যখনি মেকআপ করতে বসি, একটা ব্যাপার সবসময়ে খেয়াল রাখি যেন চোখের মেকআপ টা (Eye Makeup) ঠিক হয়। আসলে কি বলুন তো, চোখ হল এমন একটা অঙ্গ যার মেকআপে একটু ভুল হলেই পুরো সাজটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। অনেকসময়েই এমন হয় যে দুচোখের আইলাইনার দুরকম হয়ে গেল, ব্যস! সুন্দর সাজে একেবারে এক বালতি জল পড়ল! আবার অনেকেই আছেন নিজের চোখের শেপ অনুযায়ী মেকআপ করেন না। অন্ধের মতো ফ্যাশন ট্রেন্ড ফলো করেন। এতে কিন্তু দেখতে মোটেও ভালো লাগে না। আর চোখের মেকআপ-এর ওপর আপনার লুক কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে। তাই আই মেকআপ (Eye Makeup) নিখুঁত হওয়া ভীষণ জরুরি। আরে বাবা এতো টেনশন করার কিছু নেই। চোখের মেকআপ নিখুঁত ভাবে করার জন্য আপনাকে প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট হতে হবে না। কয়েকটা ছোট ছোট ব্যাপার মাথায় রাখলে আপনিও কিন্তু দারুণভাবে চোখের মেকআপ (Eye Makeup Tips In Bengali) করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, যখন সুন্দর চোখের জন্য কমপ্লিমেন্ট পাবেন, আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
Table of Contents
স্কিনটোন অনুযায়ী আই শ্যাডো কি করে বাছবেন
নানা স্টাইলের আইলাইনার লাগিয়ে করুন বাজিমাৎ
মাস্কারা লাগানোর কয়েকটা স্মার্ট ট্রিক
চোখের শেপ অনুযায়ী মেকআপ (Eye Makeup According To Your Eye Shape)
করিনা কাপুরের স্মোকি আই দেখে আপনিও নিশ্চই অনেকবার ভেবেছেন যে আপনিও ওই লুকটা ট্রাই করবেন। হয়ত নিজেই স্মোকি আই করেছেনও। কিন্তু করিনাকে স্মোকি আইজ করে যতটা ভালো লাগছে, আপনাকে এই মেকআপটা ঠিক মানাচ্ছে না। তার কারণ আপনাদের দু’জনের চোখের শেপ (Eye Shape) আলাদা। আপনার চোখের আসল আকার কীরকম সেটা যদি আপনি জানেন তাহলে কিন্তু আই মেকআপ করাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আপনি নিজের চোখের শেপ (Eye Shape) অনুযায়ী আই শ্যাডো লাগাতে পারবেন এবং তারপরে আইলাইনার লাগিয়ে ঠিকভাবে চোখের মেকআপটা (Eye Makeup) করে নিতে পারবেন। এর ফলে কিন্তু আপনার সুন্দর চোখদুটো আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে। আসুন দেখে নি কত রকমের চোখের শেপ (Eye Shape) হয় আর কন ধরনের চোখে কেমন আই মেকআপ মানায় –
১। ওয়াইড সেট আই (Wide Set Eyes Makeup):
চোখের ইনার কর্নার যখন নাকের ব্রিজের থেকে বেশ অনেকটা দূরে থাকে, অর্থাৎ দুটো চোখের মধ্যে যখন বেশ খানিকটা গ্যাপ থাকে তখন তাঁকে ওয়াইড সেট আই বলা হয়। বেশিরভাগ মডেলের চোখ কিন্তু এরকম আকারের হয়। এমনকি বলিউডের অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের চোখের শেপও এরকমই।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
এই রকম আই শেপ হলে এমনভাবে মেকআপ করা উচিত যাতে দু’চোখের মধ্যেকার গ্যাপ কম লাগে। এর জন্য চোখের ইনার কর্নারে গাঢ় অর্থাৎ ডার্ক শেডের আই শ্যাডো লাগাতে হবে, আর আউটার কর্নারে হালকা শেডের আই শ্যাডো লাগাতে হবে। ইনার কর্নারে ডার্ক শেড লাগানো আরম্ভ করে ধীরে ধীরে আউটার কর্নার পর্যন্ত হালকা শেড ভালো করে ব্লেন্ড করুন, তা না হলে খাপছাড়া দেখতে লাগবে এবং আপনার মেকআপ করার সমস্ত পরিশ্রম বৃথা হয়ে যাবে।
