চুল পড়ে যাচ্ছে, অথবা অকালে পেকে যাচ্ছে, চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে – চুল নিয়ে এমন হাজারো সমস্যার সম্মুখীন আমরা। আর তার জন্য দায়ী বাড়তে থাকা দূষণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চুলে আজকাল কালার করিয়ে নেওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু তাতেও মুক্তি নেই। চুল ঝরতে থাকে, রুক্ষও হয়ে যায়। তাই চুলের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে ঘরেই ট্রাই করুন এই টিপসগুলো (Hair Care Tips)। দেখবেন, কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার চুল ঘন-কালো-মজবুত (Black Hair Tips) হয়ে উঠেছে।
Table of Contents
চুল ঘন ও কালো করার কিছু টিপস
কালো, ঘন ও মজবুত (Black-thick-strong hair) চুলের জন্য যে যত্নটার (Care) প্রয়োজন, সেই যত্ন (Care) নেওয়াটা কিন্তু খুব একটা কঠিন নয়। জানি আপনি ব্যস্ত! কিন্তু আপনার ব্যস্ত লাইফস্টাইল থেকে অল্প সময় বার করে নিতেই পারেন। আর চুলের সঠিক যত্ন নিতেই পারেন। আর চুলের যত্ন (Care) নিতে গেলে কিন্তু তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। একটু সময় নিয়েই যত্ন (Care) করতে হবে।
অন্যান্য চুলের ধরনের থেকে একেবারে কালো চুল (Hair) একটু রুক্ষ হয়। তাই কালো চুল ধরে রাখতে যেটা প্রয়োজন, সেটা হল- চুলের ময়েশ্চারকে লক করা। যাতে চুলটা হেলদি থাকে। তাই কালো চুলের জন্য প্রয়োজনীয় শ্যাম্পু, কন্ডিশনার আর হেয়ার অয়েল (Hair Oil) ব্যবহার করতে হবে।
কন্ডিশন
যে হেতু কালো চুলের (Black-thick-strong hair) প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চার চাই, তার জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হল- কন্ডিশন। অনেক সময় শ্যাম্পুর পরে সময়ের অভাবে আপনি কন্ডিশনার লাগালেন না, এটা করলে চুলে ময়েশ্চার থাকবে না। তাই চুলে (Hair) ময়েশ্চার লক করার জন্য শ্যাম্পু করে উঠে কন্ডিশনার লাগানোটা মাস্ট। এতে চুল মসৃণ, সিল্কি আর কালো হবে।
হেয়ার ব্রাশকে বিদায়
কালো ঘন আর মজবুত চুলের (Black-thick-strong hair) জন্য হেয়ার ব্রাশকে আজকেই বিদায় জানান। হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। চুলের জন্য সব সময় বড় দাঁতওয়ালা চিরুনিই দারুণ। হাতের সামনে বড় দাঁতওয়ালা চিরুনি না পেলে আঙুল দিয়েও চুল আঁচড়ে নিতে পারেন। কারণ ব্রাশ ব্যবহার করলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুল (Hair) নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।
হেয়ারস্টাইল বাছা
যে হেতু কালো চুলে (Hair) ক্ষতির সম্ভাবনা সব থেকে বেশি, তাই হেয়ার স্টাইল বাছার ক্ষেত্রেও আপনাকে সতর্ক হতে হবে। এই যেমন আলগা বিরুনি অথবা আলগা পনিটেল কালো চুলের জন্য দারুণ আর স্টাইলিশ। চুল বাড়াতে চাইলে নীচু করে খোঁপা করতে পারেন অথবা সাইড বানও চলতে পারে। এতে চুলে স্প্লিটস আর ড্যামেজ কম হয়।
প্রচুর জল পান
আপনি যদি চান যে, আপনার চুল কালো আর মজবুত (Black-thick-strong hair) হোক, তা হলে জল পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। চুলকে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে জল পান অত্যন্ত জরুরি। এই অভ্যেস আপনার স্কিনকেও ভাল করবে। রক্তে অক্সিজেন লেভেল বজায় রাখে জলই। তাই ঠিকঠাক স্ক্যাল্প সার্কুলেশন বাড়ে। জল আপনার হেয়ার ফলিকলস আর স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখে। আর চুল পেকে যাওয়া রোধ করে। পাশাপাশি স্প্লিট এন্ডসের সমস্যাকেও দূর করে।
