অল্পতে খুশি হওয়া আমাদের ধাতে নেই। তাই খাবার হোক, কী জীবনযাত্রা, সবেতেই বাঙালি ‘ওভার দ্য টপ’। না হলে এত ধরনের মিষ্টির হদিশ এই বঙ্গে পাওয়া যায়! জানলে হয়তো অবাক হবেন, মিষ্টির জন্ম লগ্নের সময় হাতে গোনা কয়েকটি মিষ্টির তৈরি হত। তাতে ব্যবহৃত হত মূলত গুড়। গুড় কেন তাই ভাবছেন? বাংলার ইতিহাসের দিকে নজর ফেরালে জানা যায় এক সময় আমদের বাংলাকে ‘গৌড় বঙ্গ’ নামেই সবাই চিনতো। অনেকে বলেন, গৌড় কথাটা এসেছে নাকি গুড় থেকে। শোনা যায় সে সময় বাংলায় প্রচুর পরিমাণে গুড় উৎপাদন হত। তাই তো বেশিরভাগ মিষ্টিই হয় গুড়, নয়তো তৈরি হত নারকেল দিয়ে। ছানার মিষ্টির প্রচলন হয় অনেক পরে, যখন এ রাজ্যে পর্তুগীজদের আগমণ ঘটে। তবে বাঙালি মিষ্টির বাড়বাড়ন্ত মূলত ইংরেজ আমলেই হয়েছিল। সে সময় গোরা সাহেবদের খুশি করতে নিত্য নতুন মিষ্টির জন্ম হতে শুরু করে। সেই থেকেই মিষ্টি নিয়ে বাঙালির গবষণা চলছেই। বরং এখন তো এ রাজ্যের মিষ্টির জনপ্রিয়তা বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে অন্য রাজ্যেও।
Table of Contents
আরো পড়ুনঃ কলকাতার কিছু সুস্বাদু কেক এর দোকান
এই রাজ্যের সেরা কিছু মিষ্টির জন্মের ইতিহাস (
বাংলার সেরা মিষ্টির তালিকা তৈরি করলে প্রথমেই থাকবে রসগোল্লা, লেডিকেনি আর জলভরা সন্দেশের নাম। কিন্তু জানা আছে কি এই সব মিষ্টির জন্ম হল কীভাবে? শুনলে আবাক হয়ে যাবেন!
১| রসগোল্লা (Rasgulla)
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানা যায় সেই ১৯ শতকে প্রথম রসগোল্লার অবিষ্কার হয়। বাগবাজারের এক ছোট্ট মিষ্টির দোকানের মালিক নবীন চন্দ্র দাস প্রথমবার তৈরি করেছিলেন বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মিষ্টিটি। পরবর্তী সময় অন্যান্য মিষ্টি বিক্রেতাদের হাত ধরে রসগোল্লা জগৎ বিখ্যাত হয়ে ওঠে। তবে শুধু রসগোল্লা আবিষ্কার করেই নবীন চন্দ্র দাস থেমে থাকেননি। তাঁর ছেলে, কৃষ্ণ চন্দ্র দাস তৈরি করেছিলেন আর একটি জনপ্রিয় মিষ্টি, যাকে আজ সবাই রসমলাই নামে চেনে।
২| লেডিকেনি (Ledikeni)
ছানা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু এই মিষ্টির জন্মের ইতিহাস বড়ই মজাদার। শোনা যায় লর্ড ক্যানিংয়ের স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম এই মিষ্টিটা তৈরি করা হয়েছিল। তাই তো এর নাম ‘লেডি কেনি’। মূলত ক্যানিং সাহেবের মন জয় করতেই ওই বিশেষ দিনে মিষ্টিটি পাঠানো হয়েছিল তাঁর বাড়ি। তৈরি করেছিলেন সে সময়কার ভীম নাগ। তৎকালীন সময়ে ভীম নাগের মিষ্টির সুনাম যে লোকের মুখে মুখে ফিরত, তা বাংলার ইতিহাসের দিকে নজর ফেরালেই জানা য়ায়। ইতিহাসবিদদের মতে, ভীম নাগের মিষ্টি নাকি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব খুব ভালবাসতেন। তাই রানী রাসমণি যখনই পরমহংসের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, সঙ্গে থাকত এক হাঁড়ি ভীম নাগের মিষ্টি।