কালো কিম্বা গাঢ় রঙের আইলাইনার টিয়ার ডাক্ট-এর যত কাছাকাছি লাগাবেন ততো ভালো। মাস্কারা লাগানোর সময়ও এভাবেই লাগান। চোখের মাঝখান থেকে আরম্ভ করে ইনার কর্নার পর্যন্ত ভালো করে আইল্যাশের ওপরে মাস্কার কোট লাগান।
উইংড কিম্বা ক্যাট আই শেপ করে একেবারেই আইলাইনার লাগাবেন না, তাতে দুচোখের মধ্যে গ্যাপ বেশি মনে হবে।
২। ক্লোজ সেট আই (Close Set Eyes Makeup):
নাকের ব্রিজ থেকে যখন চোখের ইনার কর্নারের দুরত্ব খুব বেশি হয়না, অর্থাৎ দুটো চোখ একে অন্যের খুব কাছাকাছি থাকে তখন এরকম চোখের শেপকে বলা হয় ক্লোজ সেট আই। করিনা কাপুরের চোখের শেপ এরকম।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
আপনার চোখের শেপ যদি এরকম হয় তাহলে ইনার কর্নারের থেকে বেশি ফোকাস আপনাকে চোখের আউটার কর্নারে করতে হবে অর্থাৎ এমনভাবে মেকআপ করতে হবে যাতে মনে হয় যে আপনার চোখ বাইরের দিকে বিস্তৃত। চোখের ইনার কর্নারে হালকা রঙের আই শ্যাডো লাগান আর ধীরে ধীরে বাইরের দিকে যাবার সময়ে গাঢ় কিম্বা উজ্জ্বল রঙের আই শ্যাডো লাগাতে থাকুন আর খুব ভালো করে ব্লেন্ড করুন।
টিয়ার ডাক্টে হাইলাইটার কিম্বা উজ্জ্বল রঙের আই শ্যাডো লাগাতে ভুলবেন না কিন্তু। মাস্কারা লাগানোর সময়ে আউটার কর্নারের দিকে ঘন করে কোটিং করুন যাতে দেখে মনে হয় আপনার আইল্যাশ বাইরের দিকে বেশি।
এধরনের চোখে আইলাইনার লাগানোর সময়ে বাইরের দিকে টেনে দিতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে।
৩। ডিপ সেট আই (Deep Set Eyes Makeup):
যখন চোখ কোটরের বেশ অনেকটা ভেতরে থাকে যার ফলে ব্রো-বোন বেশি হাইলাইটেড হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় ডিপ সেট আই। শ্রিয়া শরনের চোখের শেপ এরকম।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
আপনারও যদি এরকম চোখের শেপ হয় তাহলে এমনভাবে আই মেকআপ করা উচিত যাতে চোখ কোটরের থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। যাদের চোখের শেপ এরকম ভেতরে ঢোকানো, তাদের সবসময়ে শিম্যারি কালার ব্যবহার করা উচিত। আইলিডে হালকা অথবা শিম্যারি রঙের আই শ্যাডো দিয়ে কিন্তু দারুণ খেলা যাবে। শিম্যারি রঙ ব্যবহার করলে আপনার চোখের ভেতরে ঢোকা ভাবটা বোঝা যাবে না। ভুল করেও কিন্তু স্মোকি আই করতে যাবেন না কিম্বা ডার্ক শেডের আই শ্যাডো লাগাবেন না, তাহলে চোখ আরও বেশি কোটরে ঢোকা বলে মনে হবে। এমনভাবে মাস্কারা লাগান যাতে আইল্যাশ আপনার ব্রো-বোন টাচ করে, দরকার হলে আপনি নকল আইল্যাশ লাগাতেই পারেন। মাস্কারা যখন লাগাবেন, খেয়াল করে ওয়াটার প্রুফ মাস্কার লাগান।
৪। হুডেড আই (Hooded Eyes Makeup):
চোখ খোলা রাখলে যদি আইলিড না দেখা যায় তাহলে এরকম চোখের শেপকে হুডেড আই বলা হয়ে থাকে। আপনি যদি ভাবেন চোখ খুলে রাখলে কিছুটা আইলিড তো দেখা যায় তাহলে বলে রাখি, এধরনের চোখের শেপ সেমি হুডেড আই বলে পরিচিত। চোখের ওপরের চামড়ার একটা এক্সট্রা লেয়ার ক্রিজ লাইনের ওপরে এসে যায় বলে এধরনের চোখে আইলিড দেখা যায়না। বলিউড অ্যাকট্রেস অনুস্কা শর্মার চোখ হুডেড আই-এর উদাহরন।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
