বিয়ের পরে সবাই মধুচন্দ্রিমায় যান, এ আর নতুন কী? বিয়ের ধকল কাটিয়ে উঠতে এবং নিজেদের মধ্যে একান্তে কিছুটা সময় কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা। অনেকেরই আবার হানিমুন (Honeymoon) নিয়ে অনেকরকম স্বপ্ন থাকে। কেউ পাহাড় ভালবাসে আবার কেউ সমুদ্র। আবার এমন অনেকে আছেন যারা পাহাড় বা সমুদ্র কোনোটাই ভালবাসেন না, তাঁদের পছন্দ জঙ্গল। কিন্তু সবই তো বুঝলাম, মধুচন্দ্রিমায় যেতে যে একটা খরচ আছে সেটাও তো মানবেন নাকি? বাঙালিদের মধ্যে আগে একটা চল ছিল, Honeymoon-এ যাওয়া মানেই হয় দিঘা না হলে পুরী অথবা দার্জিলিং! অনেকেই আবার এই তিনটি জায়গাকে একসঙ্গে মজা করে বলেন ‘দিপুদা’! তবে এখন বাঙ্গালিরাও বারমুখো হয়েছে, অল্প খরচে বেড়াতে যাওয়া বিশেষ করে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার জন্য এই তিনটি জায়গা বাদে আরও বেশ কিছু জায়গা খুঁজে সেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন। আজকে আমরাও এমন বেশ কয়েকটা জায়গার (Cheap Honeymoon Destinations In Bengali) কথা বলব যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশ কম খরচে আপনারা দুজন একান্তে সময় কাটাতে কাটাতে আপনাদের হানিমুন (Honeymoon) পর্ব সারতে পারেন –
Table of Contents
জেনে নিনঃ হানিমুনে কি ধরনের ড্রেস নেবেন
রোম্যান্স করবেন নাকি একটু অ্যাডভেঞ্চার?
মধুচন্দ্রিমা কাটাতে কোথায় যাবেন – পাহাড় না সমুদ্র? (Affordable Honeymoon Destination In India)
ওই যে বললাম, কেউ পছন্দ করে পাহাড়, কেউ বা সমুদ্র আবার কেউ জঙ্গল, দেখে নিন বেশ অল্প খরচে low budget পাহার-সমুদ্র-জঙ্গলে কোথায় কোথায় যেতে পারেন honeymoon-এ –
পাহাড়ে গেলে কোথায় যাবেন (Hill Stations In India For Honeymoon)
মধুচন্দ্রিমা কাটাতে যদি পাহাড়ে যেতে চান এবং সেটাও অল্প খরচে low budget, সেক্ষেত্রে দুটো জায়গায় যেতে পারেন –
১। মেঘালয় (Meghalaya)
মেঘের রাজ্য মেঘালয়, মধুচন্দ্রিমা কাটানোর জন্য কিন্তু দারুণ জায়গা! চারদিকে সবুজ পাহাড়, পথের মাঝে মাঝেই ঝর্ণা আর নরম মিঠে রোদ – সদ্যবিবাহিত জুটির মনে প্রেম জাগাতে আর কি চাই? তার ওপরে যদি মধুচন্দ্রিমার জন্য কম বাজেটে এতো সুন্দর একটা জায়গা পাওয়া যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কলকাতা থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস অথবা কামরূপ এক্সপ্রেসে চেপে বসুন আর পৌঁছে যান গৌহাটি। গৌহাটিতে একটা দিন থেকে পরদিন রওনা দিতে পারেন শিলং-এর উদ্দেশ্যে। ও হ্যাঁ, গৌহাটি থাকাকালীন একবার কামাখ্যা মন্দিরে দর্শন করে আসতে পারেন।
শিলং যাওয়ার পথেই অনেক জায়গা পড়বে যেগুলো সত্যিই দেখার মতো। উমিয়াম লেক দেখতে পারেন, চাইলে একটু বোটিংও করে নিতে পারেন। শিলং-এ বড়বাজার এবং পুলিসবাজার নামে দুটো মার্কেট রয়েছে, এখানে পেয়ে যাবেন দারুণ দারুণ সব হাতের কাজের জিনিস – শিলং-এর ট্র্যাডিশনাল জামাকাপড় থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর হরেক জিনিস!