৩| জলভরা সন্দেশ (Jalbhara Sandesh)
শোনা যায় চন্দননগরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনুরোধে জামাই ষষ্ঠীর দিন সূর্য মোদক প্রথম এই মিষ্টিটি তৈরি করেন। সেই থেকেই মিষ্টি প্রেমীদের মাঝে গুড়ে টইটম্বুর এই মিষ্টিটির জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁওয়া। আজও জামাই ষষ্ঠীর দিন এই মিষ্টিটি কিনতে দোকানে-দোকানে যা লাইন পরে, তা দেখে যে কারও চোখ কপালে উঠতে পারে।
কলকাতার সেরা কিছু মিষ্টির দোকান (Famous Sweet Shops In Kolkata)
এই শহরের ঐতিহ্যের (Kolkata) সঙ্গে যে সব মিষ্টির দোকানের নাম জড়িয়ে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটির সন্ধান দিতে চলেছি আজ। তাই নিজেকে যদি মিষ্টি প্রেমীর বলে দাবি করে থাকেন, তা হলে এই দোকানগুলিতে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না যেন!
১| বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক (Balaram Mullick & Radharaman Mullick)
১৮৮৫ সাল বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিকের পথ চলা শুরু। তার পর থেকে একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মিষ্টির দোকান সুনামের সঙ্গে নানা স্বাদের মিষ্টি পরিবেশন করে চলেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকানের খেতাবও জিতেছে এই প্রতিষ্ঠান। চিরাচিরত বাঙালি মিষ্টি তো বটেই, সেই সঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা ফিউশন মিষ্টিও বিক্রি হয় এখানে, যার মধ্যে চকোলেট মিষ্টির জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি।
ঠিকানা (Address): ২, পদ্মপুকুর রোড, ভবানীপুর, কলকাতা। ফোন নং- ০৩৩-২৪৮৬-৯৪৯০। এছড়াও কসবা, নিউ আলিপুর, প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড, পার্ক স্ট্রিট এবং বালিগঞ্জেও এই প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এখানকার জলভরা সন্দেশ না খেলেই নয়! সেই সঙ্গে চেখে দেখতে পারেন আম সন্দেশও।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ২০০-৩০০ টাকার মতো।
২| ভীম চন্দ্র নাগ ( Bhim Chandra Nag)
১৮২৬ সালে পরাণ চন্দ্র নাগ প্রতিষ্টা করেন এই মিষ্টির দোকানটি। খোলার দিন থেকেই বউবাজার এলাকায় তো বটেই, কলকাতার অন্যান্য বনেদি এলাকাতেও ভীম নাগের মিষ্টির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোঁয়া। বিশেষত, এদের লেডিকেনি এবং আশু ভোগ তো আজও সমান জনপ্রিয়। এছাড়াও এদের আইসক্রিম সন্দেশ, রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং পেস্তা সন্দেশও কম সুস্বাদু নয়। তাই নানা স্বাদের মিষ্টি খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের একবার এই দোকানে আসা চাইই চাই!