হিট নয়
প্রাকৃতিক ভাবে চুল কালো করার টিপস যদি চান, নিজের চুলের ন্যাচারাল কালার মানে কালো রংটা (Natural black color) পছন্দ করেন, তা হলে চুলে (Hair) হট আয়রনিং টুলস ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে আপনার চুল রুক্ষ হয়ে যাবে। আর ন্যাচারাল কালার কোটিংও নষ্ট হবে।
হট অয়েল মাসাজ (Hot Oil Message)
আপনার পছন্দ মতো যে কোনও তেল যেমন- নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল আর আমলা অয়েল গরম করে নিন। সেই তেল মাসাজ (Oil massage) করুন। কারণ এই তেল আপনার চুলের ন্যাচারাল কালো (Natural black color) রং বজায় রাখতে সাহায্য করে। তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল অ্যাড করে নিতে পারেন। সেটা গরম করে হালকা হাতে চক্রাকারে চুল আর স্ক্যাল্পে মাসাজ (Oil massage) করে নিন। যেটা চুল ঘন (Black-thick-strong hair) করতে সাহায্য করে। আর সেই সঙ্গে এটা জেনে রাখুন, কালো ঘন মজবুত চুলের (Black-thick-strong hair) জন্য অন্যতম সলিউশন এটাই।
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট
স্টাইলিং জেলস আর টুলস ব্যবহার করতে চান অনেকেই। সে ক্ষেত্রে ২ মাসে এক বার একটা ভাল সালোঁয় কেরাটিন রেস্টোরেশন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। আর চুলের হারিয়ে যাওয়া কেরাটিন ফিরিয়ে আনতে আর চুলের ন্যাচারাল কালো রং (Natural black color) বজায় রাখতে সাহায্য করে।
চুল কালো করার ঘরোয়া প্যাক (Hair pack)
চুলের ন্যাচারাল কালো রং (Natural black color) বজায় রাখার জন্য বাজারজাত প্রোডাক্টস ব্যবহার করেন। তাতে কিন্তু চুল (Hair) আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেমিক্যালসের কারণে। তাই চুলকে ঘরোয়া উপায়েই কালো করুন।
যষ্টিমধু ও ঘি
ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে এই প্যাকটা (Hair pack) জাস্ট দারুণ। কারণ এটা আপনার চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করে এবং চুলে (Hair) জেল্লা এনে দেয়।
উপকরণ
১ কেজি ঘি (ঘরে তৈরি হলে ভাল)
২০০ গ্রাম যষ্টিমধু
১ লিটার আমলকির রস
পদ্ধতি
এই তিন উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে অল্প আঁচে বসিয়ে দিন। এ বার এটা থেকে জলটা শুকিয়ে এলে একটা পরিষ্কার কাচের জারে ভরে ঠান্ডা করুন। প্রতিদিন স্নানের আগে এই মিশ্রণটা ব্যবহার করুন। দেখবেন, চুলে ন্যাচারাল ব্ল্যাক কালার (Natural black color) বজায় থাকছে।
আমলকি
চুলে ন্যাচারাল কালো রং (Natural black color) ধরে রাখতে আমলকি কিন্তু দারুণ উপাদান। আমলকির হেয়ার প্যাক (Hair pack) বানাতে লাগবে-
উপকরণ
আধ লিটার পরিষ্কার জল
২ টেবিল চামচ আমলা গুঁড়ো
১-২ ফোঁটা লেবুর রস
পদ্ধতি
সব উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ভাল করে ব্লেন্ড হলে পরিষ্কার জারে ভরে রাখুন। এই ন্যাচারাল শ্যাম্পু আপনার চুলকে ঘন ও কালো (Black-thick-strong hair) করবে।
কাঁচা আম
গরমটা তো পড়েই গেল। আর বাজারে কাঁচা আম তো কবে থেকেই উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে। আমের চাটনি, আচার সবই তো খাচ্ছেন। কিন্তু এটা কি জানেন যে, কাঁচা আমের প্যাক (Hair pack) আপনার চুলের জন্য কতটা উপকারী।
