আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে, ফেস টোনার হয় বলে শুনেছি, কিন্তু হেয়ার টোনার (hair toner) ব্যাপারটা আবার কী! আচ্ছা, একটু গোড়া থেকে বলি, তা হলে বুঝতে সুবিধে হবে। আমরা অনেকেই চুলে নানা স্টাইল করার জন্য রঙ করাই। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই রঙটা কেমন ফিকে হয়ে যায় আর রঙ করা চুলগুলো একটা বিশ্রী কমলা বা হলদে হয়ে যায়। হেয়ার টোনার সেই রঙটাই দূর করে চুলের স্বাভাবিক (natural) রঙ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে, সঙ্গে চুলে একটা আলাদা শাইনও নিয়ে আসে। বাজারচলতি অনেক ব্র্যান্ডের হেয়ার টোনার পাওয়া যায় বটে, তবে সেগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে রাসায়নিক থাকে, যা চুলের ক্ষতি করতে পারে। কাজেই বাড়িতেই (homemade) যদি প্রাকৃতিক (natural) কয়েকটি উপাদানের সাহায্যে যদি তৈরি করে নেওয়া যায় হেয়ার টোনার, তা হলে দুটো কাজই হবে। দেখে নিন, কীভাবে তৈরি করবেন হেয়ার টোনার (hair toner)।
আরও পড়ুনঃ চুলে জট লাগার সমস্যা থেকে মুক্তি
অ্যাপল সিডার হেয়ার টোনার
অ্যাপল সিডার ভিনিগার যেহেতু অ্যাসিডিক, অর্থাৎ এতে অম্লের পরিমাণ বেশি থাকে, কাজেই কমলা বা হলদে রঙের কোটিং দূর করতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া এই উপাদানটি স্ক্যাল্প থেকেও যে-কোনও ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করে।
কী কী প্রয়োজন হেয়ার টোনার তৈরি করার জন্য – চার টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার এবং দুই টেবিল চামচ জল
কত ক্ষণ সময় লাগবে – ১৫ মিনিট
কীভাবে তৈরি করবেন এবং ব্যবহার করবেন – একটি কাচের জারে জলের সঙ্গে অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন এবং চুলে শ্যাম্পু করার পর ওই জলটি মাথায় ঢেলে দিন। মিনিটপনেরো ওভাবেই রেখে দিন এবং পরে ঠান্ডা জলে বা সামান্য গরম জল মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
কত দিন করতে হবে – মাসে তিনবারের বেশি এই হেয়ার টোনারটি (hair toner) ব্যবহার করবেন না। কারণ, এই ভিনিগার অনেকসময় চুল শুষ্ক করে দেয়।
লেবু দিয়ে হেয়ার টোনার
যাঁরা চুলে রঙ তুলতে চান, অথচ একদম কালো চুলও চান না, তাঁরা এই হেয়ার টোনারটি ব্যবহার করতে পারেন। লেবু আর মধুর মিশ্রণে তৈরি এই হেয়ার টোনারটি চুলের স্বাভাবিক রঙের চেয়ে এক শেড হালকা রঙ করতে সাহায্য করে, আর তা-ও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই!
কী কী প্রয়োজন হেয়ার টোনার তৈরি করার জন্য – এক চতুর্থাংশ ফ্রেশ লেবুর রস, তিন চতুর্থাংশ জল, দুই টেবিল চামচ মধু এবং একটি স্প্রে বটল
কত ক্ষণ সময় লাগবে – দুই ঘণ্টা
কীভাবে তৈরি করবেন এবং ব্যবহার করবেন – সবক’টি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে বটলে ঢেলে নিন এবং চুলে স্প্রে করে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন মাথার তালুতে এই হেয়ার টোনারটি না লাগে। দুই ঘণ্টা রেখে দিন। এই দুই ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব হলে আধ ঘণ্টা রোদে কাটান। দুই ঘণ্টা পর কোনও মাইল্ড এবং সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
কত দিন করতে হবে – মাসে তিনবারের বেশি এই হেয়ার টোনারটি (hair toner) ব্যবহার করবেন না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…