রোহিনীদের বাড়িতে (home) ঢুকলেই যেন মনটা অন্যরকম হয়ে যায়. কি সুন্দর করে সাজানো ওদের লিভিংরুমটা, বেশ একটা সাবেকিয়ানার (ethnic style) ছোঁয়া রয়েছে ওদের প্রতিটি আসবাব (furniture) এবং ঘর সাজানোর জিনিসে (decorative). এতো সুন্দর করে রুচিশীলভাবে (ethnic style) কীভাবে ওরা ঘর সাজায় (decor) সেটা একদিন রোহিনীকে জিজ্ঞেস করাতে ও বলেছিলো যে এটা ওর মায়ের শখ. তারপরে কাকিমার থেকে বেশ অনেকগুলো ছোট ছোট টিপস (tips) পেয়েছিলাম, যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমিও আমার বাড়িটা (home) সাজিয়েছি (decor). আপনারাও জানতে চান? এখুনি বলছি কীভাবে রুচিসম্মতভাবে (ethnic style) ঘর সাজাবেন.
যেকোন বাড়ির অন্দরসজ্জার (home decor) ক্ষেত্রে আসবাব (furniture) একটা বড় ভূমিকা পালন করে. বাড়ির মালিকের এবং অন্যান্য সদস্যদের রুচিবোধ, সেই বাড়িটি (home) কীভাবে সাজানো, তার ওপরে অনেকখানিই নির্ভর করে. আপনার যদি সাবেকি স্টাইল (ethnic style) বেশি পছন্দ হয় এবং আপনার বাড়ির অন্দরসজ্জায় (home decor) আপনি সাবেকি ছোঁয়া (ethnic style) রাখতে চান, তাহলে সাবেকি ডিজাইনের (design) আসবাব (furniture) দিয়ে ঘর সাজান. যেমন ধরুন, বসার ঘরে সোফার বদলে বেতের চেয়ার রাখলেন কিংবা কাঠের কারুকাজ করা যদি-আঁটা সোফা রাখতে পারেন.
আজকাল দেওয়ালে নানা ডিজাইনের (design) রং করানোটা বেশ ফ্যাশন. কিন্তু আপনি যদি একটু অন্যরকমভাবে বাড়ি (home) সাজাতে (decor) চান, তাহলে বিভিন্ন ডিজাইনে (design) ঘরের দেওয়াল রং না করিয়ে সনাতনী (ethnic style) কোনো ওয়াল আর্ট (wall art) টাঙিয়ে দিন. খুব সুন্দর সুন্দর দেখতে মধুবনী আর্ট কিংবা ট্রাইবাল ডিজাইনের (design) ছবি পাওয়া যায়. একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন যে আপনার বাড়ির আসে-পাশেই হয়তো কোনো দোকানে যেখানে বাড়ি সাজানোর সরঞ্জাম (decorative) পাওয়া যায়, সেখানে এইসব ওয়াল আর্টগুলি (wall art) পাওয়া যায়. আর তা যদি না পাওয়া যায়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই, যেকোন হস্তশিল্প মেলাতে আপনি অনায়াসে এই ধরণের সাবেকি (ethnic style) ডিজাইনের ওয়াল আর্ট (wall art) পেয়ে যাবেন.
যখন আপনি বিছানার চাদর (bedspread) কিনবেন, চেষ্টা করুন খেশ কিংবা খাদির ফ্যাব্রিকের (fabric) চাদর (bedspread) কিনতে. এগুলোতে বেশ একটা ভারতীয় (Indian) সংস্কৃতির ছোঁয়া (ethnic style) আছে. লিনেন কিংবা সিনথেটিক ফ্যাব্রিক (fabric) ব্যবহার না করে খাদির বেডস্প্রেড (bedspread) কিংবা কুশনের ঢাকা ব্যাবহার করুন. চাদরে বা কুশন কভারে যদি কিছু আঁকা-জোঁকা করা থাকে, চেষ্টা করবেন সেগুলোও যেন আপনার রুচিকে প্রকাশ করে.
আমরা ভারতীয়রা একটু বেশিই ঠাকুরবক্ত হই. আপনার বাড়িতে ঢোকার মুখেই যদি একটা ছোট করে ঠাকুরের জায়গা তৈরী করেন, তাহলে দেখাতেও ভাল লাগে আর আপনার বাড়িতে নাকি সুখ-সমৃদ্ধিরও এবং ঘটে (বাস্তু মতে অন্তত তাই বলা হয়). যদি আসন রাখার জায়গার অভাব হয়, তাহলে আপনি একটা ছবিও রাখতে পারেন. খুব সুন্দর সুন্দর ক্যানভাসের ছবি পাওয়া যায়. আপনি দোকানে গিয়েও কিনতে পারেন, আবার বাড়ি বসে অনলাইনেও কিনে নিতে পারেন. এতে বেশ একটা সাবেকি ভাব দেখা যায়.
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!