গর্ভবতী মায়েদের শরীরে নানা হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ার কারণে এমনিতেই প্রেগন্যান্সির সময় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যাও। এক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠা মাত্র বারে বারে বমি হওয়া, মাথা ঘোরা এবং দুর্বল লাগার মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়। তবে প্রেগন্যান্সির প্রথম দিন থেকেই যে মনিং সিকনেসের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে, এমন নয়। বরং ছয় সপ্তাহের পর থেকেই মূলত এই সব লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে শুরু করে। কেন হয় এমন ধরনের সমস্যা? আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে পিত্ত দোষ দেখা দেওয়া মাত্র এমন ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো কোনও ভাবে যদি পিত্ত দোষ দূর করা যায়, তাহলেই মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যাকে বাগে আনতে একেবারেই সময় লাগবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই সময় পিত্ত দোষ দূর করা কি আদৌ সম্ভব? আলবাত সম্ভব! তবে তার জন্য কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার উপর ভরসা রাখতে হবে, তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে এমন সব সমস্যা কমতে শুরু করবে। তাই চলুন আর অপেক্ষা না করে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক মর্নিং সিকনেস দূর করার নানা ঘরোয়া পদ্ধতি (remedies) সম্পর্কে।
Table of Contents
- পিত্ত দোষ ছাড়াও আর কী কী কারণে মর্নিং সিকনেস হয়? (Causes Of Morning Sickness)
- মর্নিং সিকনেসে কত দিন পর্যন্ত ভুগতে হয়? (How Long Does It Last?)
- মর্নিং সিকনেস দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি (Morning Sickness Remedies At Home)
- আরও কিছু উপকারী টিপস (Natural Treatment for Morning Sickness)
- কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে? (When To See A Doctor For Morning Sickness?)
- এই নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQs)
পিত্ত দোষ ছাড়াও আর কী কী কারণে মর্নিং সিকনেস হয়? (Causes Of Morning Sickness)
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে ভাবী মায়েদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে যেমন এমন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই হজম ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং বিশেষ কিছু গন্ধ সহ্য করতে না পারার কারণেও বারে বারে বমি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
মর্নিং সিকনেসে কত দিন পর্যন্ত ভুগতে হয়? (How Long Does It Last?)
প্রেগন্যান্সির ছয় সপ্তাহ পর থেকেই সাধারণত এমন ধরনের সমস্যা শুরু হয়। চলে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার পর্যন্ত। তবে ১৫-২০ শতাংশ মহিলা এই সময়ের পরেও মর্নিং সিকনেসে ভুগে থাকেন।
মর্নিং সিকনেস দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি (Morning Sickness Remedies At Home)
সাধারণ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার উপর ভরসা রাখলে কিন্তু এমন ধরনের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন…
১| অল্প অল্প করে বারে বারে খেতে হবে (Eat Small Amount Through Out The Day)
ঘুম থেকে ওঠা মাত্র হালকা কিছু খেতে ভুলবেন না যেন! তারপর থেকে প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে বারে বারে খেতে হবে। কারণ, এই সময় পেট খালি থাকলেই বিপদ। তাই মর্নিং সিকনেসকে যদি জোড়া গোল দিতে হয়, তাহলে পেট খালি রাখলে কিন্তু চলবে না। ইচ্ছা হলে হাতের কাছে বাদাম রাখতে পারেন। যখনই খিদে পাবে, অল্প অল্প করে খেতে থাকবেন, তাতে উপকার পাবেন বই কী! তবে তার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার আলোচনা করে জেনে নেবেন, কী কী খাবার খেতে পারবেন, আর কী কী নয়। সেই মতো রোজের ডায়েট ঠিক করে নেবেন। মোট কথা যাই খান না কেন, তা অল্প অল্প করে বারে বারে খেতে হবে, যাতে পেট খালি না থাকে।
২| আদা (Gigner)
অল্প করে কাঁচা আদা অথবা আদা চা খেলেও কিন্তু উপকার মিলবে। কারণ, এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে stimulating properties, যা মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত অন্যান্য নানা সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। তাই তো এই সময় অদার উপর ভরসা রাখলে যে উপকার পাবেনই, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: আদা চায়ের উপকারিতা!