ঠিকানা (Address): ৫, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, বউ বাজার মার্কেটের কাছেই। ফোন নং- ০৩৩-২২১২০৪৬৫।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এদের চকলেট সন্দশ, রসগোল্লা এবং আম দই চেখে দেখা মাস্ট! ভীম নাগের ‘আবার খাবো সন্দেশ’ও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১৫০-২০০ টাকা।
৩| কে সি দাস (K. C. Das)
মিষ্টির দুনিয়ায় বিপ্লব এসেছে এই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই। বিশেষত, নানা স্বাদের রসগোল্লা তৈরিতে এদের জুড়িমেলা ভার। যে কারণে ১৮৬৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কে সি দাসের সুনাম একটুও কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিরাচরিত বাঙালি মিষ্টির পাশাপাশি এরা নানা স্বাদের ফিউজন মিষ্টিও পরিবেশন করে থাকে। তাছাড়া এদের ল্যাংচা, নলেন গুড়ের রোল এবং গুলাব জামুন কম সুস্বাদু নয়। তাই তো এদের সুনাম এই রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে ভিন রাজ্যেও। আজ কলকাতা শহরের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য প্রান্তেও কে সি দাসের মিষ্টি দোকান রয়েছে, যেখানে কলকাতার মতই নানা স্বাদের মিষ্টি পরিবেশন করে হয়ে থাকে।
ঠিকানা (Address): ১১ এ, এসপ্লেনেড ইস্ট, নিফ মার্কেটের সিগনালের কাছেই। ফোন নং: ০৩৩-২২৪৮৫৯২০।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এখনে এলে প্রথমেই চেখে দেখবেন নানা স্বাদের রসগোল্লা। এর পরেও যদি পেটে জায়গা থাকে, তা হলে ক্ষীর কদম বা সন্দেশও খেতে পারেন। এদের রসমলাইও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১৫০-২০০ টাকার মতো।
৪| গিরিশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুড় চন্দ্র নন্দী (Girish Chandra Dey & Nakur Chandra Nandy)
কলকাতার প্রথম সারির মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল এটি। আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে, ১৮৪৪ সালে পথ চলা শুরু। এত বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও এদের মিষ্টির মান একই রয়ে গেছে। তাই তো গিরিশ চন্দ্র আর নকুড় চন্দের জনপ্রিয়তা এত বছরেও একটুও কমেনি। বরং কলেবরে আরও বেড়েছে। আজ কলকাতার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও এদের মিষ্টি পৌঁছে যাচ্ছে। ভাবছেন, এত জনপ্রিয়তার পিছনে কারণ কী? মূল কারণটা অবশ্যই মিষ্টির মান এবং স্বাদ। বিশেষত, এদের নলেন গুড়ের সন্দেশ, কালাকাঁদ এবং রসমালাই বেজায় সুস্বাদু। সঙ্গে মিষ্টি দই আর চকোলেট মিষ্টি কথাও না বললেই নয়।
ঠিকানা (Address): ৫৬, রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, হেদুয়া, হাতিবাগান, কলকাতা। বেথুন কলেজের কাছেই এই মিষ্টির দোকান। ফোন নং: ৯৪৩২৪৯৪৪২৩।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): ছানার সন্দেশ এবং জলভরা সন্দেশ একবার চেখে দেখতেই হবে। সঙ্গে চকোলেট মিষ্টিও যেন থাকে।
দু’জনের খরচ (Price For Two): কম-বেশি ১০০-১৫০ টাকা।
৫| বাঞ্ছারাম (Banchharam)
১৯৭৬ সালে মধ্য কলকাতায় একটা ছোট্ট দোকান থেকে শুরু। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় এই মিষ্টির দোকানের মালিক বাঞ্ছারাম ঘোষকে। এদের মিষ্টি এতটাই সুস্বাদু ছিল যে খুব অল্প সময়েই বাঞ্ছারামের নাম মিষ্টি প্রেমীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর আজ তো কলকাতার প্রথম সারির মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল এটি। এদের রসগোল্লা এবং সন্দেশ যেমন জনপ্রিয়, তেমনি পুলি পিঠে এবং মিহিদানার জনপ্রিয়তাও কম নয়। বিশেষত, বাঞ্ছারামের ভ্যানিলা এবং স্ট্রবেরি সন্দেশ একবার চেখে না দেখলেই নয়।
ঠিকানা (Address): বি/৪, বাঘা যতীন মার্কেট কমপ্লেক্স, যাদবপুর, কলকাতা। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে এদের বহু শাখা রয়েছে।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): মষ্টি দই খেতেই হবে। সঙ্গে রসগোল্লা এবং রাধাবল্লভিও চেখে দেখতে পারেন।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১৫০-২০০ টাকা।
৬| সেন মহাশয় (Sen Mahasay)
ট্র্যাডিশনাল বাঙালি মিষ্টি খেতে মন চাইছে? তা হলে পৌঁছে যান সেন মহাশয়ে। এদের মনোহরা, মিহিদানা, সিতাভোগ, দরবেশ এবং নানা স্বাদের সন্দেশ যেমন বেজায় সুস্বাদু, তেমনই মালাই চপও কম মুখরোচক নয়। তাই তো সেই ১৮৬৬ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে বাঙালিদের মিষ্টি খাইয়ে চলেছে এরা। এই কারণেই কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকানগুলির লিস্টে একেবারে উপরের দিকে সেন মহাশয়কে না রাখলেই নয়!
