বৃষ্টি পড়লে অনেকেই খুব রোম্যান্টিক হয়ে যান, অনেকে তো আবার ইচ্ছে করেই বর্ষাকালে বিয়ে করেন! বর্ষাকালে বিয়ে ব্যাপারটা শুনতে রোম্যান্টিক মনে হলেও বিয়ের সব কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা কিন্তু বেশ চাপের হতে পারে। কিন্তু ওই যে কথায় আছে না, যত বেশি বাধা, সেই বাধা অতিক্রম করে লক্ষে পৌঁছনোর আনন্দই আলাদা! বর্ষায় বিয়ে যদি ঠিক করেই ফেলেন, তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই টিপসগুলো কাজে লাগান, দেখবেন আপনার বিয়েটাও হয়ে উঠবে ‘Perfect Monsoon Wedding’!
আরও পড়ুনঃ কলকাতার সেরা Wedding Photographer-এর সন্ধান
বিয়ের ভেনু বাছুন সতর্ক ভাবে
আগে যেমন বাড়িতেই মণ্ডপ বেঁধে বিয়ের অনুষ্ঠান হত এখন আর তেমন হয় না। পরিবার নিউক্লিয়ার হওয়ার ফলে বাড়িও ছোট হয়ে গিয়েছে সঙ্গে লোকবলও কমে গিয়েছে। তাই সবাই এখন ‘অনুষ্ঠান বাড়ি’ ভাড়া নিয়েই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে বেশি আগ্রহী। তবে এখন আবার একটা ফ্যাশন হয়েছে বাইরে দারুণ প্যান্ডেল করে বিয়ের মণ্ডপ সাজানোর এবং সেখানেই বিয়ের সব অনুষ্ঠান করার। অন্যান্য ঋতুতে বাইরে মণ্ডপ সাজিয়ে বিয়ে করলেও বর্ষাকালে কিন্তু ভেনু পছন্দ করার সময়ে দেখে নেবেন যেন সব অনুষ্ঠান ভিতরেই করার মতো জায়গা থাকে, তা না হলে যখন তখন বৃষ্টি এলে ব্যস হয়ে গেল!
ডেকোরেশন হোক রঙিন
বর্ষাকালে এমনিতেই আবহাওয়া জোলো আর সূর্যের মুখ প্রায় দেখা যায় না বলে রোদ ঝলমলে দিনও আশা করা যায় না। তার উপরে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার ফলে সব কিছুই কেমন একটা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। এসময়ে বিয়ে করলে খেয়াল রাখবেন ডেকোরেশন যেন যতটা সম্ভব রঙিন হয়। তাতে আপনাদের বিয়ের ভেনু যে শুধু দেখতে দারুণ লাগবে তা নয়, নিমন্ত্রিত অতিথিদেরও মন ভাল হয়ে যাবে! যেখানে বিয়ের ভেনু ঠিক করছেন, সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই ব্যাপারে আগে থেকেই কথা বলে রাখবেন।
আশীর্বাদের বন্যা বয়ে যাক, জলের নয়
নিমন্ত্রিত হোক অথবা বর-কনে, কেউই যাতে ভিজে না যান সেদিকে কিন্তু খেয়াল রাখা প্রয়োজন। যদি ভেনুর কম্পাউন্ডের মধ্যেই গাড়ি রাখার জায়গা না থাকে, তা হলে পার্কিং লট থেকে ভেনুর সদর দরজা পর্যন্ত একটু ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। অতিথিদের ছাতা বা বর্ষাতি রাখার ব্যবস্থাও কিন্তু করতে হবে তা না হলে সারা বিয়েবাড়িটাই জলে-জলে ভরে যেতে পারে।
উজ্জ্বল আলো লাগাতে বলুন
আপনার বিয়ে রাতে হলেও দিনের বেলা থেকেই নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে। এটা কিন্তু গ্রীষ্ম বা শীতকাল নয়, বর্ষাকাল; কাজেই ন্যাচারাল লাইট বা সূর্যের আলো যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবেন না তা জানা কথা! যাঁর উপরে ডেকরেশনের দায়িত্ব রয়েছে তাঁকে আগে থেকেই বলে রাখুন যেন দিনের বেলাতেও উজ্জ্বল আলো জ্বালানোর ব্যবহার করেন, অর্থাৎ হলদে আলো। এতে বর্ষার ম্যাড়ম্যাড়ে ভাবটা কাটবে আর ভেনু এবং ছবি দুটোই দেখতে দারুণ লাগবে।
বর্ষার গান বাজুক
বিয়েবাড়িতে গান বাজবে না তা কি হয়? আপনাদের যেমন পছন্দ তেমন গানই বাজান। কিন্তু যদি চান, তা হলে বর্ষার গান বাজান। বলিউড থেকে শুরু করে বাংলা গান অথবা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ – সবই যেন হয় বর্ষা ঋতুর উপর ভিত্তি করে।
মেনু কী হবে ভেবে ফেলুন
বিয়ের জন্য মেনু ঠিক করা কিন্তু একটি কঠিন কাজ। আর বিয়েটা যদি বর্ষাকালে হয়, তা হলে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ বর্ষাকালে কিন্তু নানা ধরনের পেটের অসুখ করে। মেনুতে শাক বা পাতাওয়ালা খাবার যেমন স্যালাড, লেটুস, বাঁধাকপি ইত্যাদি না রাখলেই ভাল। যদি চাট কাউন্টার থাকে, তা হলে গরম-গরম পকোড়া বা বড়া রাখতে পারেন, ছোলা বা পাপড়ি চাট না রেখে। সম্ভব হলে দই দেওয়া কোনও খাবার একেবারেই মেনুতে রাখবেন না। যেরকম মেনুই ঠিক করুন না কেন, খেয়াল রাখবেন, খাবার যেন ফ্রেশ হয় এবং অতি অবশ্যই মিনারেল ওয়াটার ছাড়া অন্য কোনও পানীয় পরিবেশন করবেন না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!