এধরনের চোখে এমনভাবে আই মেকআপ করতে হবে যাতে হুডেড এরিয়া দেখা না যায় কিম্বা দেখা গেলেও চামড়ার লেয়ার যতটা সম্ভব কম দেখা যায়। চোখের ওপরের অংশে ফোকাস করতে হবে আর চোখের শেপ সুন্দর করার জন্য ক্রিজ লাইনে ডার্ক অর্থাৎ গাঢ় শেডের আই শ্যাডো লাগান।
টিয়ার ডাক্টে হাইলাইটার লাগান। যদি আপনার চোখের শেপ সেমি হুডেড হয় তাহলে এক্সট্রা চামড়ার লেয়ার ঢাকার জন্য হাইলাইটার কিম্বা হালকা রঙের আই শ্যাডো লাগান। চোখের ওপরের ল্যাশ লাইনে একটু বেশি ফোকাস করতে হবে। যেহেতু ওপরের ল্যাশ লাইন চোখ খুললে ঢেকে যায়, তাই চোখের ওপরের ওয়াটার লাইনে ভালো করে হাইলাইট করতে হবে এবং আইল্যাশের বেসও মোটা করতে হবে। ভালো কোয়ালিটির মাস্কারা লাগিয়ে আপনি এই কাজটা করতে পারেন।
৫। ড্রুপি আই (Droopy eyes Makeup):
চোখের আউটার কর্নার যখন একটু নিচের দিকে ঝোঁকানো থাকে তখন তাকে বলা হয় ড্রুপি আই। এরকম চোখের শেপ বংশানুক্রমিক হয়, আবার বয়সের কারণেও হয়, এমনকি চোখের মাসল যদি দুর্বল হয় তাহলেও ড্রুপি আই হতে পারে। ক্যাটরিনা কাইফের চোখের শেপ এরকম।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
এধরনের চোখের শেপে এমনভাবে মেকআপ করা উচিত যাতে তা চোখকে ওপরের দিকে একটা লিফট দেয়। সেক্সি উইংড আইলাইনার কিম্বা ক্যাট আই-এর জন্য এধরনের চোখের শেপ একদম পারফেক্ট। ওপরের আইলিডে আইলাইনার লাগান আর আউটার কর্নারে ওপরের দিকে টেনে দিন। ব্যস, আপনার সেক্সি আপওয়ার্ড ফ্লিক রেডি! এভাবে আইলাইনার লাগালে চোখের ওপরের অংশে একটা লিফট আসে। তাহলে আর দেরি কেন, উইংড আইলাইনার আর ক্যাট আই একেবারে জমিয়ে করুন।
৬। আমন্ড শেপ আই (Almond Shaped Eyes Makeup):
আমন্ডের মতো এরকম আকারের চোখ দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এধরনের চোখের আউটার কর্নারে ন্যাচারালি একটা লিফট থাকে যার জন্য কখনো কখনো চোখের নিচের ল্যাশ লাইন ওপরের ল্যাশ লাইনের তুলনায় বেশ বড় দেখতে লাগে। ফলে দেখে মনে হয় চোখের গভীরতা অসীম! ঐশ্বর্জ্য রাই বচ্চনের গভীর চোখ আসলে আমন্ড শেপের।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
এই ধরনের চোখের শেপে মোটামুটি সব রকমের আই মেকআপই খুব ভালো লাগে। যদি চোখের নিচের ল্যাশ লাইন ওপরের ল্যাশ লাইনের তুলনায় বেশি বড় দেখতে লাগে তাহলে তা সমান করার জন্য ডার্ক শেডের আই শ্যাডো কিম্বা গাঢ় রঙের আই পেন্সিলের সাহাজ্যে আউটার লোয়ার কর্নার অর্থাৎ নিচের ল্যাশ লাইনের বাইরের দিকের অংশ ভরাট করুন। স্মোকি আই, বোল্ড লাইন, গ্র্যাফিক লাইন, ক্যাট আই এবং আরও নানা ধরনের মেকআপ এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন যদি আপনার চোখের শেপও আমন্ডের মতো হয়।
৭। প্রমিনেন্ট আই (Prominent Eyes Makeup):
দীপিকা পাডুকোনের চোখের আকার ঠিক এরকম। এরকম চোখের শেপে চোখের আইলিড বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে ফলে মুখের মধ্যে চোখ ন্যাচারালভাবেই হাইলাইটেড হয়ে যায়।
এ ধরনের চোখের জন্য মেকআপ টিপস –
