একদিকে ‘ব্যোমকেশ’, অন্যদিকে ‘পাসওয়ার্ড’ (password)- এবার পুজোয় (pujo) বাংলা ছবির বক্স অফিসে ডবল ধামাকার নাম পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। একদিকে বহু পঠিত, বহু জনপ্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। তাকে আলাদা রকম ভাবে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়ের ওপর তৈরি ছবি পাসওয়ার্ড। সে চরিত্রও আবার পরমের অত্যন্ত পছন্দের। সে সব নিয়েই ছবি মুক্তির আগে সাক্ষাৎকার (interview) দিলেন অভিনেতা।
প্রথম ধরা যাক ব্যোমকেশের কথা। পরমব্রত নিজে ব্যোমকেশ পড়েছেন অনেক বেশি। ছোট বয়সে ফেলুদা ভাল লাগলেও পরে বাংলায় ব্যোমকেশই তাঁর ফেভারিট চরিত্র হয়ে ওঠে। সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’-এ ‘মগ্ন মৈনাক’ গল্পটি নিয়ে এগিয়েছে চিত্রনাট্য। লিখেছেন অঞ্জন দত্ত। তিনি অভিনয়ও করেছেন। এ ছবির ব্যোমকেশ পরমব্রত প্রথম থেকেই চরিত্রটি আলাদা ভাবে প্রেজেন্ট করার কথা ভেবেছিলেন। বিশেষত টলিউডেই কখনও যিশু সেনগুপ্ত, কখনও আবির চট্টোপাধ্যায়কে ব্যোমকেশ চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। তাহলে আলাদা কোন অর্থে? পরমব্রতর কথায়, “আমি আলাদা মানুষ। আপনি আলাদা। আপনার বা আমার বন্ধু আমাদের দু’জনের থেকেই আলাদা। প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা এনার্জি থাকে। আবির বা যিশু যখন ব্যোমকেশ করেছে, তখন ওদের মতো এনার্জি ছিল চরিত্রতে। আমি আমার এনার্জিটাও দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
এ ছবি তৈরির ক্ষেত্রেও নতুনত্ব রয়েছে। যেমন? পরমব্রত বুঝিয়ে দিলেন, অঞ্জন দত্তর ব্যোমকেশ অনেকটা চেম্বার ড্রামা। অর্থাৎ ছবিতে বহু মানুষকে কথা বলতে দেখা যায়। কথা বলতে বলতে রহস্যের সমাধান হয়। এখানেও সেই ফর্ম্যাট রয়েছে। তবে শুটিং বা এডিটের ধরন একেবারে আলাদা। এই ছবির অজিত রুদ্রনীল ঘোষ। আগের আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যোমকেশ সত্যান্বেষী। কিন্তু অজিত এখানে ব্যোমকেশান্বেষী। সে কারণেই সে ব্যোমকেশকে নিয়ে লেখে। সে বুদ্ধিমান বাঙালি। লেখক, শিল্পী। সর্বোপরি সে ব্যোমকেশের বন্ধু। সেই মতামতকেই মান্যতা দিলেন পরমও। তিনি জানালেন, ব্যোমকেশ এবং অজিতের কথোপকথন অনেক বেশি এখানে। ফলে ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’-এ যে নতুনত্বের রসদ রয়েছে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এত নতুন রকমের কাজ হচ্ছে। সেখানে ব্যোমকেশের চরিত্র করতে রাজি হলেন কেন? যেখানে টলিউড এত ব্যোমকেশকে ইতিমধ্যেই দেখেছে? পরমের উত্তর, “ব্যোমকেশ এত জনপ্রিয়, সেজন্যই করলাম। এমন একটা চরিত্র করার ইচ্ছে সকলেরই থাকে।”
অন্যদিকে ‘পাসওয়ার্ড’-এ সাইবার ক্রাইমকে নিয়ে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। আমরা প্রত্যেকেই সর্বক্ষণ নজরবন্দি। কিন্তু সে সম্পর্ক আদৌ কি ওয়াকিবহাল আমরা? তার এক নতুন দিগন্তের খোঁজ দেবে এই ছবি। “আমাকে যখন প্রথম স্ক্রিপ্টটা বলেছিলেন আমি যে চরিত্রটা করেছি, সেটাই আমার সবচেয়ে পছন্দ ছিল। আমি জানতেও চেয়েছিলাম, এই চরিত্রটাই আমি করছি তো। অন্য কোনও চরিত্রে আমাকে ভাবা হয়নি তো? কমলদা বলেছিলেন, ওটাই তুমি করছ। দেবের হয়তো আমার থেকে পাঁচ মিনিট স্ক্রিন প্রেজেন্স বেশি রয়েছে। কিন্তু আমার মতে, আমার চরিত্রটায় শেডস অনেক বেশি” শেয়ার করলেন অভিনেতা।
প্রযোজক দেবের সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন পরমব্রত। তিনি নিজেও অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা করেন। দেবকে প্রযোজক হিসেবে কেমন লাগল জানতে চাইলে বললেন, “দেব ফিল্ম প্রোডিউস করে। আর আমি এখনও পর্যন্ত ওয়েব সিরিজ প্রোডিউস করেছি। দুটো আলাদা। তবে দেবের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি যেটার শেখার, তা হল, ছবিটা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে ও আপ্রাণ চেষ্টা করে। অর্থাৎ প্রোমোশনে কোনও খামতি রাখে না।”
‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’ পুরোটা দেখেছেন। আর ‘পাসওয়ার্ড’ দেখবেন প্রিমিয়ারের দিন। তবে দেখা হয়ে গেলেও সকলের সঙ্গে বসে আরও একবার দেখবেন ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’। আর নিজস্ব ইন্টারেস্ট থেকে দেখবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুমনামী’ও। সব মিলিয়ে পুজোর বক্স অফিস জুড়ে থাকবেন পরমব্রত, সে বিষয়টা স্পষ্ট।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…