শিলং-এ দেখার মতো কি কি আছে সেটাই ভাবছেন তো? এত খরচ করে মধুচন্দ্রিমা কাটাতে এলেন আর সারাদিন হোটেলে বসে থাকবেন তা কি আর হয়? প্রাতরাশ সেরে সোজা চলে যান শিলং পিকে। গোটা শহরটাকে মন ভরে দেখুন, আশা করি ভালই লাগবে। তাছাড়া যেতে পারেন সুইট ফলস-এ। এখানে খুব সুন্দর একটা ঝর্ণা রয়েছে। এই ঝর্ণার জল নাকি মিষ্টি, তা থেকেই নাম সুইট ফলস।
শিলং এলেন আরেকটু এগিয়ে চেরাপুঞ্জিও যেতে পারেন। এশিয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম রয়েছে এখানে। দুপুরে পারলে এই গ্রামে কোথাও একটা গ্রামবাসিদের হাতে তৈরি খাসি খাবার খান, কথা দিচ্ছি স্বাদ ভুলবেন না! চেরাপুঞ্জিতে দেখার মতো রয়েছে ‘লিভিং রুট ব্রিজ’ যা প্রাকৃতিকভাবেই গাছের শেকড় দিয়ে তৈরি হয়েছে। এছাড়াও লাইম কেভ, এলিফ্যান্ট ফলস, নোকালিকাই ফলস – এগুলোও দেখার মতো জায়গা।
কোথায় থাকবেন – বাজেটের মধ্যে যদি ভালভাবে থাকতে চান তাহলে ওয়ো রুম বুক করতে পারেন। ১১০০ টাকা থেকে ঘরভারা শুরু। চেরাপুঞ্জিতে যদি রাতে থাকতে চান, তাহলে হোমস্টেতে থাকতে পারেন, তবে হ্যাঁ আগে থেকে বুকিং করে নেবেন; টুরিস্ট সিজনে কিন্তু ঘর নাও পেতে পারেন।
৫ রাত ৬ দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন
২। সিকিম (Sikkim)
কলকাতা থেকে দু’পা বাড়ালেই দার্জিলিং, কিন্তু আপনি সেখানে যেতে চান না। কোনও সমস্যা নেই। Honeymoon কাটিয়ে আসুন সিকিমে। খুব বেশি খরচও নয় আবার জায়গাগুলোও খুব সুন্দর! প্রকৃতির কোলে ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম আর জনপদ, আর সেখানে নিভৃতে একে অপরকে জেনে নেওয়ার, চিনে নেওয়ার সুযোগের কি অভাব আছে? কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী যেকোনও ট্রেনে চেপে বসুন। যদি রাতের দিকের ট্রেনে চাপেন তাহলে সুবিধে, কারণ ভোর ভোর আপনি নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যাবেন। স্টেশনের বাইরেই পাওয়া যায় শেয়ার ট্যাক্সি। তাতে করে চলে যান আরিতার। যদি শেয়ার ট্যাক্সিতে না যেতে চান সেক্ষেত্রেও সমস্যা নেই, নিজস্ব ট্যাক্সি বুক করে যেতে পারেন। মোটামুটি ২৭০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে ভাড়া পড়বে (টুরিস্ট সিজনে অর্থাৎ মে-জুন মাসে, পুজোর সময় এবং বড়দিনের সময়ে)।
আরিতারে থাকার জন্য প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। ভাড়াও খুব বেশি নয়। খাওয়া-থাকা নিয়ে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে (প্রতিদিন জনপ্রতি) খরচ হবে। আরিতারে এক রাত বিশ্রাম নিয়ে চলে যেতে পারেন সিল্করুটের অন্যতম আকর্ষণ জুলুকে। তবে হ্যাঁ, মনে রাখবেন জুলুকে কিন্তু থাকার মতো খুব একটা ভাল জায়গা নেই। হোটেল তো আশাই করবেন না, হোমস্টেও খুব ভাল নয়। তার থেকে বরং জুলুকের থেকে খানিকটা নীচে পদমচিনে থাকতে পারেন। এখানে বেশ ভাল হোমস্টে রয়েছে। প্রতিরাতে ভাড়া মোটামুটি ওই ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যেই (খাওয়া সহ, জনপ্রতি)।
