বরাবরই লিপস্টিকের (lipstick) প্রতি একটা ঝোঁক রয়েছে অনিন্দিতার। কোনও ভাল শেড বাজারে এলেই কিনে ফেলত সে। কোনও অনুষ্ঠান এমনকি কলেজ বা টিউশনে গেলেও লিপস্টিক (lipstick) লাগাতে ভুলত না। কিন্তু তিরিশের কোঠায় গিয়ে দেখা গেল, তার ঠোঁট নিজস্ব সৌন্দর্য (pink lips) হারাচ্ছে। তার পরে সেই কালচে ঠোঁট ঢাকতে আরও বেশি করে ঠোঁটের কালচে ভাব ঢাকতে চেষ্টা করত সে। কিন্তু ঠোঁট আরও কালো হয়ে যেতে থাকল।
হাঁটতে শেখার আগে থেকেই প্রায় নাচে হাতেখড়ি সুমন্তীর। ফলে ছোটবেলা থেকেই ক্লাসিক্যাল নাচে পারদর্শী। তাই সেই সময় থেকেই স্টেজ শো করার দরুন মেকআপ (make up) ছোট থেকেই তাকে করতে হয়। কিন্তু সেনসিটিভ স্কিনের উপর বারবার মেকআপ করতে করতে স্কিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে ঠোঁট আর তার আশপাশের স্কিনে। ঠোঁট শুকিয়ে চামড়া উঠে একাকার কাণ্ড!
একটি বহুজাতিক সংস্থার উঁচু পদে রয়েছে রিমিতা। উঁচু পোস্টের হাজারো কাজের চাপ! আর কাজের চাপের থেকে আসে স্ট্রেস। তা কাটাতেই বেসামাল জীবনযাপন। ঠিক করে খাওয়াদাওয়া তো হয়ই না, সারা দিন ব্ল্যাক কফি আর সিগারেট চলতেই থাকে। এ ভাবে পঁয়ত্রিশের কোঠায় যাওয়ামাত্রই হাজারো শারীরিক সমস্যা। সেই সঙ্গে চোখের তলায় কালি, কালচে ঠোঁট। এ সব কাটাতে শহরের অভিজাত সাঁলোতে গিয়েও লাভ হয়নি। চড়া মেকআপেও ঢাকেনি ত্বকের খুঁত।
শুধু অনিন্দিতা, সুমন্তী বা রিমিতা নয়, এই সমস্যা প্রায় সব মেয়েরই। আজকালকার যা লাইফস্টাইল (lifestyle)! সময়ের অভাব তো আছেই! অফিস-সংসার সামলে আর নিজের দিকে খেয়াল করে ওঠা হয় না। ফলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই আবার ঠোঁট কালো হয়ে গেলেও সে ভাবে পাত্তা দেন না। অথচ ঠোঁট হল মুখের অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঠোঁটের সৌন্দর্যের (pink lips) উপর মুখের সৌন্দর্য নির্ভর করে। কারণ ঠোঁটের সৌন্দর্য হাসির সৌন্দর্যকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু মুখের স্কিনের পরিচর্যা হলেও ঠোঁটের পরিচর্যাই (care of lips) ঠিকমতো হয় না। অথচ ঠোঁটেরও চাই যত্ন। কারণ ঠোঁটের চামড়া মুখের চামড়ার তুলনায় পাতলা।
অথচ গোলাপের পাপড়ির মতো সুন্দর নরম ঠোঁট (pink lips) পেতে কে না চায়? কিন্তু ঠোঁটের নরম ভাব আর গোলাপি আভা ধরে রাখতে তো বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে! এটাই ভাবছেন তো? আসলে কিন্তু ঘরে বসেই কাজের ফাঁকে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটু চর্চা করে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু সেটা কী ভাবে করবেন, এটাই ভাবছেন তো? চিন্তা নেই! সেই উপায়গুলো বলার জন্যই তো আমরা আছি। তা হলে আসুন দেখে নিই, আপনার ঠোঁটের গোলাপি আভা (pink lips) ফিরিয়ে আনার উপায়গুলো।
তবে প্রথমেই জেনে নিতে হবে যে, কী কী কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়?
