বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক অনেক। কিন্তু একথা মানতে হবেই যে সুখে-শান্তিতে থাকতে প্রাচীন এই শাস্ত্রের উপর ভরসা রাখাটা জরুরি। আর ঠিক এই কারণেই আজ এই লেখায় এমন একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে, যা পড়ার সময় হয়তো আজব লাগতে পারে, কিন্তু আদতে বেজায় কার্যকরী!
বিষয়টা কি, তাই ভাবছো নিশ্চয়? আসলে বন্ধু, বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা বেশ কিছু বই অনুসারে বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখলে নাকি কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না। শুধু তাই নয়, সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে নানাবিধ উপকার মেলার পথও প্রশস্ত হয়। যেমন ধরো…
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন মাছ খাওয়ার উপকারিতা
১. যে কোনও সমস্যা মেটে চোখের পলকে:
বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখলে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যে কারণে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা বা বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি যে কোনও ধরনের সমস্যা মিটে যেতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে মাছেদের নিয়ে আসার পর যদি কোনও মাছ মারা যায়, তাহলে নাকি সেই মৃত মাছটি খারাপ শক্তির প্রভাবকে একেবারে কমিয়ে ফেলে। ফলে সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
২. কুদৃষ্টির প্রভাব কমে:
ঈর্ষার কারণে অনেকেই যে তোমার ক্ষতি চাইছে, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ক্ষতি করার মানসিকতার কারণে কেউ যে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো যাদুর সাহায্য নিচ্ছে না, তা কি হলফ করে বলতে পারো? তাই তো বলি বন্ধু, এমন কুশক্তির প্রভাবে তোমার বা পরিবারের কারও যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখাটা মাস্ট! কারণ এমনটা করলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে কালো যাদুর প্রভাব কমতে সময় লাগে না।
৩. টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়:
সারাক্ষণ এদিক-সেদিক ছুটে বেরায়, এমন মাছ অ্যাকুরিয়ামে রাখলে নাকি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাবে এমন সব সুযোগ আসতে শুরু করে যে অর্থনৈতির উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে গোল্ড ফিশের মতো বেশ কিছু রঙিন মাছ রাখলে শরীর এবং মন এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে রোগ-ব্যাধি সব দূরে পালায়।
৪. বাস্তু দোষ কেটে যায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব, নয়তো দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অ্যাকুরিয়াম রাখলে যে কোনও ধরনের বাস্তু দোষ কেটে যায়। ফলে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি রোগ-ব্যাধি এবং দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল অ্যাকুরিয়াম রাখতে হবে ড্রয়িং রুমে। কারণ ড্রয়িং বা লিভিং রুম হল বাড়ির একেবারে কেন্দ্রবিন্দু। তাই তো এখানে ফিশ ট্যাঙ্ক রাখলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। ফলে উপকার মেলে দ্রুত!
কটা মাছ রাখতে হবে:
বাস্তুশাস্ত্র মতে অ্যাকুরিয়ামে যদি ৯ টি মাছ রাখা যায় এবং এদের রং হয় আলাদা আলাদা, তাহলে নাকি বেশি উপকার মেলে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!