শুধু অন স্ক্রিন নয় কাপল নন। বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানী (koushani) মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবনেও যে সম্পর্ক রয়েছে, একথা জানেন ইন্ডাস্ট্রির সকলেই। জুটি হিসেবে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন তাঁরা। দিওয়ালিতে মুক্তি পাচ্ছে তাঁদের নতুন ছবি ‘জানবাজ’ (Janbaz)। এ ছবির পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত। তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয় তিনি বনির বাবা। অর্থাৎ কৌশানীর হবু শ্বশুর। ব্যক্তিগত পরিচয়ের বাইরে প্রফেশনালি তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন কৌশানী।
স্ক্রিপ্ট, বনি নাকি অনুপ সেনগুপ্ত, ‘জানবাজ’-এর অফারটা নেওয়ার পিছনে কোন ফ্যাক্টরটা সবচেয়ে বেশি ছিল?
কঠিন প্রশ্ন। তবে যদি এই তিনটে অপশন থাকে, তাহলে বলব আঙ্কেল, মানে অনুপ সেনগুপ্ত (হাসি)। আর স্ক্রিপ্ট তো ভাল লেগেছিল বটেই।
এতদিন আপনাকে যেমন দেখেছেন দর্শক, এখানে নাকি একেবারে আলাদা ভাবে দেখা যাবে?
‘জানবাজ’-এর জন্য আমাকে যখন ফাইনাল করা হল, তখন অন্য একটা ছবির কাজ চলছিল। আঙ্কেলের সঙ্গে প্রথম কাজ। তাই খুব এক্সাইটেড ছিলাম আমি। এখানে খুব পাওয়ারফুল চরিত্র আমার। হিরোইন বলতে সাধারণ ভাবে যে ট্যাবুটা আছে সেইটা এখানে আমার চরিত্রে নেই। আমার গুরুত্ব মোর দ্যান হিরো। উওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট দেখানো হয়েছে। আমার অ্যাকশন সিকোয়েন্স রয়েছে প্রচুর। রিয়েল লাইফে আমি খুবই ডমিনেটিং। এখানে চরিত্রটাও সেরকম।
অ্যাকশন সিকোয়েন্স সব নিজেই করলেন?
সব। সব নিজে করেছি। কোনও ডামি ছাড়া। এর আগে কমেডির ক্ষেত্রে হালকা অ্যাকশন করেছি। কিন্তু এখানে অ্যান্টি হিরোর সঙ্গে মারপিট করেছি। ধানবাদের মতো এলাকায় ৪৩ ডিগ্রি গরমেও শুটিং করেছি। কয়লাখনির ভিতরে গিয়ে শুটিং করেছি। ফুল টিম খুব এফর্ট দিয়েছে।
অনুপ সেনগুপ্তকে এর আগে আপনি পারিবারিক মুডে দেখেছেন। এই প্রথম কাজ। প্রফেশনালি কেমন দেখলেন?
আঙ্কেল আগে প্রচুর কাজ করেছেন। এই ছবিটা দিয়ে কামব্যাক হচ্ছে বলতে পারেন। পুরনো দিনের ডিরেক্টর তো, শুটিং অন্য ভাবে হবে ভেবেছিলাম। প্রথম দিন বেশ ভয় নিয়েই সেটে গিয়েছিলাম। কারণ প্রফেশনালি তার আগে তো কখনও দেখিনি। কিন্তু উনি এখনকার পরিচালকদের মতোই ফাস্ট কাজ করেন। খুব শর্টেড। কী চাইছেন, সেটা খুব ক্লিয়ার ওঁর কাছে। অনেক পরিচালক একই শট বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে নেন। সেটা টেকনিক্যালি প্রয়োজন। কেউ কেউ প্রয়োজনের বেশি অনেক শট নেন। আমাদের রিঅ্যাকশন ধরে রাখতে হয়। কিন্তু কোথাও না কোথাও তো পারফরম্যান্স ড্রপ করেই। সেটা এখানে হয়নি। কারণ আঙ্কেল কতটুকু নেবেন, সেটা অন্তত ওঁর কাছে ক্লিয়ার ছিল। উনি টেকনিক্যালিও খুব সাউন্ড।
ডিরেক্টরের কাছে বকুনি খেলেন?
হা হা হা…। আমি খুব একটা বকুনি খাইনি। বেঁচে গিয়েছি। তবে পার্সোনাল আর প্রফেশনাল রিলেশন একেবারে আলাদা। ফ্লোরে আঙ্কল খুব রিজার্ভ থাকতেন। কাট হওয়ার পর আমরা জেনারলি গল্প করি। সেটা ওঁর সেটে হয় না। অনেক সময় মাইক্রোফোনে বলেছেন, সেটে এত কথা হচ্ছে কেন? আমি আবার খুব কথা বলি। গল্প করতে ভালবাসি। উনি বলার পর বুঝতে পেরেছি, আমাকেই বলছেন। কিন্তু ডিরেক্টলি নয়। তখন চুপ করে গিয়েছি। লাঞ্চ ব্রেকে আবার আঙ্কল (uncle) অন্যরকম। তখন একসঙ্গে বসে খেয়েছি। গল্পও করেছি।
আপনি তো না হয় বেঁচে গিয়েছিলেন। আর বনি? সেটে বাবার সঙ্গে ওঁর সম্পর্কটা কেমন?
বনি আর আঙ্কল বন্ধু। বাবা মানেই ভয় পেতে হবে, ওদের সম্পর্কটা এমন নয়। কখনও কখনও সেটে আমাকে আর বনিকে নিয়ে আলাদা করে বসেও আঙ্কল বুঝিয়েছেন। কোন সিনটা কীভাবে ইম্প্রোভাইজ করলে আরও ভাল হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বাবা হিসেবে বনিকে গাইড করতে দেখেছি।
আপনি আর বনি তো রোম্যান্টিক কাপল হিসেবে দর্শকের পছন্দের। এই ছবিতে কি রোম্যান্স করেননি একেবারেই?
‘জানবাজ’-এ আমার আর ওর রোম্যান্টিক অ্যাঙ্গেলটা হাইলাইডেট নয়। কনটেন্ট হাইলাইট করা হয়েছে। অন্য ছবিতে আমাদের যেভাবে দেখা যায়, এখানে তার থেকে আলাদা এটুকু বলতে পারি। এটা অ্যাকশন ড্রামা জনারের ফিল্ম।
আর কী কী কাজ আসছে আপনার?
বনির সঙ্গেই সুজিত মন্ডলের ডিরেকশনে একটা ছবি করেছি। ওটা সুরিন্দর ফিল্মসের প্রোডাকশন। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এ বছরের শেষে রিলিজ করতে পারে। আর কিছু কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ওটা ফাইনাল হলে নভেম্বরে শুটিং। জানাব আপনাকে…।
অল দ্য বেস্ট কৌশানী, ফর ‘জানবাজ’। POPxo বাংলাকে সময় দেওয়ার জন্য় ধন্যবাদ।
আরে, থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। ইটস মাই প্লেজার অলওয়েজ।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…