একেই বলে শাঁখের করাত, যেতেও কাটবে, আসতেও কাটবে। গোড়া থেকে দেশজুড়ে নানা ঘটনায় যখন সকলে আন্দোলনে ব্যস্ত, তখন বলিউড কেন চুপ, কারও মুখে কেন রা-টি নেই, তা নিয়ে লোকে নিন্দেমন্দ করে ভুবন ভরিয়ে দিচ্ছিল। আর সেই বলিউডের অন্যতম হেভিওয়েট দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) যখন গটমটিয়ে দিল্লির জেএনইউ-তে (JNU) গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটালেন, অমনই সকলে হ্যা-হ্যা করে হেসে বলল, বাওয়া বুঝেছি, ওসব তো ফিল্মের প্রোমোশনের জন্য। একদল সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকাকে বয়কটের ়ডাক দিল, ‘ছপাক’ (Chhapaak) দেখতে যাবেন না, তেমনটাও বলল, অন্যদল আবার তাঁর প্রশংসায় গদগদ হয়ে গেল।
এত ডামাডোলের মধ্যে ছবি রিলিজ হল। তার প্রিমিয়ারে দীপিকা-লক্ষ্মী সব্যসাচীর শাড়ি পরে একগাল হেসে উপস্থিত হলেন। গোটা পাড়ুকোন এবং ভবনানি পরিবার যখন বাড়ির মেয়ে আর ঘরের লক্ষ্মীর কাজ দেখে আহ্লাদে আটখানা হল, ছবি রিলিজের আগেই যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার তাকে ট্যাক্স-ফ্রি ঘোষণা করল, সমালোচকেরা ভারী খুশিও হলেন ছবির প্রথম স্ক্রিনিং দেখে, দীপিকা শান্তি পেয়ে ভাবলেন, যাক বাবা, তা হলে এবার সব ঝামেলা মিটল এবং সেজেগুজে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজোও চড়িয়ে এলেন। শত হোক, প্রযোজক হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ছবি। লোকে যতই বলুক, স্বামী রণবীর সিংও নাকি টাকা লাগিয়েছেন এই ছবিতে, দীপিকা তো জানেন যে, এগুলো তাঁরই রক্ত জল করা পয়সা…
পরিচালক মেঘনার সঙ্গে দীপিকা ও বিক্রান্ত মেসি
কিন্তু ওই যে, মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক! এই রক্ত জল করা পয়সা দীপিকা কোত্থেকে রোজগার করেছিলেন বলুন দেখি? ফিল্ম থেকে? মোটেও না। বছরে তো এক-একজন নায়িকা সাকুল্যে দুটো কী খুব বেশি হলে তিনটি ছবি করেন। তাতে আর কত পারিশ্রমিকই বা পান তাঁরা। তাঁদের আসল রোজগার হল ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট (Endorsement) থেকে। প্রিন্ট অ্যাড, ভিশুয়াল অ্যাড, অ্যাপিয়ারেন্স মানি…এসব বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা কামান তাঁরা। ‘ছপাক’ নিয়ে জেএনইউ গিয়ে সেই টাকার গাছটির মূলে কোপ মেরেছেন দীপিকা! তাঁকে অ্যাডে পাওয়ার জন্য এতদিন যেসব ব্র্যান্ডরা হা-পিত্যেশ করে বসে থাকত, তারা এবার হাত গোটাতে শুরু করেছে। মায়, যেসব ব্র্যান্ডের সঙ্গে তিনি ইতিমধ্যেই জড়িত, তাঁরাও তাঁকে দেখা যাচ্ছে এমন বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে দুম করে! কারণটা কিছুই নয়, বয়কট ছপাক-এর ডাক কিংবা জেএনএউ-এর মতো বিতর্কিত বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়াটা মোটেও ভাল চোখে দেখছে না বহুজাতিক সংস্থাগুলি। তাই এখন তারা ধীরো চলো নীতি অবলম্বন করেছে দীপিকার ক্ষেত্রে। অভিনেত্রীর টিম অবশ্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে, দীপিকা জেএনইউ-এ গিয়েছিলেন বটে, কিন্তু একটি শব্দও মুখ থেকে বের করেননি সেখানে গিয়ে। কয়েকমিনিট মাথা নীচু করে দাঁড়িয়েই বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা…
যাঁরা ভেবেছিলেন যে, জেএনইউ কাণ্ড দীপিকার ছবির সুবিধে করে দেবে, তাঁরা ভুল। হয়তো এই শাঁখের করাতের কারণেই সাম্প্রতিক কোনও ইসু নিয়ে নিজেদের বক্তব্য বলার আগে বেশ কয়েকবার ভাবেন বলিউডি তারকারা। শত হলেও, এসব করেই তাঁরা কিটো ডায়েটের রসদ, রেড কার্পেটের পোশাক, বিদেশে ছুটি কাটানোর টাকা জোগাড় করেন কিনা…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ সালটা শুরু করুন আমাদের দারুণ সব প্ল্যানার এবং সেটমেন্ট মেকিং সোয়েটশার্ট দিয়ে, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shop-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!