উপকরণ
১-২টো কাঁচা আম
এক আঁটি আম পাতা
হেয়ার অয়েল
পদ্ধতি
এ বার আম আর আম পাতা বেটে নিন। এর পর তার মধ্যে আপনার পছন্দের হেয়ার অয়েল মিশিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট মতো বানিয়ে ফেলুন। হয়ে গেলে সেটাকে ২ ঘণ্টা মতো রোদে রেখে দিন। তার পর স্নানের আগে লাগিয়ে নিন। এটা আপনার চুলকে কালো করার (Natural black color) সঙ্গে সঙ্গে মজবুতও করবে।
চুল ঘন ও মজবুত করার ঘরোয়া প্যাক
চুল কালো করার প্যাক (Hair pack) তো হল। এ বার চুল ঘন করার প্যাক যা চুলকে ভিতর থেকে পুষ্ট ঘন ও মজবুত (black-thick- strong hair) করবে। না হলে মুশকিল! ঘন মজবুত চুলের জন্য যেটা সব থেকে বেশি প্রয়োজন, সেটা হল অয়েল মাসাজ (Oil massage)। ঘরোয়া উপায়ে তেলের কিছু মিশ্রণ বানিয়ে মাসাজ (Oil massage) করলে ভাল ফল পাবেন।
আদার তেল
আদার তেল বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু যখন বাড়িতেই আপনি আদার তেল বানাতে পারবেন, তখন খামোখা কিনবেন কেন? আদার তেল কিন্তু চুলের (Hair) গোছ বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী। আমাদের চুল গোড়া থেকে পাতলা হয়ে গেলে সমানে পড়তে শুরু করে। আদার তেল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল (Hair) গজাতেও সাহায্য করে।
উপকরণ
২০০ গ্রাম নারকেল তেল
৫০ গ্রাম আদা
২-৩ বড় চামচ অলিভ অয়েল (চাইলে না-ও দিতে পারেন)।
পদ্ধতি
আদা ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একটু থেঁতলে নিন। এ বার একটি পাত্রে নারকেল তেল গরম করুন। আদার টুকরোগুলি তার মধ্যে দিয়ে দিন। খুব কম আঁচে ২০-২৫ মিনিট ধরে তেল নাড়তে থাকুন। এতে আদার সম্পূর্ণ রস তেলের সাথে মিশে যাবে। ২৫ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করুন|। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে ছেঁকে নিন। এ বার তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে এই তেল আপনার স্ক্যাল্পে মাসাজ (Oil massage) করুন। সকালে শ্যাম্পু করে নিন। ১ মাসের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।
জবা ফুলের তেল
জবা ফুল আমাদের চুলের জন্য দারুণ। এই ফুলের তেল মাথায় লাগালে চুল পড়া চিরতরে বন্ধ হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি নতুন চুল গজাতে শুরু করবে। ঘন কালো একগুচ্ছ চুলের (Black-thick-strong hair) জন্য চটপট বানিয়ে ফেলুন জবা ফুলের তেল।
উপকরণ
১২-১৫ টি লাল জবা ফুল
১ কাপ কারি পাতা
৫০০ গ্রাম নারকেল তেল
অ্যালোভেরা তেল
পদ্ধতি
ফুলের পাপড়িগুলি ও কারি পাতা ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এ বার পাত্রে নারেকেল তেল গরম করে তাতে জবা ফুলের পাপড়ি ও কারি পাতা সাবধানে দিয়ে আঁচ কম করে নাড়তে থাকুন, যাতে পুড়ে না যায়। ১০ মিনিট কম আঁচে নাড়ার পর গ্যাস বন্ধ করুন। তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে ছেঁকে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ভালো করে ৫ মিনিট ধরে স্ক্যাল্পে মাসাজ (Oil massage) করুন।
আমলকি তেল
চুলের ক্ষেত্রে আমলকির উপকারিতা নতুন করে আর বলার নয়। তাই পাতলা চুলের (Hair) সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এই তেল অবশ্যই ব্যবহার করুন।
উপকরণ
আমলকির
১ কাপ নারকেল তেল
পদ্ধতি