আমরা অনেকেই ভাবি যে, মেকআপ করলে তার মধ্যে থাকা ক্ষতিকর কেমিক্যাল ঠোঁট নষ্ট করে দেয়। সেটা তো ঠিকই! কিন্তু শুধু মেকআপেই নয়, অনেক সময় দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, ধূলিকণা, ধূমপান, হরমোনাল সমস্যা, অত্যধিক চা-কফি পান- এই সব কারণে নিজস্ব সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে ঠোঁট। খসখসে আর কালচে হয়ে যেতে থাকে। তা শরীরের পক্ষেও যেমন ক্ষতিকর, সে রকম সৌন্দর্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। যার ফলে আপনিও আপনার আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকেন।
তাই ঠোঁটের সৌ়ন্দর্য ও গোলাপি আভা (pink lips) ফিরিয়ে আনার জন্য জেনে নিতে হবে প্রয়োজনীয় টিপসগুলো।
প্রয়োজনীয় টিপস
১। এক্সফোলিয়েটিং লিপস্ক্রাব (scrub) বানাতে চিনি, মধু, নারকেল তেল মেশাতে হবে।
২। কোকো বাটার, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল হল ন্যাচরাল লিপ ময়েশ্চারাইজারের (moisturizer) কাজ করে।
৩। রাতে শোওয়ার আগে মেকআপ তোলার (to remove makeup) জন্য অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল অথবা নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
৪। ঠোঁটকে হাইড্রেটেড (hydrated) রাখতে টমেটো, শসা আর তরমুজের মতো ফল খেতে হবে।
৫। ঠোঁটের ত্বককে উজ্জ্বল করতে বেদানার বীজ পেস্ট ব্যবহার করুন।
৬। হলুদ আর দুধ ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
৭। ঠোঁটে ন্যাচারালি লাল রং আনতে বীটের রস ব্যবহার করতে পারেন।
৮। ঠোঁটকে গোলাপি (pink lips) করতে সাহায্য করবে মধু।
৯। ঠোঁটে ন্যাচারাল গোলাপি আভা (pink lips) আনতে গোলাপ ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করবেন।
টুথব্রাশ
ঠোঁটের ফাটা চামড়া (dry lips) তুলতে নরম টুথব্রাশ নিন। এ বার সেটা ঠোঁটের উপর ঘষতে থাকুন। এতে ঠোঁটের শুকনো চামড়া তো উঠেই যায়, আর রক্ত চলাচলও ভাল হয়। ফলে ঠোঁট নরম আর গোলাপি (pink lips) হয়ে ওঠে।
এ বার রইল আপনাদের জন্য কয়েকটি সহজ ঘরোয়া প্যাক ও স্ক্রাবের (scrub) খোঁজ।
নারকেল তেল
দিনে ২ বার করে ঠোঁটে নারকেল তেল (cocnut oil) মাসাজ (massage) করুন। তাতে ঠোঁট হবে নরম (soft)।
লেবু-গ্লিসারিন
লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে খুবই উপকারী। ঠোঁটের ঔজ্জ্বল্য (brightness) ফিরিয়ে আনতে লেবুর রসের (lemon) মধ্যে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন (glycerine) মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে রোজ লাগালে ভাল ফল পাবেন।
লেবু-চিনি
পাতলা লেবুর টুকরো নিয়ে তার উপর অল্প করে চিনি ছড়িয়ে নিন। চিনির স্ক্রাব (scrub) ঠোঁটের মরা ও শুষ্ক চামড়াগুলোকে (dry and dead skin) তুলে দেয়। আর লেবু কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটে ঔজ্জ্বল্য (brightness) ফিরিয়ে আনে।
চিনি-মাখন
ব্রেকফাস্টে পাউরুটিতে মাখন আর চিনি (butter and sugar) মাখিয়ে খান। তা হলে ওই সময়ই দু’ চামচ মাখনের সঙ্গে তিন চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। এ বার ঘন পেস্ট তৈরি হলে ঠোঁটে মাখুন। সপ্তাহে দু’-তিন বার ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে গোলাপি (pink lips)।
মধু
হাতে সময় কম? তাই স্নানে যাওয়ার আগে বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে মধুর (honey) সঙ্গে চিনি আর অলিভ অয়েল (sugar and olive oil) মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষতে থাকুন। ঠোঁট হবে আরও উজ্জ্বল (brightness) ও নরম (soft)।
দুধ
দুধ (milk) খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু জেনে রাখবেন, ঠোঁটের ঔজ্জ্বল্য (pink lips) ফিরিয়ে আনতে ল্যাকটিক অ্যাসিড খুবই জরুরি। তাই দুধ খেতে পছন্দ না করলেও অল্প একটু দুধে তুলো ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ঘষতে থাকুন। দুধ ঠোঁটের মৃত চামড়া (dead and dry skin) দূর করে ঠোঁটের গোলাপি আভা (pink lips) ফিরিয়ে আনবে।
