তার মধ্যে অবশ্যই আলাদা করে বলতে হবে অভিষেকের নাম। খড়গপুরের বাঙালি বলিউডে পায়ের তলার জমি শক্ত করে ফেলেছেন। কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে অভিনেতা হিসেবে জার্নি খুব সহজ ছিল না। কিন্তু নিজের উপর কনফিডেন্স, দক্ষতা এবং পরিশ্রম তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে। ‘মির্জাপুর’-এর নতুন সিজন শুরু হচ্ছে আগামী ২৩ অক্টোবর। তার আগে অভিষেক যেন কিছুটা নস্টালজিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মির্জাপুর’-খ্যাত চার বন্ধুর ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “গাজব মিসিং হো রাহা হ্যায়।”
‘মির্জাপুর’ তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। আলাদা করে নজর কেড়েছিল কম্পাউড অর্থাৎ সুবোধের চরিত্র। অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছিলেন অভিষেক। কাজ করতে করতে সহ অভিনেতাদের সঙ্গেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। শুটিংয়ের মুহূর্ত মিস করছেন অভিনেতা।
দিল্লিতে পড়াশোনা করার সময়ই থিয়েটারে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা হয় অভিষেকের। পরে মুম্বইতে কেরিয়ার শুরু হয় কাস্টিং ডিরেকশন দিয়ে। ‘রং দে বাসন্তী’তে অভিনয়ের প্রথম ব্রেক। এরপর ‘বম্বে টকিজ’, ‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’, ‘স্ত্রী’, ‘ফিলাউরি’-তে একের পর এক অভিনয়। আপাতত অভিনয় অভিষেকের প্রেমের জায়গা। প্রতিদিন নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আগের কাজের থেকে যেন আলাদা কিছু করতে পারেন সে চেষ্টা থাকে প্রতিনিয়ত। নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করতে ভালবাসেন অভিনেতা।
সম্প্রতি পাতাললোক-এ ‘হাতোড়া ত্যাগী’ হিসেবে নিজের চরিত্রকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন অভিষেক। এরপরের কাজ ‘হেলমেট’। অপারশক্তি খুরানা, অনুরিতা ঝায়ের মতো শিল্পীদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন তিনি।
১১ বছর মুম্বইতে কাটিয়ে ফেলেছেন অভিষেক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছিলেন, প্রত্যেক বছর আগের বছরের থেকে কিছু না কিছু নতুন শিখেছেন। কিছু বেশি পেয়েছেন। তাঁর কথায়, “মনখারাপ করা চলবে না। কঠিন সময় পেরিয়ে যাবেই। আমারই এক সময় কমপ্লিট ইন্টারেস্ট হারিয়ে গিয়েছিল। সেটা পেরিয়ে আসাটা কঠিন ছিল। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, আমি পারি। বার বার করে নিজেকে বোঝাতে হবে। আসলে ইন্ডাস্ট্রি আমাকে কীভাবে দেখছে, আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছে। সেটা প্রাথমিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি নিজেকে কীভাবে দেখছি, কীভাবে ট্রিট করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
ফের কোন নতুন রূপে অভিষেক স্ক্রিনে আসবেন, আপাতত তার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!