মসৃণ ত্বক কে না পছন্দ করে বলুন! সিনেমার পর্দায় কিংবা বিজ্ঞাপনে নায়িকাদের কী দারুণই না দেখতে লাগে মেকআপ করে…আপনারও নিশ্চয়ই মনে হয়, আপনিও যখন মেকআপ (makeup) করবেন তখন যেন মেকআপটা ঠিকভাবে বসে! কিন্তু মেকআপ করাটা একটা আর্ট! আর দুঃখের বিষয় হল অনেকেই সেটা ঠিকমতো করতে পারেন না। তার উপরে যদি আপনার ত্বক শুষ্ক (dry skin) হয়, তা হলে আরও বেশি মুশকিল! তবে চিন্তা নেই, আমরা আছি আপনার মুশকিল-আসান। স্টেপ বাই স্টেপ জানাচ্ছি ঠিক কীভাবে শুষ্ক ত্বকে মেকআপ করা উচিত, যাতে দেখে মনে হয় ফ্ললেস স্কিন ইজ ইন!
স্ক্রাবিং
শুষ্ক ত্বকে আপনি যতই সুন্দর করে মেকআপ করুন না কেন, একটু পরেই ত্বক কেমন ফ্লেকি বা খসখসে দেখতে লাগে। তাই মেকআপ করার আগে ত্বক পরিষ্কার করা খুব প্রয়োজন। সবচেয়ে আগে কোনও মাইল্ড স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, যাতে ত্বকের উপরের মরা কোষগুলি উঠে যায় এবং ত্বক নরম হয়। ত্বক এক্সফোলিয়েট করাটা খুব প্রয়োজন, তা না হলে কিন্তু মেকআপ বসবে না।
ময়শ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন
স্ক্রাবিং করার পর কিন্তু শুষ্ক ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। কাজেই ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কোনও ঘন ময়শ্চারাইজার ভাল করে মুখে লাগিয়ে নিন, এমন ভাবে লাগাবেন, যেন তা ত্বকে মিশে যায়। যদি দিনের বেলা কোথাও যেতে হয়, তা হলে মেকআপ করার আগে ক্রিম-বেসড কোনও ভাল সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাইরে বেরনোর অন্তত ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, যাতে সানস্ক্রিন আপনার ত্বকের গভীরে পৌঁছতে পারে।
প্রাইমার
শুষ্ক ত্বকে মেকআপ করার জন্য কিন্তু শুধুমাত্র ময়শ্চরাইজার বা সানস্ক্রিনই যথেষ্ট নয়, ক্রিম-বেসড প্রাইমারও লাগিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বক যেহেতু ফ্লেকি বা খসখসে হয় কাজেই বুঝতেই পারছেন ত্বকের উপরিভাগ মসৃণ হয় না। মসৃণ ত্বকে যতটা সহজে মেকআপ বসতে পারে, খসখসে ত্বকে কিন্তু একদমই মেকআপ বসতে পারে না। কাজেই প্রাইমার লাগিয়ে ত্বকের উপরিভাগ মসৃণ করাটা খুব জরুরি।
ক্রিম-বেসড ফাউন্ডেশন
মেকআপের বেস হল ফাউন্ডেশন। যেহেতু আমরা এখানে শুষ্ক ত্বকের মেকআপের কথা আলোচনা করছি, কাজেই ফাউন্ডেশন যখন বাছবেন মনে করে ক্রিম-বেসড ফাউন্ডেশনই বাছবেন। পাউডার-বেসড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে তা ঠিকভাবে ব্লেন্ড তো হবেই না, উল্টে নকল মনে হবে।
ব্লাশ-আইশ্যাডো-লিপ্সটিক – সব যেন হয় ক্রিম বেসড
যেহেতু শুষ্ক ত্বক, কাজেই ব্লাশ থেকে শুরু করে লিপস্টিক, সব প্রোডাক্টই যেন হয় ক্রিম বেসড, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, কখন যাচ্ছেন অর্থাৎ দিনের বেলা মেকআপ করছেন নাকি রাতে, তা মাথায় রেখে ব্লাশের শেড বাছুন। যদি এমন কোথাও যেতে হয়, যেখানে দিনের বেলা গিয়ে রাতে ফিরবেন, তা হলে পিচ অথবা হালকা ব্রাউন শেডের ব্লাশ লাগান। এই শেডদুটি কিন্তু সব সময়েই ব্যবহার করা যায়।
আইশ্যাডোর ক্ষেত্রেও রঙ এবং শেড মাথায় রাখুন। যদি স্মোকি আইজ করতে হয়, তা হলে গাঢ় শেড বাছুন। ইদানীং কিন্তু আর বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া পোশাকের রঙের সঙ্গে ম্যাচিং করে আইশ্যাডো লাগানোর চল নেই, এ ব্যাপারটিও মাথায় রাখুন। তবে ব্লাশ হোক বা আইশ্যাডো, দুটোই যেন ক্রিম-বেসড হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ মেকআপের ক্ষেত্রে শুষ্ক ত্বকে ক্রিম-বেসড প্রোডাক্ট ভাল বসে।
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে কিন্তু শুধু মুখ নয়, ঠোঁটের চামড়াও শুষ্কই হয়। কাজেই এমন লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না যাতে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক দেখায়। যদি আপনি ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক পছন্দ করেন, তা হলে এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যাতে ক্রিম বা আরগান অয়েল রয়েছে। যদি তেমন লিপস্টিক না থাকে তা হলে ঠোঁটে একটু ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে তার উপরে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন এবং তারপরে লিপস্টিক লাগান। এতে ঠোঁট শুষ্ক দেখাবে না এবং ক্র্যাকও দেখা যাবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
কোমল ত্বকের জন্য ট্রাই করুন পতঞ্জলি বিউটি প্রোডাক্ট
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!