মাছে-ভাতে বাঙালির যে কোনও কালেই মাছে (fish) অরুচি হবে না, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই তো আজ এই প্রবন্ধে উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতের দুটি সেরা মাছের রেসিপি (best fish curry recipe) নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি, যার স্বাদ একটু “হাটকে” গোছের হলেও খাদ্যরসিক বাঙালিদের জিভে জল আনার পক্ষে যে যথেষ্ট, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বলি, হরেক রকমের বাঙালি মাছের পদ খেতে খেতে যদি ক্লান্ত হয়ে গিয়ে থাকো, তাহলে এই লেখাটায় একবার চোখ রাখতে ভুলো না যেন!
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন মাছ খাওয়ার উপকারিতা
এই পদটি (north-eastern indian fish curry) বানাতে প্রয়োজন পড়বে ৫০০ গ্রাম রুই মাছের। সেই সঙ্গে আরও যে যে উপকরণগুলি জোগাড় করতে হবে সেগুলি হল- ৫ টা আলু (হাফ বয়েল), ৪ টে টমেটো, ১ টেবিল চামচ কালো সরষের বীজ, ১ চামচ জিরা, ৪ টেবিল চামচ ফিশ মশলা, ২ টো পেঁয়াজ, ৫ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো, স্বাদ অনুসারে নুন, পরিমাণ মতো ধনে পাতা এবং ৪ টে কাঁচা লঙ্কা।
১. একটা বাটিতে মাছের টুকরোগুলো নিয়ে নুন, হলুদ, ফিশ মশলা এবং ১ চামচ সরষে বীজ ফেলে ভালো করে মেখে নাও। তারপর কম করে ১৫ মিনিট ম্যারিনেট করো। সময় হয়ে গেলে সরষের তেলে মাছের পিসগুলি ঠিক মতো ভেজে নাও।
২. এবার আগে থেকে হাফ বয়েল করে রাখা আলুর টুকরোগুলোর গায়ে নুন আর হলুদ মাখিয়ে ফ্রাই করতে হবে। একই সময়ে টোমেটোগুলোর গায়েও নুন, হলুদ লাগিয়ে ভেজে নাও।
৩. এরপর একটা পরিষ্কার প্যান নিয়ে তাতে ৫০ এমএল সরষের তেল নিয়ে গরম করো। যখন দেখবে তেলটা ভালো রকম গরম হয়ে গেছে, তখন তাতে ১ চামচ জিরা, ১ চামচ সরষে বীজ, পরিমাণ মতো কাঁচা লঙ্কা কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে ততক্ষণ ফ্রাই করো, যতক্ষণ না পিঁয়াজের রং খয়েরি হতে শুরু করবে।
৪. এবার ভাজা আলু এবং টমোটো যোগ করে ভালো করে নাড়াতে থাকো। ৫ মিনিট এইভাবে রান্না করার পরে ২ কাপ গরম জল মেশাতে হবে। তারপর কম করে ৩-৪ মিনিট প্যানটা চাপা দিয়ে রাখো।
৫. সময় হয়ে গেলে ভাজা মাছগুলি যোগ করে ৪-৫ মিনিট রান্না করলেই তৈরি হয়ে যাবে অসমের বিখ্যাত ফিশ কারি। তবে পরিবেশন করার আগে অল্প করে ধনে পাতা ছড়িয়ে দিতে ভুলো না যেন!
দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এই মাছের পদটি (fish curry recipe) রান্না করতে প্রয়োজন পড়বে ৯০০ গ্রাম পমফ্রেট মাছ, হাফ কাপ তেল, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, ৩ টেবিল চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি,৫ চামচ আদা, ২ চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো,৩০০ গ্রাম কাঁচা আম, স্বাদ অনুসারে নুন, ২০ টা কারি পাতা এবং ১২০০ এম এল নারকেল দুধের।
১. একটা প্যানে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে গরম করে নাও। তারপর তাতে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা এবং আদা কুচি ফেলে একটু নাড়িয়ে নাও।
২. যখন দেখবে পেঁয়াজ কুচিগুলো নরম হতে শুরু করেছে, তখন গুঁড়ো মশলাগুলি যোগ করে ভালো করে নাড়াতে হবে।
৩. এবার আঁচটা বন্ধ করে অল্প পরিমাণ জল মিশিয়ে অনবরত নাড়াও।
৪. এরপর পরিমাণ মতো কাঁচা আমের কুচি এবং নারকেলের দুধ মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে।
৫. কয়েক মিনিট পরে মাছের পিসগুলি যোগ করতে হবে। এই সময় আঁচটা বাড়ালে চলবে না কিন্তু! অল্প আঁচেই রান্না হবে মাছটা।
৬. যখন দেখবে মাছের পিসগুলি ভালো রকম রান্না হয়ে গেছে, তখন গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার: youTube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!