পদমচিনে দেখার মতো জায়গা বলতে পদমচিন মনাস্ট্রি রয়েছে, আর এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। ঠিক সেরকমই সৌন্দর্য জুলুকের। গায়ে যদি মেঘ মাখতে চান, তাহলে জুলুক আপনাদের জন্য পারফেক্ট honeymoon destination। জুলুক থেকে যেতে পারেন গ্যাংটক। পথে পড়বে নাথাং ভ্যালি যার সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। জুলুক থেকে যে পথে গ্যাংটক যাবেন সেটিই হল ‘সিল্ক রুট’। বহুকাল আগে নাকি চিন থেকে ভারতে রেশম আনানো হত ওই পথে তাই এরকম নামকরণ! এছাড়াও দেখার মতো রয়েছে বাবা মন্দির এবং ছাঙ্গু লেক।
গ্যাংটকে এম জি মার্গে প্রচুর হোটেল রয়েছে যার ভাড়া মোটামুটি ৯০০ টাকা থেকে শুরু। এম জি মার্গেই রয়েছে প্রচুর কেনাকাটার দোকান এবং খাবার জায়গা। অল্প খরচে মধুচন্দ্রিমা সারার জন্য কিন্তু সিকিম বেশ ভাল জায়গা।
৫ রাত ৬ দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন
হানিমুনে সমুদ্রে গেলে কোথায় যাবেন? (Best Beach Honeymoon Destinations In India)
আচ্ছা, পাহাড় পছন্দ নয়? Honeymoon-এ সমুদ্রে যেতে চান? ঘরের কাছেই ঘুরে আসুন না তাহলে –
১। গোপালপুর (Gopalpur in Odisha)
বলেছিলাম না বাঙালি পুরীতে বেড়াতে যেতে ভীষণ ভালবাসে, কিন্তু তা বলে আপনি কেন মধুচন্দ্রিমায় সেই একঘেয়ে পুরী যাবেন? তার চেয়ে বরং গোপালপুর ঘুরে আসুন। হাওড়া থেকে করমন্ডল এক্সপ্রেস অথবা ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসে চেপে পৌঁছে যাবেন ওড়িশার বেহরমপুর স্টেশনে। বেহরমপুর থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা গোপালপুর! বেহরমপুর থেকে গোপালপুরের দুরত্ব মাত্র ১৬ কিলোমিটার। তবে আপনি চাইলে ভুবনেশ্বর থেকেও চিল্কা হয়ে গোপালপুরে ঢুকতে পারেন। তবে ভুবনেশ্বর থেকে গোপালপুরের দুরত্ব একটু বেশি।
ছবি সৌজন্যে – ইউটিউব
পরদিন প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়তে পারেন তপ্তপানির উদ্দেশ্যে, অবশ্য গরমকালে যদি যান সেক্ষেত্রে তপ্তপানি না যাওয়াই ভাল, কারণ ওটি একটি উষ্ণপ্রস্রবণ। জিরাং মনাস্ট্রিতেও একবার ঘুরে আসতে পারেন, প্রকৃতির অপরূপ শোভা আপনাদের মন ভরিয়ে দেবে।
গোপালপুরের সমুদ্র দেখার মতো! বিশেষ করে পূর্ণিমা রাতে যখন চাঁদের আলো সমুদ্রের ঢেউ-এর ওপরে পড়ে, তখন তা এক স্বপ্নালু পরিবেশ সৃষ্টি করে।
গোপালপুরে যখন মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছেনই, তখন মাছ খাবেন না তা কি হয়?