আপনার চোখ যদি এরকম হয় তাহলে চোখে গাঢ় মেকআপ করুন যাতে আইলিড বাইরের দিকে বেরিয়ে না আসে। এরকম শেপের চোখে স্মোকি আই মেকআপ খুব ভালো লাগে। আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন যে যেকোনো অনুষ্ঠানে, সেটা নিজের বিয়ে হোক কিম্বা অন্য কোন পার্টি বা ইভেন্ট, দীপিকা বেশিরভাগ সময়ে চোখে ডার্ক মেকআপ করেন। আপনার স্কিনটোন অনুযায়ী ম্যাট রঙ দিয়ে আই মেকআপ করতে পারেন। ওপরের ল্যাশ লাইনে ঘন করে আইলাইনারও লাগাতে পারেন এতে আইলিডের স্পেসটা বেশ কম লাগবে।
স্কিনটোন অনুযায়ী আই শ্যাডো কি করে বাছবেন (Eye Shadow Color According To Skin Tone)
আই মেকআপের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট কিন্তু সঠিক আই শ্যাডো লাগানো। অনেক সময়েই ড্রেসের সাথে আই শ্যাডো ম্যাচ করতে গিয়ে আমরা নিজেদের স্কিনটোনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা শেডের আই শ্যাডো লাগিয়ে ফেলি যা আমাদের গোটা মেকআপ নষ্ট করে দেয়। সেজন্য যখনি আই শ্যাডো লাগাবেন, নিজের স্কিন টোনের কথা মাথায় রেখে লাগাবেন। আপনার স্কিন টোন যদি একটু ডাস্কি অর্থাৎ শ্যামলা হয় তাহলে গোল্ড, কপার, বারগেন্ডি, ব্রাউন এরকম শেড লাগাতে পারেন। ম্যাজেন্টা, ব্লু, সবুজ কিম্বা নিয়ন রঙের আই শ্যাডো এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ এতে আপনার চোখ ভীষণ বেশি হাইলাইটেড হয়ে যেতে পারে এবং আপনার স্কিন টোনের সাথে এই রঙ গুলি ম্যাচ করবে না। তবে আপনি যদি খুব বেশি ফর্সা হন, তাহলে এই ধরনের শেড অনায়াসে লাগাতে পারেন।
নানা স্টাইলের আইলাইনার লাগিয়ে করুন বাজিমাৎ (Different Style Of Eyeliner)
সুন্দর চোখকে আরও বেশি করে সুন্দর করে কি বলুন তো? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, কীভাবে আইলাইনার লাগাচ্ছেন তার ওপরেও কিন্তু চোখের সৌন্দর্য অনেকাংশে নির্ভর করে। দু-এক রকম না, আইলাইনার লাগানোর কিন্তু অনেক রকম স্টাইল আছে। শুধু উইংড আর ক্যাট আই-তেই আটকে থাকার কোন দরকার নেই। ডবল উইংড আইলাইনার স্টাইল, গ্লিটারি আইলাইনার স্টাইল, স্মোকি আইলাইনার স্টাইল, পাপি আই আইলাইনার স্টাইল, থিন আই আইলাইনার স্টাইল, হাফ সার্কেল আইলাইনার স্টাইল – এরকম আরও অনেক্রকমের স্টাইল আপনি অনায়াসে করতে পারেন। আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদাভাবে নানা স্টাইল করুন আইলাইনার দিয়ে আর কমপ্লিমেন্টের ওপর কমপ্লিমেন্ট পেতে থাকুন!
মাস্কারা লাগানোর কয়েকটা স্মার্ট ট্রিক (Tips To Applying Mascara)
আই মেকআপ হল, আই শ্যাডো লাগানো হল, আইলাইনারও লাগানো হল, বাকি থাকল মাস্কারা লাগানো। লম্বা লম্বা চোখের পাতা দেখতে কি সুন্দরই না লাগে! কিন্তু মাস্কারা লাগানোরও যে কয়েকটা নিয়ম আছে, সে বিষয়ে অনেকেরই সঠিক ধারনা নেই। মাস্কারা লাগানোর আগে আপনার আইল্যাশ একটু কার্ল করে নিন আইল্যাশ কার্লার দিয়ে। যদি নকল আইল্যাশ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও কিন্তু কার্ল করে নিতে হবে। তাতে আপনার চোখের পাতাগুলো বেশ ওপরের দিকে ওঠা মনে হবে। আইল্যাশের গোরা থেকে আরম্ভ করে ওপরের দিকে টেনে মাস্কারা লাগান, এতে চোখের পাতা লম্বা মনে হবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!