কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে প্রথমেই সার্চ ইঞ্জিনে খটাখট করে টাইপ করে রোগ নিয়ে সুলুকসন্ধানে লেগে যায়। তাতে করে সুফল কতটা মেলে জানা নেই, তবে দুশ্চিন্তা যে বাড়ে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! খেয়াল করে দেখবেন, অনেক সময়ই ছোটখাটো সমস্যার কথা লিখলেও সার্চে এমন সব রোগের উল্লেখ পাওয়া যায় যে, ব্লাড প্রেশার ওঠানামা করতে শুরু করে দেয়। তাতে ঝামেলা কমার পরিবর্তে আরও বাড়ে বই কী! কথাটা বিশ্বাস হল না? এখনই গুগল সার্চে গিয়ে মাথা যন্ত্রণা বা ইংরেজিতে ‘headache’ টাইপ করুন। তারপর দেখুন কী রেজাল্ট পান। এমনও কিছু সার্চ রেজাল্ট পাবেন, যা পড়ে আপনার মাথা ঘুরে যাবে। মনে হতেই পারে, আপনি কোনও জটিল রোগের শিকার। আবার অনেক সময়ই সার্চ রেজাল্টে এমন কিছু ডাক্তারি শব্দ এসে যায়, যা আমাদের বোধগম্য হয় না, তাতে টেনশন আরও বাড়ে। তাই রোগ-ব্যাধি নিয়ে এই ভাবে ছেলেখেলা করাটা উচিত নয়। বিশেষ করে কোনও শারীরিক সমস্যা নিয়ে সার্চ করলে তো এই ভুলগুলি (mistakes) এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়।
গোদা বাংলায় বললে, রোগের নাম দিয়ে কখনও সার্চ করবেন না। তার চেয়ে লক্ষণভিত্তিক সার্চ করতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে ঠিক মতো জানার সুযোগ পাবেন। যেমন ধরুন, পেটে যন্ত্রণা হলে সার্চ ইঞ্জিনে ‘পেটে যন্ত্রণা এবং আলসার’ অথবা ‘পেটে যন্ত্রণা এবং রোগ’, বা ‘stomach problems’ বা ‘stomach pain’…এভাবে ইন জেনারেল সার্চ না করাই উচিত। কারণ, তাতে যে-যে রোগে পেটে যন্ত্রণা হতে পারে, সেগুলির নামই প্রথমে আসার সম্ভাবনা থাকবে। আর সেসব পড়ে আপনার চিন্তা বাড়বেই। ভুলে গেলে চলবে না, পেটে যন্ত্রণা যে সব সময় কোনও জটিল রোগের কারণেই হয়, এমন নয় কিন্তু! অনেক ক্ষেত্রেই নানা ছোটখাটো সমস্যাতেও এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই কীরকম যন্ত্রণা হচ্ছে, কিংবা যন্ত্রণার সঙ্গে আরও অন্য কোনও উপসর্গ আছে কিনা, সেসব লক্ষণ ধরে ধরে সার্চ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর সমস্যা গুরুতর হলে যত শিগগিরই সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন!
শরীর নিয়ে এত জানার কৌতূহল যখন, তখন একটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। রোগের লক্ষণ (health symptoms) হোক অথবা রোগ, যা দিয়েই সার্চ করুন না কেন, রেজাল্টে যে লিঙ্কগুলো আসবে, তার বেশিরভাগটাই পড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। তাতে করে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা কাটবে! এক্ষেত্রে অনেকেই একটা ভুল করে ফেলেন। সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম দুটো আর্টিকল পড়েই সিংহভাগই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তাতে করে আধখেঁচড়া তথ্য জানার কারণে চিন্তা তো দূর হয়ই না, উল্টে আরও বেড়ে গিয়ে রাতের ঘুম উড়ে যায়।
রোগ বা রোগের লক্ষণ দিয়ে সার্চ করলে মূলত মেডিকেল ওয়েবসাইট নয়তো রিসার্চ পেপারই সামনে আসবে। সেগুলি পড়ার পরে গবেষক, নয়তো ওয়েবসাইটের নাম আলাদা করে সার্চ করে দেখে নিন, যে বা যাঁরা এই তথ্যগুলি দিয়েছেন, তাঁদের আদৌ কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে কিনা। কোনও বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল বা ডাক্তারের করা গবেষণাপত্র নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন। নামী মেডিক্যাল ওয়েবসাইট হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বাকি ওয়েবসাইটগুলির উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস না করাই উচিত। অনেক সময় কোনও শারীরিক সমস্যা দিয়ে সার্চ করলে নানা খাবারের নাম পাওয়া যায়, যেগুলি খেলে নাকি সমস্যা কমে যায়। কোনও খাবারই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটা ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখে নেবেন এই রোগের নিরিখে সেই সব খাবারগুলি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কিনা। একাধিক নামী ওয়েবসাইটে যদি একই তথ্য দেওয়া থাকে, তা হলে সন্দেহের কোনও কারণ নেই। মোট কথা, সামনে যা তথ্য পেলাম, তাই চোখ বুজে বিশ্বাস করলাম, এমনটা করলে চলবে না। বরং যতটা সম্ভব তলিয়ে দেখতে হবে। ভুলে যাবেন না, কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে কিন্তু আপনার শরীরেরই বারোটা বাজবে।
গুগল আপনার প্রয়োজন মতো শুধু তথ্য সরবরাহ করে। একজন ডাক্তারের মতো সব দিক বিচার করে চিকিৎসা করা সার্চ ইঞ্জিনের কাজ নয়। তাই গুগল সার্চে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভুলেও কোনও ওষুধ খাবেন না। বরং ছোট-বড় যাই সমস্যা হোক না কেন, প্রথমে ডাক্তারের কাছে যান। তিনি যা বলবেন, সেই মতো চিকিৎসা শুরু করুন। একবার চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে সেই নিয়ে আরও জানতে গুগল বাবার উপর ভরসা করতেই পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র সার্চ রেজাল্টের উপর ভরসা করে চিকিৎসা শুরু করাটা কোনও কাজের কথা নয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!