ঠিকানা (Address): ১/১সি শিবদাস ভাদুড়ি স্ট্রিট, শ্যামবাজার, কলকাতা। ফোন নং: ০৩৩-২৫৫৫৫০২২। শ্যামবাজার ছাড়াও লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট, সল্টলেক সেক্টার-১ এবং ভবানীপুরেও এদের শাখা রয়েছে।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): মনোহরা, মিহিদানা এবং সীতাভোগ চেখে দেখতেই হবে।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০-১৫০ টাকা।
৭| মিঠাই (Mithai)
১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এই মিষ্টির দোকান। এদের সন্দেশ যেমন মিষ্টি প্রেমীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়, তেমনই মিঠাইয়ের মিষ্টি দই এবং চমচমও কম সুস্বাদু নয়। আর যদি নোনতা কিছু চেখে দেখতে মন চায়, তাহলে কচুরি এবং গরম গরম সিঙ্গারা খেতে ভুলবেন না!
ঠিকানা (Address): ৪৮বি, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, বেক বাগান, বালিগঞ্জ, কলকাতা।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এখানে এলে প্রথমেই চেখে দেখবেন এদের আম সন্দেশ। তারপর একে একে চমচম এবং লেমন সন্দেশও খেতে হবে বই কী। ইচ্ছা হলে মিষ্টি দইও খেতে পারেন।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০-১৫০ টাকার মতো।
৮| শ্রী হরি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (Sri Hari Mistanna Bhandar)
কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল এটি। ১৯১২ সালে শ্রী হরির পথ চলা শুরু। তার পরে কেটে গেছে বহু বছর। তবুও একটুও কমেনি এই মিষ্টির দোকানের জনপ্রিয়তা। আর কেন কমবেই বা বলুন! এদের ল্যাংচা এবং রাধাবল্লভী যে একবার খেয়েছে, সে যে বারে বারে ফিরে আসবে, তা হলফ করে বলা যেতে পারে। তাই কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকানগুলির লম্বা লিস্টে শ্রী হরির জায়গা পাকা।
ঠিকানা (Address): দোকান নং ৩৫এ এবং ৩৫বি, এস পি মুখার্জি রোড, ভবানিপুর, কলকাতা।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এখানকার ল্যাংচা খুব জনপ্রিয়। ইচ্ছে হলে খেতে পারেন মিষ্টি দইও।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০ টাকা।
৯| মৌচাক (Mouchak)
কোনও সময় কলেজ স্ট্রিটে এলে একবার মৌচাকে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না যেন! কারণ এদের মতো সুস্বাদু পান্তুয়া আর শঙ্খ সন্দেশ আর কোথাও পাওয়া যায় বলে তো মনে হয় না। এদের মিষ্টি দই এবং নলেন গুড়ের সন্দেশও বেজায় মুখরোচক। তাই না গত ১৭৫ বছরে একটুও কমেনি এদের জনপ্রিয়তা।
ঠিকানা (Address): ২, সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা। ফোন নং- ৯৮৩০২৪৯০৬৩। এছাড়াও কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে এদের বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): শঙ্খ সন্দেশ আর পান্তুয়া মাস্ট। সঙ্গে চলতে পারে চকোলেট সন্দেশও।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০ টাকা।
১০| নবকৃষ্ণ গুঁই, বউবাজার (Naba Krishna Guin, Bow Bazar)
কলকাতা শহরের ইতিহাসের সঙ্গে যে-যে মিষ্টির দোকানের নাম জড়িয়ে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল এই দোকান। এরা নানা স্বাদের ট্র্যাডিশনাল বাঙালি মিষ্টি যেমন বিক্রি করে, তেমনই ফিউশন মিষ্টিরও হদিশ মিলবে এখানে। বিশেষত, এদের রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং চন্দন ক্ষীরের মতো মিষ্টির স্বাদ তো না ভোলার মতো।