গোলাপের পাপড়ি
গোলাপের পাপড়ির (rose petals) মতো ঠোঁট পেতে হলে গোলাপের পাপড়িও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার হাতে সময় কি একটু রয়েছে? তা হলে এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। না হলে ছুটির দিনে করতে পারেন। এই প্যাক তৈরির জন্য গোলাপ ফুলের পাপড়়ি দুধে ভিজিয়ে রাখুন। তার মধ্যে মধু আর গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটা ঠোঁটে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর পর দুধ দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করলে ফল মিলবে শিগগিরি। এত কিছু করার সময় না পেলে লাল বা গোলাপি গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। তা হলেও গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট পাবেন (pink lips)।
বাদাম তেল
বাদাম তেলের সঙ্গে মধু আর চিনি মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানান। এই মিশ্রণটি ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁটকে নরমও (soft) করে।
পালং পাতা
শীতকালে ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে? তা হলে বলব যে, ঠোঁটের শুষ্ক ভাব (dry lips) দূর করার উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে। পালং পাতা (spinach) আর জাফরান। রাতে শুতে যাওয়ার আগে একটা পালং পাতা নিয়ে ঘষে নিন। আর ব্যবহার করতে পারেন জাফরানও।
কমলালেবুর বীজ
শীতকালে কমলালেবু (orange) তো খেয়েই থাকেন। তা হলে কমলালেবু খাওয়ার সময় বীজগুলোকে ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে জমিয়ে রাখুন। রোজ ওই বীজ দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করতে থাকুন।
টমেটো
টমেটো (tomato) যেমন মুখের ত্বকের জন্য উপকারী, ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্যও খুব জরুরি। একটা টমেটো নিয়ে সেটা পেস্ট বানিয়ে নিন। সেই পেস্ট ঠোঁটে লাগাতে থাকুন। এতে ঠোঁট হবে উজ্জ্বল (brightness) ও গোলাপি (pink lips)।
শসা
এমনিতে যে কোনও মরসুমেই শসা (cucumber) খেয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কী যে,শসা যেমন আপনার স্বাস্থ্য়ের জন্য উপকারী, আবার তেমন ত্বকের জন্যও উপকারী। শসার রস ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট ধরে শসার রস ঠোঁটে ঘষলে ভাল ফল পাবেন।
হলুদের স্ক্রাব
ঠান্ডা দুধ আর হলুদ গুঁড়ো (cold milk and turmeric) মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট করে নিন। ঠোঁট একটু ভিজিয়ে নিয়ে একটি নরম ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট ঘষে নিতে হবে। এর পর সামান্য পেস্ট নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে দু’-তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এর পর ইষদুষ্ণ গরম জলে (lukewarm water) ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে একটি লিপবাম (lip balm) লাগিয়ে নিতে হবে।
বেদানার বীজ
বেদানার (pomegranate) বীজ (seeds) গুঁড়ো করে নিন। সেটাকে ঠান্ডা দুধের সরের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। ঠোঁটে ওই পেস্ট লাগান। ঠোঁটের গোলাপি (pink lips) আভা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে বেশ কয়েক বার ব্যবহার করুন।
বীটের রস
তাজা বীটের রস (beetroot) বানিয়ে নিন। দিনে বেশ কয়েক বার করে ব্যবহার করতে পারেন এই রস। ঠোঁটের রং ন্যাচারালি লাল করবে আর ঔজ্জ্বল্যও (brightness) ফিরিয়ে আনবে।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের জেল্লা বাড়ান বিটরুটের গুণে
চকলেট লিপ মাস্ক