গোপালপুরে বেশ কিছু বাজেট হোটেল রয়েছে মোটামুটি ৬০০ টাকা থেকে ঘরভাড়া শুরু।
৩ রাত ৪ দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – জনপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন
২। মন্দারমনি – উদয়পুর – তাজপুর (Mandarmani – Udaipur Beach – Tajpur Beah)
মধুচন্দ্রিমায় অনেক বাঙালিই টুক করে দিঘা ঘুরে আসেন। কিন্তু যেহেতু সবাই দিঘা যায়, কাজেই বুঝতেই পারছেন যে দিঘায় ঠিক কতটা ভিড় হয়! আপনি যদি আপনার Honeymoon-এ ভিড়ভাট্টা থেকে একটু দূরে থাকতে চান, তাহলে কিন্তু মন্দারমনি, তাজপুর এবং উদয়পুরে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন। ৪-৫ দিন একান্তে সময় কাটানোর জন্য এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একেবারে পারফেক্ট জায়গা। কলকাতা থেকে যেকোনও ভলভো বাসে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন চাউলখোলা। সেখান থেকে শেয়ারে ট্যাক্সি নিয়ে চলে যান মন্দারমনি। মন্দারমনিতে প্রচুর হোটেল রয়েছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী হোটেল বুক করে নিতে পারেন, অথবা পৌঁছেও হোটেল খুঁজতে পারেন। এখানে হোটেলের ভাড়া ৮০০-৯০০ টাকা থেকে শুরু।
মন্দারমনিতে না থাকতে চাইলে তাজপুরেও থাকতে পারেন। এখানেও খুব সুন্দর সুন্দর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, আর তাও বেশ অল্প খরচে।
খাবার-দাবারের দামও খুব বেশি নয়। অল্প খরচে সুস্বাদু বাঙালি খাবার প্রায় প্রতিটি হোটেলেই পাওয়া যায়। মন্দারমনি হোক বা তাজপুর বা উদয়পুর – যেখানেই যান না কেন, সমুদ্রের তাজা মাছ খেতে ভুলবেন না কিন্তু। এমনকি সমুদ্র সৈকতে অনেক অস্থায়ী দোকান রয়েছে যেখানে আপনার সামনেই মাছ কেটে ভেজে দেন দোকানিরা। ইলিশ থেকে শুরু করে পমফ্রেট, গুরজালি, আমোদি, চিংড়ি এইসব মাছ তো পাবেনই সঙ্গে পাবেন দারুণ সুস্বাদু কাঁকড়া।
মন্দারমনি। তাজপুর এবং উদয়পুর একদম কাছাকাছি। লোকাল গাড়ি পাওয়া যায় সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য।
যদি জিজ্ঞেস করেন যে এই জায়গাগুলোতে গিয়ে কি করবেন, আমি বলব, কিচ্ছু করবেন না; শুধু খাবেন আর বিশ্রাম নেবেন।
৩ রাত ৪ দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – দুজনের জন্য খুব বেশি হলে সাত থেকে আট হাজার টাকা (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
রোম্যান্স করবেন নাকি একটু অ্যাডভেঞ্চার? (Most Romantic & Adventurous Honeymoon Destinations In India)
Honeymoon-এ যখন গেছেন তখন প্রেমে যে গদগদ হবেন সেটা তো খুবই স্বাভাবিক, তবে অনেক কাপল আছেন, যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। দু’রকম মানুষের জন্যই হদিশ দিচ্ছি অল্প খরচে মধুচন্দ্রিমা সারার –
রোম্যান্টিক জোড়ার জন্য বাজেটের মধ্যেই সেরা হানিমুন ডেস্টিনেশান (Romantic Honeymoon Destinations)
খেয়াল করে দেখবেন যারা বেশ রোম্যান্টিক হন, তাঁরা সাধারণত পাহাড় ভালবাসেন। আপনারা দুজনেও যদি রোম্যান্টিক হন, সেক্ষেত্রে ঘুরে আসতে পারেন পেলিং থেকে
১। রাবাংলা-পেলিং (Ravangla – Pelling)
হাতে যদি বেশি সময় না থাকে তাহলে তিন-চারদিনের জন্য মধুচন্দ্রিমা কাটিয়ে আসুন রাবাংলা আর পেলিং-এ। মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য আর নরম মেঘের ছোঁয়া – আপনাদের দুজনের মধ্যে উষ্ণতা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শেয়ার ট্যাক্সি নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন পেলিং। পেলিং-এই দু’তিন দিন অনায়াসে কেটে যাবে। পেলিং বেস করে আপনারা কাছেপিঠের অনেক জায়গাও দেখে আসতে পারেন – মনাস্ট্রি, কাঞ্চনজঙ্ঘা জলপ্রপাত ছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই!
