আয়ুর্বেদ চিকিৎসার (ayurveda) একেবারে শুরুর দিন থেকেই তুলসি পাতার ব্যবহার চোখে পড়ে। আর এমনটা হবে নাই বা কেন বলো! এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে যে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। সেই সঙ্গে খোঁজ মেলে ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিডেরও, যা শরীরের (health) প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমন শরীরের একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও নানা ভাবে সাহায্য করে।
তাই তো বলি, সুস্থ শরীরে দীর্ঘ দিন যদি বাঁচতে হয়, তা হলে নিয়মিত ৩-৪ টে তুলসি পাতা খেতে ভুলো না যেন (health benefits of basil leaves)! কারণ এমনটা করলে…
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সয়াবিনের উপকারিতা
১. দেহে প্রদাহের মাত্রা কমবে:
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে (basil leaves) রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র প্রদাহের মাত্রাকে কমাতে শুরু করে, যে কারণে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি বাত এবং ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল কন্ডিশনের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও দূর হয়। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়া শুরু করলে যে কোনও কারণে হওয়া মাথা যন্ত্রণা কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি বারে বারে জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
২. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:
প্রতিদিন তুলসি পাতা (basil leaves) খাওয়ার পাশাপাশি এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দিয়ে তৈরি তেল কপালে লাগিয়ে কিছু সময় মাসাজ করলে মস্তিষ্কের অন্দরে উপস্থিত নিউরোট্রান্সমিটার অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে, যে কারণে “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবও। ফলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৩. লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
তুলসি পাতায় উপস্থিত একাধিক ডিটক্স প্রপাটিজ এবং ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে লিভারে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা সব বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে তুলসি পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। এই কারণেই তো লিভারকে চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৪. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে:
নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যান্সার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে তুলসি পাতায় উপস্থিত “ফাইটোকেমিকাল” (phytochemicals) শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্যান্সার সেলেদের ধ্বংস করতে শুরু করে (basil leaves and cancer)। ফলে এমন মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
৫. ব্রেনের ক্ষমতা বাড়ে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তুলসি পাতায় (basil leaves) উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার, কগনেটিভ হেল্থ বা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো রোজের ডায়েটে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে জায়গা করে দিলে ব্রেনের “ইলেকট্রনিক ট্রান্সমিটার অ্যাকটিভিটি”এর উন্নতি ঘটে, যে কারণে ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। আর এমনটা হলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে, তেমনি বুদ্ধির ধার বাড়ে চোখে পড়ার মতো।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!