আমলকি ভাল করে ধুয়ে একটি পাত্রে থেঁতো করে বীজগুলি বার করে নিন। এ বার মিক্সারে অল্প জল দিয়ে বেটে, ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রস বার করে নিন| এ বার একটি পাত্রে নারকেল তেল গরম করে তাতে খুব সাবধানে আমলকির রস মেশান। কম আঁচে ৫-৭ মিনিট নাড়লে দেখবেন, জল শুকিয়ে গিয়ে তেলের রং বাদামি হয়ে গিয়েছে| এ বার গ্যাস বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে একটি বোতলে ঢেলে রাখুন। প্রতিদিন রাতে এই তেল আপনার স্ক্যাল্পে মাসাজ (Oil massage) করুন। সকালে উঠে ইষদুষ্ণ গরম জলে মাথা ধুয়ে তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
অ্যালোভেরা তেল
আমাদের চুল গজানোর সঙ্গে সঙ্গে চুল মজবুত ও ঘন (Black-thick-strong hair) করে অ্যালোভেরা। তাই আপনার মাথার চুল যদি পাতলা হয়ে গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা তেল বেশ উপকারী হবে।
উপকরণ
১ টি অ্যালোভেরা পাতা
১/২ কাপ নারকেল তেল
পদ্ধতি
অ্যালোভেরা পাতা সমান দু’ভাগে কেটে তার ভেতর থেকে জেলটা বের করে নিন। একটি পাত্রে নারকেল তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে খুব সাবধানে আলোভেরা জেল তেলে ঢালুন| এ বার ৫-৭ মিনিট তেল মিশ্রণটা নাড়তে থাকুন। দেখবেন, অ্যালোভেরা জেল তেলের সাথে মিশে গিয়েছে। তেল ঠান্ডা হলে একটি পরিষ্কার বোতলে ভরে রাখুন। এই তেল ২ সপ্তাহ ভাল থাকবে। রাতে শোওয়ার সময় প্রয়োজন মতো তেল একটি বাটিতে ঢেলে গরম করে মাসাজ (Oil massage) করুন।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল খুব পরিচিত একটি হেয়ার অয়েল যা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী। এটির বহু গুণ, এটি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গোড়া মজবুত করে। এই অয়েলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও প্রোটিন যা চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের ঘনত্ব (Black-thick-strong hair) বাড়ায়।
উপকরণ
ক্যাস্টর অয়েল
নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল
পদ্ধতি
ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের স্ক্যাল্পে ভাল করে মাসাজ (Oil massage) করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট (রাতে শোয়ার আগে)। সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করুন।
পিঁয়াজের তেল
আমাদের চুল গজানোর ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মত কাজ করে পিঁয়াজের তেল। আর খুব কম সময়েই এই তেল আপনার চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই পেঁয়াজ এ বার থেকে শুধু রান্নার কাজে না লাগিয়ে চুলের খাদ্য হিসেবেও কাজে লাগান।
উপকরণ
২ টি ছোটো পিঁয়াজ
৪ টি রসুন কোয়া
১ কাপ নারকেল তেল
পদ্ধতি
পিঁয়াজ স্লাইস করে কেটে নিন। রসুনের কোয়াগুলি ছুলে নিন। নারকেল তেল একটি পাত্রে গরম করে তাতে রসুন ও পেঁয়াজের স্লাইসগুলো দিন। এ বার কম আঁচে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ না পিঁয়াজ বাদামি হচ্ছে, ততক্ষণ ক্রমাগত তেল নাড়তে থাকুন। ১৫ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে বা বোতলে ছেঁকে রাখুন। প্রতিদিন রাতে এই তেল আপনার স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন| সকালের উঠে ইষদুষ্ণগরম জলে মাথা ধুয়ে তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ডিম-মধু