৩ রাত ৪ দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – জনপ্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
২। সিমলা-কুল্লু-মানালি (Shimla – Kullu – Manali)
পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও যেখানেই আপনি বেড়াতে যাবেন বাঙালিদের দেখতে পাবেনই। সুদুর হিমাচলের সিমলা, কুল্লু আর মানালিও সেই তালিকা থেকে তাই বাদ পড়েনি। হাওড়া থেকে যেকোনও দিল্লিগামী ট্রেনে দিল্লি পৌঁছন, তারপরে সেখান থেকে কাঠগোদাম এক্সপ্রেসে করে নামুন আম্বালা ক্যান্ট-এ। সেখান থেকে কিন্তু আপনাকে গাড়ি নিতে হবে। আর যদি অত বাজেট না থাকে তাহলে দিল্লি থেকে সিমলাগামী ভলভো বাসে চেপে এক রাতেই পৌঁছে যাবেন সিমলা।
ছবি সৌজন্যে – ইউটিউব
সিমলায় এক রাত থেকে সেখান থেকে চলে যেতে পারেন মানালি। পথে পড়বে রোতাং পাস এবং কুল্লু ভ্যালি। কুল্লু থেকে সুন্দর সোয়েটার কিনতে ভুলবেন না কিন্তু! মানালিতে রাত দুয়েক থাকতে পারেন এবং তারপরে আবার দিল্লি!
৩ রাত ৪ দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার মতো (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় জুটিদের জন্য কম বাজেটের ২ টি হানিমুন ডেস্টিনেশান (Honeymoon Destinations For Adventurous Couples)
নতুন বিয়ে হয়েছে বলে যে কেবলমাত্র প্রেমপ্রেম ভাব থাকবে তা কেন, অনেকেই আছেন যারা একটু বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য রইল দু’টি honeymoon destination-এর হদিশ, তাও আবার অল্প খরচেই!
১। জয়পুর ফরেস্ট (Joypur Forest in Bankura)
আবার ফিরে এলাম পশ্চিমবঙ্গেই! আরে বাবা আমাদের নিজেদের রাজ্যে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকতে কেন বলুন তো ভিনরাজ্যে যাবেন খরচ করে? বাঁকুড়ার জয়পুর ফরেস্টে ঘুরে আসতে পারেন ইচ্ছে হলে। নাম ফরেস্ট মানে কিন্তু ভাববেননা যে বাঘ-সিংহ আছে এখানে! তবে হ্যাঁ, নানা পাখি, হরিণ, হাতি এসব আকছার দেখা যায়
এখানে বেড়ানোর জন্য দু-তিন যথেষ্ট। জয়পুর ফরেস্ট থেকে আপনারা চাইলে বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর যেতে পারেন।
দু’রাত তিন দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – দু’জন মিলে খুব বেশি হলে ১০ হাজার টাকার মতো (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
২। চিলাপাতা ফরেস্ট (Chilapata Forest)
লকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী যেকোনও ট্রেনে চেপে বসুন। যদি রাতের দিকের ট্রেনে চাপেন তাহলে সুবিধে, কারণ ভোর ভোর আপনি নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যাবেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাবেন চিলাপাতা ফরেস্ট। আপনাদের যাওয়ার পথেই পড়বে গরুমারা, চাপড়াহাটি আর জলদাপাড়া। রাতে চিলাপায় বিশ্রাম নিয়ে পরদিন ভোর ভোর চলে যান জঙ্গল সাফারিতে। জঙ্গল সাফারির জন্য কিন্তু আগে থেকে বুকিং করাতে হয়। সন্ধের মধ্যে আবার গেস্ট হাউজে ফিরে এসে পরদিন সকালে বেরিয়ে পরুন বক্সার উদ্দেশ্যে। মাদারিহাট এবং জলদাপাড়াতে হাতি দেখে ফিরে আসুন চিলাপাতায়।
চিলাপাতায় থাকার জন্য বনদপ্তরের সরকারী গেস্টহাউজ রয়েছে। আগে থেকে সেখানে বুকিং করতে হবে তা না হলে কিন্তু জায়গা নাও পেতে পারেন।
জঙ্গল সাফারির জন্য আগে থেকে পারমিশন করাতে হয়, সেক্ষেত্রে আগে থেকে নিজেদের পরিচয়পত্র এবং ছবি জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট আধিকারিককে।
দু’রাত তিন দিনের ঘোরাফেরায় কেমন খরচ পড়বে – দু’জন মিলে খুব বেশি হলে ২০ হাজার টাকার মতো (খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, তবে কেনাকাটা বাদে)
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!