৩| বিশেষ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Avoid Certain Foods)
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রেগন্যান্সি সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন এড়িয়ে চলা উচিত, তেমনই বেশি মাত্রায় ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবারও খাওয়া চলবে না। কারণ, এই ধরনের খাবার খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে, যে কারণে মার্নিং সিকনেসের প্রকোপ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে এমন খাবারের পরিবর্তে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ড্রাই ফুড বেশি করে খেতে হবে। তাতে বারে বারে বারে বমি হওয়া এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দূরে থাকতে বাধ্য হবে।
৪| পুদিনা পাতা (Mint)
বলেন কী পুদিনা পাতাও মর্নিং সিকনেসের চিকিৎসায় কাজে আসে! কীভাবে? পুদিনা পাতায় উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো অল্প করে পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে চুইংগামের মতো চিবলে উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যাও দূরে থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুদিনা পাতায় উপস্থিত নানা ভিটামিন-মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারী উপাদানের গুণে মর্নিং সিকনেসের প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনই ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও পুদিনা পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই বুঝতেই পারছেন, পুদিনা পাতার উপর ভরসা রাখলে যে ঠকবেন না, তা তো বলাই বাহুল্য!
৫| লেবু জল (Lemon Water)
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! মর্নিং সিকনেসের খপ্পর থেকে বাঁচতে লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জলে একটা পাতি লেবু চিপে সেই পানীয় পান করতে হবে। ইচ্ছা হলে লেবু জলে অল্প করে নুন এবং চিনিও মেশাতে পারেন, তাতে আরও দ্রুত উপকার মিলবে। বিশেষ করে বারে বারে বমি হওয়ার মতো ঘটনা তো ঘটবেই না, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা এবং দুর্বল লাগার মতো সমস্যাও দূরে পালাবে।
আরও পড়ুন: সকাল-সকাল লেবু জল খাওয়া মাস্ট!
৬| ডাবের জল (Coconut Water)
এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার, মর্নিং সিকনেসের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এমন উপকার পেতে হলে মিনিট পনেরো অন্তর অন্তর অল্প অল্প ডাবের জল খেতে ভুলবেন না যেন! আর যদি ডাবের জলে এক চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। কারণ, সেক্ষেত্রে আরও দ্রুত উপকার মিলবে। ডাবের জল খাওয়া শুরু করলে যে শুধু মর্নিং সিকনেসেরই প্রকোপ কমবে, এমন নয়। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, কিডনি স্টোন এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হবে। শুধু তাই নয়, ডাবের জলে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে হার্টের ক্ষমতাও বাড়বে।
৭| অ্যারোমাথেরাপি (Aromatherapy)
মর্নিং সিকনেস দূর করতে অ্যারোমাথেরাপির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষ করে পুদিনা, লেবু এবং কমলা লেবু থেকে তৈরি এসেনশিয়াল তেলকে যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে আরও তাড়াতাড়ি উপকার মেলে। এক্ষেত্রে তুলো অথবা টিসু পেপারে অল্প করে এসেনশিয়াল তেল নিয়ে বারে বারে গন্ধ নিতে হবে, তাতেই উপকার মিলবে। ছোট ছোট বাটিতে এসেনশিয়াল তেল রেখে ঘরের প্রতিটি কোণায় রেখে দিলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৮| শরীরচর্চা (Physical Exercise)
অল্পবিস্তর হাঁটাহাঁটি বা যোগাসন করলেও কিন্তু এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়। তবে কী কী এক্সারসাইজ করতে পারবেন, সে সম্পর্কে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না যেন! তিনি যদি যোগাসন বা হাঁটাহাঁটির অনুমতি দেন, তাহলে কিন্তু তা নিয়ম করতে হবে। তবেই উপকার মিলবে। বিশেষ করে শরীর নিয়ে তো আর কোনও চিন্তাই থাকবে না। সেই সঙ্গে মর্নিং সিকনেসের খপ্পরে থেকেও মুক্তি মিলবে।
৯| ভিটামিন বি৬ সাপ্লিমেন্ট (Vitamin B6 Supplement)
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ভাবী মায়েরা যদি নিয়মিত ভিটামিন বি৬ সাপ্লিমেন্ট নেন, তাহলে নাকি মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। কিন্তু তাই বলে বেশি মাত্রায় ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলে চলবে না। কতটা পরিমাণে খাওয়া যাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে ২০০ এমজির বেশি সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই উচিত। প্রয়োজনে এই নিয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন। সাধারণত ভাবী মায়েদের ২৫ এমজি করে দিনে তিনবার বি৬ সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেই একই পরিমাণে আপনিও খেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে জেনে-বুঝে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১০| অ্যাপেল সিডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar)
মর্নিং সিকনেসের খপ্পরে থেকে কি নিস্তার পেতে চান? তাহলে নিয়মিত ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, উপকার পাবেন। তবে এই বিষয়ে একবার আপনার গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন। কারণ, প্রেগন্যান্সির সময় মায়ের শরীরে যেহেতু নানা ধরনের পরিবর্তন হতে থাকে, তাই অনেক খাবারই এই সময় খাওয়া চলে না। আপনার ক্ষেত্রে সেই লিস্টে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে একবার জেনে নেওয়াটা জরুরি। চিকিৎসক যদি অনুমতি দেন, তাহলে নিয়ম করে এই ঘরোয়া চিকিৎসার সাহায্য নিতেই পারেন। তাতে মর্নিং সিকনেস তো কমবেই, সেই সঙ্গে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের গুণে ছোট-বড় একাধিক শারীরিক সমস্যাও দূরে থাকতে বাধ্য হবে।
আরও পড়ুন: শরীর এবং ত্বকের যত্নে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার!
