মেকআপের তো অনেক রকমফের রয়েছে, আমরা যারা একটু সাজতে ভালবাসি তাঁরা এ ব্যাপারে মোটামুটি কিছু জানি। যেমন ধরুন, গ্লিটারি মেকআপ লুক, ডিউই মেকআপ লুক, বোল্ড মেকআপ লুক, নুড মেকআপ লুক – এগুলো মোটামুটি সকলেই কম-বেশি ট্রাই করেছি। তবে ইদানিং কিন্তু ইনস্টাগ্রামের দৌলতে গ্লাস স্কিন মেকআপ লুক বেশ জনপ্রিয়। না না কাঁচ দিয়ে মেকআপ করতে হবে না বা মেকআপের প্রোডাক্টের মধ্যে কাঁচ নেই, গ্লাস স্কিন মেকআপ লুক হল এমন এক ধরনের লুক যাতে দেখে মনে হয় যিনি মেকআপ করেছেন তার ত্বক একদম একটা স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো। কোনও দাগ-ছোপ নেই, নরম এবং মসৃণ ত্বক!
আসলে কোরিয়াতে এই লুকের উৎপত্তি এবং সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে glass skin makeup look মোটামুটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। আর কেন হবে না বলুন? স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো ত্বক কে না চায়! কিন্তু কীভাবে করবেন এই মেকআপ? বলে দিচ্ছি, একটু সবুর করুন!
ক্লেনজার দিয়ে শুরু করুন
গ্লাস স্কিন মেকআপ লুকের ক্ষেত্রে কিন্তু শুধুমাত্রই মেকআপ করলে কিন্তু হবে না, ত্বকেরও যত্ন নিতে হবে। কাজেই শুরু করুন মুখ পরিষ্কার করা দিয়ে। যদি মুখ ঠিকভাবে পরিষ্কার না হয় এবং তার ওপরেই আপনি মেকআপ করেন, তাহলে কিন্তু আপনার ত্বকের রোমকূপগুলিতে ময়লা বসেই থাকবে এবং ধীরে ধীরে আপনার ত্বক জেল্লাহীন হয়ে পড়বে। কাজেই প্রথমেই আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লেনজার ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
স্ক্রাবিং
স্ক্রাবিং করাটাও কিন্তু খুব জরুরি একটা স্টেপ। স্ক্রাবিং করে ত্বকের উপরিভাগের মরাকোষ দূর করলে তবেই না পাবেন স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো ঝকঝকে ত্বক!
হাইড্রেটিং সিরাম
গ্লাস স্কিন মেকআপের ক্ষেত্রে লুকটি কিন্তু হবে ভীষণ ফ্রেশ এবং ন্যাচারাল। কাজেই ত্বক যাতে হেলদি দেখায় সেজন্য হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করুন। অনেকেই আছেন যারা চুলে হয়ত সিরাম ব্যাবহার করেন কিন্তু কখনও মুখে ব্যবহার করেন নি। অসুবিধে কিছু নেই, এটি অনেকটা ময়শ্চারাইজার লাগানোর মতোই।
ময়শ্চারাইজার
সিরামের পর কিন্তু ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভারী বা ঘন কোনও ময়শ্চারাইজার একেবারেই ব্যবহার করবেন না এতে ত্বক চটচটে দেখাবে। হালকা কোনও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন যাতে গ্লাস স্কিন মেকআপের বেস তৈরি হয়ে যায়।
ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেও অন্যান্য মেকআপ লুকের মতোই ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন তবে লাইট-ওয়েট বা হালকা কোনও প্রোডাক্ট। নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্রিম-বেসড অথবা ওয়াটার-বেসড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন তবে তা যেন লিকুইড হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
হাইলাইটিং লোশন
গ্লাস স্কিন মেকআপ লুকের জন্য এই স্টেপটি খুব জরুরি। যেহেতু ঝকঝকে এবং স্বচ্ছ একটি লুক আসে মেকআপে কাজেই হাইলাইট করা কিন্তু অত্যন্ত আবশ্যিক। ফাউন্ডেশন ভালভাবে ব্লেন্ড হয়ে গেলে হাইলাইটিং লোশন লাগান এবং বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
ব্লাশ
দুতিনটি রঙ মিশিয়ে কিন্তু আপনাকে ব্লাশ লাগাতে হবে। ব্রোঞ্জ বা ব্রাউন শেড চোয়ালে লাগান ব্রাশের সাহায্যে যাতে আপনার চিকবোন বোঝা যায়। গালে সামান্য পিচ বা হালকা গোলাপি ব্লাশ লাগান।
আইব্রো পেন্সিল
ভ্রূ আঁকাটা কিন্তু গ্লাস স্কিন মেকআপের ক্ষেত্রে খুব জরুরি কারণ চোখ আপনি বেশি হাইলাইট করতে পারবেন না। না, মোটা করে দুটো ভ্রূ আঁকবেন না তা বলে। শুধুমাত্র আপনার ভ্রু-র ন্যাচারাল শেপ এবং আর্চ ঠিক করে নিন আইব্রো পেন্সিলের সাহায্যে।
ঠোঁটে এবং চোখে বেশি মেকআপ নয়
Glass sin makeup look-এ কিন্তু ঠোঁটে এবং চোখে বেশি মেকআপ করা চলবে না। ঠোঁটে সামান্য লিপগ্লস লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন লিপগ্লস যেন চটচটে না হয় এবং খুব বেশি উজ্জ্বল রঙ যেমন লাল বা গোলাপি এই ধরণের রঙ যেন না হয়। চোখের মেকআপটাও কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ জরুরি। আইশ্যাডো যদি লাগাতে চান তাহলে চেষ্টা করুন নুড শেডের কোনও রঙ বাছতে। বেজ বা আইভরি শেড ব্যবহার করতে পারেন। মাস্কারা লাগিয়ে নিন আর ওপরের আইলিডে একদম সরু করে আইলাইনার। লিকুইড আইলাইনার ব্যবহার করলে কাজটা সহজ হবে। চোখের নীচের পাতায় কিছু লাগাবেন না। যদি একান্তই চোখের নীচের পাতাতেও মেকআপ করতে চান তাহলে গাঢ় রঙের কোনও আইশ্যাডো ব্যবহার করে কাজলের মতো টেনে নিন, কিন্তু একটি স্ট্রোকের বেশি নয়।
মূল ছবি সৌজন্যে – ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!