করোনা আতঙ্কে এই মুহূর্তে গৃহবন্দি রয়েছেন সকলে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো বারণ। তা সত্বেও বেশ কিছু মানুষ সেই নির্দেশ অমান্য করছেন। করোনার ভয়াবহতা এখনও হয়তো বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এই খবর বা ছবি নতুন নয়। এবার একই চিত্র দেখা গেল অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া (Ditipriya) রায়ের পাড়াতে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীদের একাংশের রোষের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী।
ঘটনাটি ঠিক কী? টালিগঞ্জের যে পাড়ায় দিতিপ্রিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন, সেখানে লকডাউন (lockdown) অকারণে ভাঙছেন অনেকেই। পাড়ার মোড়ে জটলা হোক বা পাড়ার মাঠে আড্ডা চলছিল নিয়মিত। এসবের প্রতিবাদ করেন অভিনেত্রীর বাবা। লকডাউন অমান্য করলে পুলিশ ডাকার কথাও বলেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে সেদিনই পাড়ায় পুলিশ এসে যাঁরা লকডাউন অমান্য করছিলেন, তাঁদের সাবধান করেন। আর এতেই অভিনেত্রীর উপর চটেছেন সেই একাংশ প্রতিবেশী। তাঁদের মনে হয়েছে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ পাড়ায় ডেকে তাঁদের হেনস্থা করেছেন দিতিপ্রিয়া। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতিপ্রিয়াকে কদর্ষ ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতিপ্রিয়াকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়, ‘আগামী ছ’মাস তো পেটের ভাত জুটবে না’, ‘ফ্ল্যাটের সঙ্গে কি মাঠটাও কিনে ফেলেছে’। এই ধরনের মন্তব্যে দৃশ্যতই হতাশ দিতিপ্রিয়া। তাঁর চেনা পাড়া, চেনা মানুষগুলো এভাবে বদলে যাবে তিনি ভাবেননি। তবুও অন্যায় দেখলে প্রতিবাদের পথ থেকে সরে আসতে রাজি নন তিনি।
ফেসবুকে দিতিপ্রিয়া নিজের বক্তব্য শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘… ভাবতাম আমাদের পাড়া বেস্ট। সেই কারণে লকডাউন সিচুয়েশনে পাড়ার মাঠে রুলস না মানতে দেখে বাড়ি যেতে বলতো আমার বাবা, যাতে পুলিশ এসে তাড়া না মারে…। তারপর হঠাৎ একটা গুজব ছড়ায় আমি নাকি পুলিশ পাঠাই বা আমার জন্য নাকি এত পুলিশ পোস্টিং। ফার্স্ট অফ অল এত ক্ষমতা আমার এখনও হয়নি যে নিজের বাড়ির কাছে পুলিশ পোস্টিং করাব… কে বা কারা এটা ছড়িয়েছে জানি না। তবে এটা ভুল। …’
দিতিপ্রিয়া নিজের পোস্টে আরও লিখেছেন, তিনি ছোটবেলায় যাঁর কাছে পড়তে যেতেন বা যাঁদের ছোট থেকে দাদা বলে জেনে এসেছেন তাঁরা যে এই ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করবেন, তা তিনি ভাবেননি। তিনি আক্ষেপ করেছেন, সত্যিই তিনি না খেয়ে থাকলে কি ওই মানুষগুলো খুশি হবেন? চেনা পাড়ায় যে এভাবে হেনস্থা হতে হবে, তা ভাবেননি দিতিপ্রিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘মাঠ বা পুলিশ কোনওটাই আমার বাবার সম্পত্তি নয়।’
তবে পরে ফেসবুক থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন দিতিপ্রিয়া। তার কারণ ব্যাখ্যা করেননি তিনি। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এভাবে হেনস্থার মুখে পড়ায় ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের একটা বড় অংশ।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!