ঠিকানা (Address): ৯ বি, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, বউবাজার, কলকাতা। ফোন নং- ৯৮৩০১৪৬০৬৩।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং চন্দন ক্ষীর।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০-১৫০ টাকা।
১১| কামধেনু (Kamdhenu Sweets)
১৯৯৫ সালে পথ চলা শুরু এই মিষ্টির দোকানের। তারপর থেকে দুই দশক কেটে গেছে। কিন্তু এদের মিষ্টির জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং দিনে দিনে আরও কলেবরে বাড়ছে। এখন তো কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে খুলে গেছে এদের বেশ কয়েকটি শাখা।
ঠিকানা (Address): ৫৫, যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড, বিধান পল্লী, কলকাতা। ফোন নং- ০৯২৩১৫৫১৮৯১। যাদবপুর ছাড়াও গড়িয়া, নেতাজিনগর এবং ব্রাহ্মসমাজ রোডেও এদের শাখা রয়েছে।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এখনকার কাঁচা গোল্লা বেশ জনপ্রিয়। তাই এই মিষ্টিটি চেখে দেখা মাস্ট! সঙ্গে স্বাদ নিতে পারেন আম সন্দেশ এবং কাজু-পেস্তা সন্দেশেরও।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০-১৫০ টাকা।
১২| নলীন চন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স (Nalin Chandra Das & Sons)
নানা স্বাদের সন্দেশ খেতে যদি মন চায়, তা হলে একবার পৌঁছে যেতেই পারেন এই মিষ্টির দোকানে। বিশেষত, এদের বাটার স্কচ জলভরা সন্দেশের জনপ্রিয়তা তো আকাশ ছোঁয়া।
ঠিকানা (Address): ৩১৩, রবীন্দ্র সরণি, নতুন বাজার, কলকাতা। ফোন নং- ০৩৩-২৫৫৫৮৪০৭। এছাড়াও এদের রাসবিহারি, হেদুয়া, নিউ টাউন এবং ইকো পার্কের বাংলা মিষ্টি হাবেও শাখা রয়েছে।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এখানে এলে বাটার স্কচ জলভরা সন্দেশ খেতে ভুলবেন না। ইচ্ছে হলে চেখে দেখতে পারেন মালাই রোলও।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০ টাকা।
১৩| দ্বারিক গ্র্যান্ড সন্স (Dwarik Grandsons)
বাহারি জাঁকজমক নেই বটে। কিন্তু নানা স্বাদের মিষ্টি মিলবে এখানে। আর তার স্বাদও মন্দ নয়। তাই কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকানগুলির লিস্টে দ্বারিককে না রাখলেই নয়। তাই কোনওদিন শ্যামবাজার চত্ত্বরে এলে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন কলকাতার অন্যতম পুরানো এই মিষ্টির দোকানে।
ঠিকানা (Address): ১২৫/২, বিধান সরণি, শ্যামবাজার, কলকাতা।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): এদের কাঁচাগোল্লা চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০ টাকা।
১৪| চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (Chittaranjan Mistanna Bhandar)
১৯০৭ সালে হীরালাল ঘোষ শুরু করেন এই মিষ্টির দোকান। এদের রসগোল্লা খুব জনপ্রিয়। মিলবে নানা স্বাদের সন্দেশ এবং রসের মিষ্টিও। বিশেষত, এদের গোলাপজাম তো বেজায় মুখরোচক। তাই মিষ্টি প্রেমীদের একবার এখানে না এলেই নয়!
ঠিকানা (Address): ৩৪ বি, শোভাবাজার স্ট্রিট, লাল মন্দিরের কাছে, কলকাতা। ফোন নং- ০৩৩-২৫৫৫৬০২৬/ ৯২৩৯৩২৫৫৯৯।
মাস্ট ট্রাই (Must Try): রসগোল্লা এবং গুলাব জামুন।
দু’জনের খরচ (Price For Two): ১০০ টাকা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!