ডিম তো চুলের জন্য দারুণ। আর মধুও। চুলকে পুষ্ট করে এবং চুল ঘন ও মজবুত (Black-thick-strong hair) করতে সাহায্য করে।
উপকরণ
ডিমের সাদা অংশ
১ চামচ মধু
অলিভ অয়েল
পদ্ধতি
তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক (Hair pack) তৈরি করুন। সেই প্যাকটি চুলের গোড়ায় ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, যাতে এই প্যাকটি (Hair pack) থেকে স্ক্যাল্প পুরোপুরি পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে। এর পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এটি চুল (Hair) গজানোর পক্ষে খুব কার্যকারী।
সরষের তেল-মেহেন্দি পাতা
সাধারণত চুলে সরষের তেল একেবারেই ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু সরষের তেল চুলের গোড়া মজবুত করে তুলতে বিশেষ ভাবে কার্যকর একটি উপাদান, যা চুল পড়া রোধ করে দেবে। এর পাশাপাশি মেহেন্দি পাতা নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে। ফলে চুলের (Hair) ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় বেশ কয়েক গুণ।
উপকরণ
২০০ গ্রাম সরষের তেল
১ কাপ পরিমাণ মেহেন্দির তাজা পাতা
পদ্ধতি
একটি পাত্রে সরষের তেল নিয়ে গরম করে দিন। এ বার এতে ১ কাপ মেহেন্দির তাজা পাতা দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। যখন দেখবেন মেহেন্দি পাতা পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে, তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। একটি এয়ার টাইট বোতলে এই তেল সংরক্ষণ করুন। এই তেল সপ্তাহে ৩ দিন চুলে লাগান। সারা রাত চুলে (Hair) তেল লাগিয়ে (Oil massage) রেখে সকালে সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেললে সব চেয়ে ভাল ফল পাবেন।
চুল ঘন কালো মজবুত করার বিষয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর (FAQs)
প্রশ্ন: স্নান করেই বেরোতে হয়। ফলে ভিজে চুলই (Hair) আঁচড়ে নিতে হয়। অনেক জায়গায় শুনেছি, এটা উচিত নয়। এটা কি ঠিক?
উত্তর: বেশির ভাগ সময়ই আমরা এই ধারণাটা শুনে থাকি যে, ভেজা চুল আঁচড়ানো ঠিক না, এ সময় গোড়া নরম থাকে, বেশি প্রেসার করলে চুল (Hair) পড়ে যেতে পারে! আসলে সব ক্ষেত্রে এই ধারণাটা ঠিক না। কারণ ভেজা ও শুকনো চুল (Hair) উভয়ই এমন ভাবে আঁচড়াতে হবে, যাতে স্ক্যাল্পে প্রেসার না পড়ে। মূলত চুল (Hair) পড়ার মূল কারণ অপুষ্ট চুল। যদি চুল খুব বেশি দুর্বল হয়, যেটা অনেক সময় কেমিক্যালস থেকে হয়, সে ক্ষেত্রে ভেজা অবস্থায় চুলটা না আঁচড়িয়ে একটু শুকানোর পরেই আঁচড়ানো ভালো।
প্রশ্ন: প্রতিদিন শ্যাম্পু করা কি উচিত?
উত্তর: রোজ বেরোনোর ফলে চুল (Hair) ধুলো ময়লা দূষণের প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রোজ শ্যাম্পু করা দরকার। কারণ স্ক্যাল্পটাকে পরিষ্কার রাখতে হবে। আর অনেকেই শ্যাম্পুর কেমিক্যালসের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে হার্বাল অথবা ঘরোয়া শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। আর রোজ শ্যাম্পু করতে না চাইলে অন্তত পক্ষে এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করতে হবে।
ছবি সৌজন্য: পেক্সেলস, পিক্সঅ্যাবে, ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
সুন্দর চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ক্যাস্টর ওয়েল বা রেড়ির তেল