আরও কিছু উপকারী টিপস (Natural Treatment for Morning Sickness)
১| নিয়মিত Camomile চা খেলেও উপকার মিলবে। ইচ্ছা হলে এর সঙ্গে এক কাপ করে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চাও খেতে পারেন। কারণ, ক্যামোমিল এবং পুদিনা পাতায় এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা মর্নিং সিকনেসের মোক্ষম দাওয়াই।
২| মর্নিং সিকনেস দূর করতে মৌরির উপরও ভরসা রাখতে পারেন। এবার থেকে যখনই মনে হবে গা গোলাচ্ছে বা বমি পাচ্ছে, তখনই অল্প করে মৌরি মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাবেন।
৩| প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস করে জল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ, শরীরে জলের ঘাটতি দূর হলেও এমন সমস্যার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৪| মিনিটে মিনিটে পাতি লেবুর গন্ধ নিলেও কিন্তু উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে বারে বারে বমি হওয়ার আশঙ্কা তো কমবেই, সঙ্গে মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও দূরে পালাবে।
৫| দিনে তিনটে মিলের পরিবর্তে অল্প অল্প করে ছ’বার খেতে হবে। তাতে খাবার যেমন ঠিক মতো হজম হওয়ার সুযোগ পাবে, তেমনই মর্নিং সিকনেসের প্রকোপও কমবে।
৬| ভাজাভুজি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। জাঙ্কফুড খাওয়াও চলবে না।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে? (When To See A Doctor For Morning Sickness?)
প্রেগন্যান্সির সময় মাঝে মধ্যে বমি হওয়া বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু অনবরত বমি হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। কারণ, এই সময় অনেক মহিলাই hyperemesis gravidarum নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হন, যাতে বমি থামতেই চায় না। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। তবে এছাড়াও আরও কতগুলি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। যেমন ধরুন…
১| বারে বারে গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হচ্ছে, সঙ্গে মারাত্মক মাথা ঘুরছে। এমন ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে দেরি করবেন না।
২| বারে বারে বমি হচ্ছে, আর বমির সঙ্গে মাঝে মধ্যে রক্তেও পড়ছে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেও কিন্তু চিন্তার বিষয়।
৩| মারাত্মক Pelvic Pain হলেও চিকিৎসকের দারস্ত হতে হবে।
৪| দ্রুত ওজন কমছে? তাহলে চটজলদি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে মা এবং বাচ্চার শরীরিক কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা।
এই নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর (FAQs)
১| দুধ খেলেও নাকি মর্নিং সিকনেস দূর হয়?
আলবাত হয়! তবে শুধু দুধ খেলে চলবে না। এক কাপ দুধে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ফেলে খেতে হবে। তবেই কিন্তু উপকার মিলবে। কারণ, তাতে পিত্ত দোষ দূর হবে। ফলে মর্নিং সিকনেসের প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না।
২| মনিং সিকনেস কি চিন্তার বিষয়?
প্রেগন্যান্সি সময় প্রায় সব মহিলাই এমন ধরনের সমস্যার খপ্পরে পড়েন। তাই এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে বেশি মাত্রায় বমি হতে শুরু করলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াটা জরুরি। কারণ, বারে বারে বমি হতে থাকলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যে কারণে মা এবং বাচ্চা, উভয়েরই ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩| প্রতিবার বমি হওয়ার পরে মুখ ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ কেন দেওয়া হয়?
বমি করার সময় পাকস্থলি থেকে কিছু অ্যাসিড বেরিয়ে আসে, যা দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। তাই তো প্রতিবার বমি করার পরে মুখ ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাতে অ্যাসিডের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে দাঁতের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। ইচ্ছা হলে এক কাপ জলে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই জল দিয়েও মুখ ধুতে পারেন, তাতে অ্যাসিডের ক্ষতি করার ক্ষমতা তো কমবেই, সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…