ছোট-বড় সকলেই চকলেট (chocoate) পছন্দ করে। তাই চকলেট দিয়েই ঠোঁটের যত্ন নিন। এক চামচ কোকো বাটার (cocoa butter), দু’টো মিষ্টি ছাড়া ডার্ক চকলেট (dark chocolate without sugar) আর একটা ভিটামিন-ই ক্যাপসুল (vitamin-e capsule) নিয়ে নিন। কোকো বাটার আর ডার্ক চকলেট গলিয়ে নিন। এ বার ভিটামিন-ই ক্যাপসুল থেকে তেল বার করে তার মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে। একটা পাত্রে ওই মিশ্রণ ঢেলে নিন। সেটা ঠান্ডা করে ঠোঁটে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রাখার পরে সেটা ইষদুষ্ণ গরম জলে (lukewarm water) ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট শুষ্ক লাগলেই এই সুস্বাদু মাস্ক (mask) ব্যবহার করুন। ঠোঁট হবে নরম (soft) আর সুন্দর (pink lips)।
ধনেপাতার মাস্ক
ঠোঁটের জন্য ধনেপাতাও (coriander) খুব উপকারী। ঠোঁটের গোলাপি আভা (pink lips) ফিরিয়ে আনতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। পাঁচটা ধনেপাতা নিয়ে একটা মিহি পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার ওই পেস্ট ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তার পরে ইষদুষ্ণ জলে তা ধুয়ে ফেলুন। বা ভেজা কাপড় দিয়েও মুছে নিতে পারেন। এ বার একটা লিপবাম লাগিয়ে নিন। রোজ এই মাস্ক (mask) ব্যবহার করতে পারেন। তা হলে খুব শিগগিরি গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট (pink lips) পেতে পারেন।
এ বার আসি লিপবামের (lip balm) কথায়। বাজারে পাওয়া যাওয়া লিপবাম ব্যবহার করেও তো সে ভাবে কিছুই ফল মিলছে না। আর ক্ষতিকর কেমিক্যাল (harmful chemicals) থাকে ভেবে ব্যবহার করতেও ভয় পাচ্ছেন? তা হলে কেনা লিপবাম আর ব্যবহার করবেন না। তার থেকে বরং বাড়িতেই নিজের জন্য বানিয়ে ফেলুন লিপবাম (lip balm)। শুনে মনে হচ্ছে, এই রে! সে আবার কী! অত ভাবার কিছু নেই। একেবারেই সোজা পদ্ধতি-
স্ট্রবেরি লিপবাম (lip balm)
প্রথমে দুই চামচ পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে এক চামচ স্ট্রবেরি মিশিয়ে নিন। ব্যস! তৈরি আপনার লিপবাম (lip balm)। প্রতিদিন এটা ব্যবহার করলে মনের মতো গোলাপি ঠোঁট (pink lips) পেয়ে যাবেন।
এ তো নয় গেল, এই স্ক্রাব সেই প্যাক মাখার কথা। কিন্তু কয়েকটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখবেন, সৌন্দর্য ভিতর থেকে আসে। ফলে আপনি যদি নিজের শরীরের ঠিক মতো খেয়াল না রেখে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্যই পরিচর্যা করেন, তা হলে কিন্তু চলবে না। তাই সুন্দর গোলাপি ঠোঁট (pink lips) পেতে গেলে কয়েকটা বিষয় আপনাদের মেনে চলতেই হবে।
মনে রাখবেন
১। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। না হলেই কিন্তু মুশকিল! তাই যেখানেই বেরোন না কেন, হ্যান্ডব্যাগে জলের বোতলটা রাখতে ভুলবেন না।
২। দিনে অনেক বার চা-কফি পান করেন? সেটা হলেই তো বিপদ! কমাতে হবে চা-কফি খাওয়ার পরিমাণ।
৩। জাঙ্কফুড খেতে খুব ভালবাসেন? সুযোগ পেলেই জাঙ্কফুড খান? তা হলে এখনই সেটা কমিয়ে ডায়েটে ফল-শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
৪। জিভ দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করুন। ঠোঁট ভিজিয়ে রাখতে কোনও ভাল লিপ বাম (lip balm) ব্যবহার করতে পারেন।
৫। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লিপস্টিক (lipstick) তুলতে ভুলবেন না। ক্ষতিকর মেকআপ সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা না হলে ঠোঁটের সৌন্দর্য নষ্ট (brightness) হতে পারে।
৬। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে অলিভ লাগিয়ে শোবেন। তা হলে ঠোঁট নরম (soft) হবে।
৭। সব শেষে যেটা খুবই জরুরি, সেটা হল ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ঠোঁটের সৌন্দর্যের (pink lips) জন্য হানিকারক। সিগারেটে থাকা তামাক ঠোঁটকে কালচে করে তোলে।
ছবি সৌজন্যে: পিন্টরেস্ট
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!